ইসলাম এ নারীর প্রতি আচরণ
লিখেছেন লিখেছেন সত্যির আলো ২৩ জুন, ২০১৪, ১২:৪৩:২০ দুপুর
খেলাঘর বাধতে এসেছি নামে একজন ব্লগ এ কুরান ও হাদিস এর অপবেক্ষা দিয়ে বেরাচ্ছে। তার উল্লেখ্য কিছু আয়াত এবং হাদিস এর শঠিক ব্যখ্যা দেয়া হল।
সুরা নিসা, আয়াত ৩৪ (৪:৩৪):
পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ। [মুহিউদ্দীন খান]
Men are the protectors and maintainers of women, because Allah has given the one more (strength) than the other, and because they support them from their means. Therefore the righteous women are devoutly obedient, and guard in (the husband's) absence what Allah would have them guard. As to those women on whose part ye fear disloyalty and ill-conduct, admonish them (first), (Next), refuse to share their beds, (And last) beat them (lightly); but if they return to obedience, seek not against them Means (of annoyance): For Allah is Most High, great (above you all). [Abdullah Yusuf Ali]
এ আয়াতএ আল্লাহ্ বলেছেন যে পুরুষদের দায়িত্য হচ্ছে নারীদের দেখাশোনা করা, এবং তাদের সকল ভাবে রক্ষা করা (সামাজিক, অর্থনিতিক, ঈত্যাদি)। সুতরাং মুসলমান সমাজে পুরুষরা পরিপূর্ণ ভাবে একজন নারীর সকল ধরনের প্রয়োজণীয়তা মেটাবে (তার আহার, পোশাক, তাকে বিপদ থেকে রক্ষার দায়িত্ত সবই হল পুরুষের)। সুতরাং একজন স্ত্রী এর অধিকার আছে তার স্মামীর অর্থের উপর। এখানে একটি সাহিহ হাদিস উল্লেখ করা যায়।
Sahih bukhari Volume 003, Book 034, Hadith Number 413
Narated By 'Aisha : Hind, the mother of Mu'awiya said to Allah's Apostle, "Abu Sufyan (her husband) is a miser. Am I allowed to take from his money secretly?" The Prophet said to her, "You and your sons may take what is sufficient reasonably and fairly."
মা আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণীত, মুয়ায়িয়ার মা হিন্দ আল্লাহ্ এর নবী (সঃ)কে বললেন, “ আবু সুফয়ান (তার স্মামী) ক্রিপণ। আমিকি গোপোণে তার অর্থ হতে টাকা নিতে পারি। নবী তাকে বললেন, “তুমি এবং তোমার সন্তানেরা তার অর্থ হতে নিতে পার প্রয়োজন মত যতটুকু যৈত্যিক।
একজন স্ত্রী তার স্মামীর অর্থের উপর অধিকার রাখে কিন্তু একজন স্মামী কিন্তু তার স্ত্রী এর অর্থের উপর কোন অধিকার রাখে না। অনেকে এই আয়াতের ভুল বেখ্যা দেয় এবং বলে যে ইসলাম এ নারীদের কোন রকম ‘job’ করা নিষিদ্ধ, কিন্তু এ আয়াত এ এমন কিছুই বলা হয় নি। বরং আমরা যদি দেখি ইসলাম এর ইতিহাস এর দিকে আমরা দেখব যে আমাদের প্রিয় নবীর (সঃ) প্রথম স্ত্রী মা খাদিজাহ (রাঃ) একজন অনেক বড় ব্যবসাহি ছিলেন, মা আইশা (রাঃ) একজন শিক্ষিকা ছিলেন, ইত্যদি। সুতরাং ইসলাম মেয়েরাও হিজাব রক্ষা করে ‘job’ করতে পারবে। আর নারীরা ‘job’ করে যে অর্থ উপার্যণ করবে সেই অর্থ পুরাই তাদের নিজের। তার স্মামী, ভাই, বাবা, কেঊ ও অর্থের উপর কোন রকম দাবি করতে পারবে না।
আল্লাহ্ এ আয়াত এ আরও বললেন যে তিনি একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। এবং নেক্কার নারীরা সবসময়ই বাধ্য থাকবে এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করবে। সুতরাং যারা নেক নারী তারা তাদের অভিবাবকদের (স্মামী) কথা মেনে চলবে (যতক্ষন পর্যন্ত অভিবাবকরা হারাম কিছু করতে না বলে, কিন্তু কোন অভিবাবক যদি কোন নারীকে হারাম কিছু করতে বলে তাহলে ওই নারী তা মানতে বাধ্য নয়)।
আল্লাহ্ এ আয়াত এ আরও বললেন যে কোন নারী যদি অবাধ্য হয় এবং অন্যায় করে, তবে তাদের কিভাবে শাসণ করতে হবে। শাসণ এর তিনটি ধাপ আল্লাহ্ আমাদের জানিয়ে দিলেন। প্রথমে স্মামী তার স্ত্রীকে উপদেশ দিবে। তার পরেও যদি কাজ না হয়, এবং স্ত্রী যদি অন্যায় করতে থাকে তবে স্মামী তার সাথে এক বিছানায় থাকবে না। এতেও কাজ না হলে স্মামী তাকে প্রহার করতে পারে। ইচ্ছা করলেই একজন স্মামী তার স্ত্রীকে প্রহার করতে পারে না, শুধুমাত্র স্ত্রী যদি অন্যায়ি হয়, এবং প্রথম দুই পদক্ষেপ কাজ না করলে, তবেই স্মামী স্ত্রী এর গায়ে হাত তুলতে পারে।
কিন্তু প্রোহার কোরা মানে কি? স্মামী কি তার স্ত্রীকে ইচ্ছা মত গরুর মত পেটাবে? এর উত্তর দেওয়া আছে হাদিসএ।
সাহিহ বুখারি Volume 008, Book 073, Hadith Number 068.
Narated By 'Abdullah bin Zam'a : The Prophet forbade laughing at a person who passes wind, and said, "How does anyone of you beat his wife as he beats the stallion camel and then he may embrace (sleep with) her?" And Hisham said, "As he beats his slave."
আব্দুল্লাহ বিন জামা হতে বরনিতঃ নবী (সঃ) নিশিদ্ধ করেছেন হাসতে যখন একজন বায়ু ত্যাগ করে, এবং বলেছেন, “তোমরা কি করে তমাদের স্ত্রীকে উটের মত পেটাও এবং তারপর তাকে আলিঙ্গন কর? হিশাম বলেছে, “ যেভাবে তোমরা তোমাদের দাসকে পেটাও”।
সুতরাং কোন স্মামী তার স্ত্রীকে যেভাবে খুশি সেভাবে পেটাতে পারবে না। মারতে হবে আস্তে, যেন স্ত্রী অন্যায় ত্যাগ করে। এভাবে আস্তে প্রহার এর পরেও যদি স্ত্রী নিজেকে সংসধণ না করে তবে স্মামী, স্ত্রী দুই পক্ষ হতেই বিচারক নিয়গ দিয়ে বেপারটার শুরাহা করা হবে। এ বেপারে বিস্তারিত পরের আয়াতগুলোতে এসেছে।
Tirmidhi volume 3, book 9, hadith 1977 (this hadith has been graded as HASAN)
It was narrated from Ibn 'Abbas that:
the Prophet said: "The best of you is the one who is best to his wife, and I am the best of you to my wives."
এ হাদিস এ নবী (সঃ) জানিয়ে দিলেন যে আমাদের মধ্যে তারাই সব থেকে শ্রেষ্ঠ যারা তাদের স্ত্রী এর কাছে ভাল। আমরা মুসলমানেরা সবাই নবীএর কথা মেনে চলতে চাই, এবং শ্রেষ্ঠ হতে চাই। অহেতুক স্ত্রী এর উপর জুলুম করলে, এবং তাকে বেধরক পেটালে আমরা কোন দিন ও শ্রেষ্ঠত্য পাব না।
অনেকে আবার বলতে পারে যে আবু দাওদ এর একটা হাদিস এর কথা।
সুনান আবু দাউদ, বই ১১ হাদিস ২১৪২:
ওমর বিন খাত্তাব বলেছেন: নবী (দঃ) বলেছেন, “কোন স্বামীকে (পরকালে) প্রশ্ন করা হবে না কেন সে বৌকে পিটিয়েছিল”।
আসলে এটা একটা দুরবল হাদিস। নাসিরুদ্দিন আল্বানী এটাকে দাইফ বলেছেন।
এ লিঙ্ক এ যেয়ে এ হাদিস এর English reference মিলিয়ে নিজেরাই জাচাই করতে পারেন।
http://sunnah.com/abudawud/12
আশা করি এ আয়াত এর শঠিক বেক্ষা দিতে পেরেছি। ভুল ত্রুতি হলে আমাকে ক্ষমা করবেন। আর বানান ভুল এর জন্যেও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
বিষয়: বিবিধ
১৬৯৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এখানে স্বামীর সংসারের দেখভাল করা , স্বামীর সন্তানদের দেখভাল করা তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে , যেহেতু সে স্বামীর অনুগত কারণ স্বামী তার জন্য ব্যয় করছে।
চাকরি করে কি এসব মেনটেইন করা যায় ?
করা সম্ভব , তবে স্বামীকে ঠকিয়ে । কারণ স্বামীর থেকে ঠিকই সে নিয়ে নিচ্ছে , কিন্তু দেবার বেলায় সে কম দিচ্ছে বা দিচ্ছেই না এবং আরেকজনকে (প্রতিষ্ঠান)দিচ্ছে।
সে যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে সে প্রতিষ্ঠানের চাকরির সময় যদি ৯-৬ টা হয় , তাহলে সে কি ঐ একই সময়ে আরেকটা প্রতিষ্ঠানে সাইড বাই সাইড চাকরি করতে পারবে ? বা তার প্রথম প্রতিষ্ঠান কি সেটা এলাউ করবে ?
স্বামীরা যথেষ্ট বোকা বলেই স্ত্রীদের এই বেশরিয়তি আবদার মেনে নেয় যেটা মহিলাটির চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান তো কখনও দিবেই না এবং সেও এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের প্রতি দায়বদ্ধ থাকে যে একজনের জন্য কাজ করার সময় আরেকজনের কাছে যাব কেন ।
কিন্তু স্বামীর কাছে সে এই অযাচিত দাবী করে বসে যেটা সে তার প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কাছে করতেই পারবে না ।
ফলে ছেলেটির সংসার ও সন্তানরা নষ্ট হয়ে যায় , যেটার দেখভালের দায়িত্ব ছিল তারই স্ত্রীর যার কি না স্বামীরই অনুগত হবার কথা ছিল শরিয়ত মোতাবেক , প্রতিষ্ঠানের মালিকের নয় ।
***************************************************************
''আমি কি গোপনে তার অর্থ হতে টাকা নিতে পারি। নবী তাকে বললেন, “তুমি এবং তোমার সন্তানেরা তার অর্থ হতে নিতে পার প্রয়োজন মত যতটুকু যৈত্যিক। ''
০ তার মানে স্বামী-বাবার কাছ থেকে স্ত্রী ও সন্তানেরা না বলে টাকা নিতে পারবে যদি সে কৃপন হয় ?
ইসলাম যেখানে বিনা অনুমতিতে কারও ঘরে প্রবেশ করাটা পছন্দ করে না সেখানে নবীজী কি স্বামীর বা বাবার অনুমতি ব্যতিরেকে তার টাকা নেওয়াটা ঠিক বলবেন যতই সে কৃপন হোক ?
***************************************************************
'' মারতে হবে আস্তে, যেন স্ত্রী অন্যায় ত্যাগ করে। ''
০ সোজা আঙ্গুলে কি ঘি উঠে ? দুনিয়াকে কি এত সহজ মনে করেন আপনারা ?
যে আস্তে মারলেই অন্যায় ত্যাগ করার মত হয় সে তো সেকেন্ড ফেজ মানে শয্যা আলাদা করলেই শোধরিয়ে যাবার কথা । এতটা এগিয়ে যাবার ফলে যদি আস্তেই মারতে বলা হয় তাহলে স্ত্রী সংশোধন তো দূরের কথা নারী নির্যাতনের মামলা দিয়ে দেবে এবং তাই হয় ।
বাবা যদি তার বখে যাওয়া সন্তানের বিচার এই ''আস্তে'' করে তাহলে তা সন্তানকে পরোক্ষভাবে উসকে দেওয়াই হয় । সে শোধরায় না বরং আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে ।
***************************************************************
''এ হাদিস এ নবী (সঃ) জানিয়ে দিলেন যে আমাদের মধ্যে তারাই সব থেকে শ্রেষ্ঠ যারা তাদের স্ত্রী এর কাছে ভাল। ''
০ স্ত্রী যাই রান্না করলো স্বামী সেটা খারাপ বলবেই । এবং স্বামীর ডিসিশনই ফাইনাল কারণ এখানে স্ত্রীর রান্নার একমাত্র পরীক্ষকই সে । হাজার ভাল রান্না করলেও সে যদি বিভিন্ন অজুহাতে সেটাকে খারাপ বলে তাহলে স্ত্রীর ভাল রান্নার কোনমূল্য নেই ।
এখন স্ত্রী যদি খুল্লাম খুল্লা চলতে চায় এবং স্বামী যদি সেটার বাঁধা দেয় তাহলে সে স্বামী তার স্ত্রীর কাছে কিছুতেই উত্তম বলে বিবেচিত হবে না ।
মায়ের প্রতি যত্নশীল ছেলেদের বউয়েরা সব সময়ই তাদের স্বামীদের উপর এ ব্যাপারে অসন্তুষ্ট থাকে । এক্ষেত্রেও বেচারা স্বামী/ছেলের বেহেশত ও উত্তম হওয়া কনফ্লিক্টের মধ্যে পড়ে ।
**************************************************************
মেরাজ এর পর রাসূল (সাঃ) মহিলাদের বলেছিলেন যে , আমি দোজখে তোমাদের বেশী দেখেছি কারণ তোমরা তোমাদের স্বামীদের প্রতি অকৃতজ্ঞ এবং তাদের বেশী বেশী অভিশাপ দাও''
ভাই আপনি কি চান? আপনার বৌকে গরুর মত পিটিয়ে রক্তাক্ত করতে? দুঃখের ব্যপার হচ্ছে এটা জায়েয নেই। নবী (সঃ) এটাকে নিশীদ্ধ করেছেন। উল্লেখিত হাদিসটি সাহিহ হাদিস।
It was narrated from Ibn 'Abbas that:
the Prophet said: "The best of you is the one who is best to his wife, and I am the best of you to my wives."
নবী (সঃ) বলে দিলেন যে আমাদের মধ্যে তারাই ভাল যারা তাদের স্ত্রী এর প্রতি ভাল। একজন স্মামী ভাল হবে তখনই যখন সে তার স্ত্রী এর প্রক্রিত অর্থে ভাল চাবে এই দুনয়ায় এবং আখেরাতে। সুতরাং স্মামী তার স্ত্রী অন্যায় করলে তাকে অবস্যই শাশন করবে। কিন্তু অনেকে বলতে চায় যে ইসলাম এ বৌ পেটাতে কোন বাধা নেই। তাই এ হাদিস থেকে স্পস্ট যে অহেতুক বউ পেটানো, এবং বউ এর উপর জুলুম করা জাজেজ নেই।
গরুর মত আগে হয়ত পেটাতো । আর এখন ? টাচ করলেই তো নারী নির্যাতনের মামলা । আর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সেক্স করতে চাইলে রেপ এর কেস।
মন্তব্য করতে লগইন করুন