প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাক্তারী দক্ষতা!

লিখেছেন লিখেছেন ইয়াফি ৩০ জুন, ২০১৪, ০১:৫৩:১৭ দুপুর

বর্তমান অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের প্রভাব প্রতিপত্তি বজায় ও রাজনৈতিক জিঘাংসা চরিতার্থ করতে গিয়ে কখনো কখনো ডাক্তারের ভূমিকা নিতেও দেখা যায়। এই ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার ডাক্তারী দক্ষতা এমন তিনি দূর থেকে কোন লোকের রোগ নির্ণয় করতে পারেন ও সাথে রোগের যুতসই পত্যও দিতে পারেন! শেখ হাসিনারই নিজদলীয় সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম আব্দুল জলিল তখন চিকিত্সার্থে সিঙ্গাপুরে অবস্হান করছিলেন। দেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংসদের কাউন্সিল অধিবেশনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল চিকিত্সা শেষে কাউন্সিল অধিবেশনকে সামনে রেখে দেশে ফেরার পথে। তখনই দলের প্রধান শেখ হাসিনা তাকে পরামর্শ দিলেন আপনি এখনো পরোপুরি সুস্হ হন নাই। এবং সাথে পত্য দিলেন আপনি ওখানে থেকে আরো বিশ্রাম নেন। শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য (শাস্তিস্বরূপ)তাকে দল থেকে ফেলে দিয়ে আরেকজনকে (সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম) দলের সাধারণ সম্পাদক বানানো। প্রসংগতঃ এই আব্দুল জলিল ফখরুদ্দীনের জরুরী সরকারের সময়ে শেখ হাসিনার দুষ্কর্মের সহযোগী হিসাবে বিভিন্ন ফৌজদারী মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য দেয়ার কথা বলেছিলেন। আব্দুল জলিল এখন পরলোকগত। আল্লাহ তার ভাল কাজগুলোকে নাজাতের উছিলা বানিয়ে দিন! শেখ হাসিনার মহাজোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম অংশীদার বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভাঁড় হিসাবে পরিচিত, যাকে নিয়ে মানুষ হাসাহাসি করে, সেই এরশাদ শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে দেশের আপামর জনসাধারণের দৃশ্যমান বিরূপ মনোভাব দেখে এক প্রকার অবস্হান নিয়েছিলেন শেখ হাসিনার পাতানো সংসদ নির্বাচনে (সংখ্যা গণনায় যেটি বাংলাদেশের দশম সংসদীয় নির্বাচন) অংশ নিবেননা। তারমতে ঔ নির্বাচনে অংশ নেয়া মানে জাতির সাথে বেঈমানি করা। তাই তিনি জাতীয় বেঈমান হয়ে মরতে চাননা। শেখ হাসিনার সরকার যদি তাকে গ্রেফতার করতে আসে তাহলে তিনি নিজের পিস্তলের গুলি নিজে খাবেন। কিন্তু এই ভাঁড় যতই সিরিয়াসই হোননা কেন, তার দলের মুল নেতা-কর্মীদের কাছে তিনি একজন অবশ বুড়ো। যার স্বয়ং উপস্হিতিতে পার্টির কর্তৃত্ব নিয়ে ঝগড়া-ঝাটি করতে তারা দুই পয়সারও কেয়ার করেনা। দলের চেয়ারম্যান এরশাদকে উপেক্ষা করে দলের বড় নেতা যথা আনিসুল, রুহুল, তাজুল ও বাবলুরা শেখ হাসিনা সরকারের কর্তৃত্ত্বাধীন সংসদ নির্বাচনে সহযোগিতার বিনিময়ে তাদের সুবিধাটা নিশ্চিত করে ফেলে। কিন্তু দলের চেয়ারম্যান এরশাদকে কিভাবে উদ্ধার করা যায়? কারণ এই ভাঁড়তো ইতিমধ্যে বলে ফেলেছেন তিনি জাতীয় বেঈমান হয়ে মরতে চাননা। এগিয়ে এলেন ডাঃ শেখ হাসিনা! এরশাদের রোগাবস্হার ঘোষণা দিলেন। এবং ইদানিং ক্ষমতাসীনদের ভাড়াটে বাহিনীতে পরিণত হওয়া র্য্যাবের লোকজনের মাধ্যমে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে নিলেন। পত্য দিলেন এখানে খোলা মাঠে নিয়মিত গলফ খেলো। কিছুদিনের মধ্যে রোগ সেরে যাবে! এখন এরশাদ সেদিনের ডাঃ শেখ হাসিনার কাছে যারপরনাই কৃতজ্ঞ। কারণ তিনি জাতীয় বেঈমান না হয়ে ঐ সংকটময় মূহুর্ত পার হতে পেরেছেন! সর্বশেষ গত 24শে জুন, 2014ইং তারিখে শেখ হাসিনাকে আবার ডাক্তাররূপে দেখা গেল! ঘটনার আদ্যপান্তে বুঝা গেল ঐদিন বিশেষ এক বৈদেশিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে বিশেষ কিছু হাসিলের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনার টিঙ্ক ট্যাঙ্ক এক রাজনৈতিক চাল দিলেন। ঐদিন ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের আমির মওলানা নিজামীর ফাঁসির রায় দিবে। কিন্তু ঘটানার দিন রায় ঘোষণার প্রাকমুহুর্তেও বিশেষ কিছু হাসিলতো দূরের কথা, নাম-গুন্ধও পাওয়া যাচ্ছেনা দেখে শেখ হাসিনা তার চাল ফিরিয়ে নিতে চান। আবারো শেখ হাসিনা ডাক্তার হয়ে এলেন। এবার রোগী বানালেন মওলানা নিজামী সাহেবকে। পত্য দিলেন আজকের মত জেলে ঘুমান।

বিষয়: বিবিধ

১৪১০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

240273
৩০ জুন ২০১৪ দুপুর ০২:১৮
আমি মুসাফির লিখেছেন :
240289
৩০ জুন ২০১৪ দুপুর ০২:৪৯
হতভাগা লিখেছেন : হাসিনা থেরাপি কাজের । সবাইকে ডোজ দেওয়া হয় বিভিন্ন মাত্রায় ।
240329
৩০ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:৪১
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : ভাই দুঃখিত আমি ওদের জন্য দোয়া করতে পারিনা আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে,তবে ওদের হেদায়াতের জন্য দোয়া করতে পারি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File