লতিফ সিদ্দিকী দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের সাহসী মুক্তিযোদ্ধা!
লিখেছেন লিখেছেন ইয়াফি ০২ অক্টোবর, ২০১৪, ১১:২৩:১৩ সকাল
লতিফ সাহেব তার দলের পরিচয়টা সময়মত তুলে ধরেছে! কারণ তার দল দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সাথে প্রতারণা করেই চলেছে নিজেদের আসল পরিচয় লুকিয়ে রেখে। তার দলের সর্বশেষ প্রতারণা হচ্ছে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার মন্ত্রীপরিষদ সদস্য ইনু ও মেনন নামের দুই নাস্তিককে জবরদস্তিমূলক হজ্জ্বে পাটানো। বেচারা নাস্কিকদ্বয় যেটা বিশ্বাস করেনা, সেটা তাদের করে দেখাতে হচ্ছে শেখ হাসিনার ছেঁচড়ামির কারণে। শেখ হাসিনা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সাথে যতই ছেঁচড়ামি করুক না কেন, দেশের সকল ইসলামবিদ্ধেষী নাস্তিকবর্গ, ধমনিরপেক্ষতাবাদীরা তাদের অভিভাবক শেখ হাসিনার দলের প্রকৃত পরিচয়টা সরাসরি তুলে ধরতে পছন্দ করে। বরং তারা কখনো কখনো শেখ হাসিনার অতি ছেঁচড়ামিতে অতিষ্ঠ হয়ে শেখ হাসিনারই সমালোচনা করতেও দ্বিধা করেনা। এবার সাহস করে এগিয়ে এল শেখ হাসিনার দলের কান্ডারী ও মন্ত্রী নাস্তিক লতিফ সিদ্দিকী (যিনি বছর চারেক আগে আওয়ামী লীগের ততকালীন লাঠিয়াল মিডিয়া একুশে টিভির এক টকশোতে কোন রাখঢাক না রেখে সরাসরি বলে দেয় তারা পরকালীন জীবনে বিশ্বাস করেনা)। এদিকে নাস্তিক লতিফের সাহস দেখে অভিশপ্ত পলাতক নাস্তিক তসলিমা খুব দ্রুত তার তারিফ করতে ভুলে নাই। ইসলামবিদ্ধেষী নাস্তিকবর্গ ও ধমনিরপেক্ষতাবাদীরা বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করতে পারাকে সাহসী কাজ বলে দেখে! কারণ তারা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে উপড়ে ফেলতে চায়। যে চাওয়ার সাথে শেখ হাসিনার দলের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এজন্য তারা তাকে তার দলকে চায় চায়। শেখ হাসিনা ও তার দল যতই ভেল্কিবাজি দিক না কেন, মাঝে মধ্যে নিজেদের গ্যাড়াকলে পড়ে নিজেদের পরিচয়টা ভালমতে তুলে ধরে। যেমনটি দেখা গেল গতবছর কুখ্যাত নাস্তিক রাজিব ওরফে থাবাবাবার বেলায়। থাবাবাবার নশ্বর দেহ জাতীয় গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রী মখা আলমগীর ততক্ষণাত দৌঁড়ে দেখতে গেলেন! থাবাবাবার শোকে আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রীরা তাদের চোখ-মুখ দিয়ে প্রতিশোধের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বের করছিল। তারা জাতীয় সংসদের ভেতরে বাইরে চোখ বড় করে, দাঁতে দাঁত খিচিয়ে মুখে ফেনা তুলে আর হুংকার ছুড়ে। তারা যেন দেখাতে চাচ্ছিল তারা অন্যকিছু সহ্য করলেও তাদের এই সাহসী সহযোদ্ধা হারানোকে কিছুতেই সহ্য করবেনা। তারা তাদের এই সাহসী সহযোদ্ধা তাদের কথিত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ ঘোষণা করে। থাবাবার জানাযা!(আওয়ামী প্রতারণার আরেক চরম নিদর্শন) পড়তে উড়ে এল জাতির ভাগিনা খ্যাত শেখ হাসিনার মার্কিন প্রবাসী উপদেষ্টা জয়। কিন্তু মরা থাবাবাবাও যেন দেখিয়ে দিল সে মুসলমান ছিলনা। কেন তার জন্য জানাযা? তাইতো তার জন্য জানাযা আর জানাযায় থাকলনা। লতিফ সিদ্দিকীর মত থাবাবাবারও কুপ্রশ্ন ছিল হজ্বের নামে বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচারকে কেন ধরা হচ্ছেনা? থাবাবাবার ইসলাম অবমাননা, কুতসা-কুরুচিপূর্ণ ও বিদ্ধেষী কর্মকান্ডই যদি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ আর এ ঘৃণ্য কাজে প্রথম প্রাণ দিয়েছে সন্দেহে থাবাবাবা আজ শেখ হাসিনার দলের কাছে প্রথম শহীদের মর্যাদা পায়! এখন লতিফ সিদ্দিকীর অব্যাহতি, বহিস্কার মানে ঐ থাবাবাবার জানাযা! কারণ লতিফ সিদ্দিকী দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের সাহসী মুক্তিযোদ্ধা!
বিষয়: বিবিধ
১৩৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন