যুদ্ধ কর,প্রেম কর না। কারণ যুদ্ধ করলে হয় তুমি বাঁচবে না হয় তুমি মরবে। কিন্তু প্রেম করলে তুমি না পারবে বাঁচতে না পারবে মরতে।
লিখেছেন লিখেছেন ভোলার পোলা ১৫ মে, ২০১৬, ০৯:৩৩:২৪ সকাল
হিটলার ছোট বেলায় তার খেলার
সাথীদের
বলতেন তোমরা যদি আমাকে
প্রেসিডেন্ট
বলে স্লোগান দাও তাহলে আমি
তোমাদের
মিষ্টি খাওয়াব। হিটলারের
বন্ধুরা
তখন
হিটলারকে প্রেসিডেন্ট বলে
স্লোগান
দিতে লাগল। হিটলার সবাইকে
মিষ্টির
দোকানে নিয়ে গেলেন,সবাইকে
মিষ্টি খাওয়ালেন।
কিন্তু দোকানদার যখন মিষ্টির বিল
চাইলেন
তখন হিটলার বললেন - দেখেন না ?
ওরা আমার নামে স্লোগান
দিচ্ছে,আমি এই
দেশের প্রেসিডেন্ট !
প্রেসিডেন্টের মিষ্টির
বিল দেয়া লাগেনা।
হিটলার পরে যখন জার্মানির
প্রেসিডেন্ট
হয়ে ছিলেন তখন এক সাংবাদিক
প্রশ্ন
করেছিলেন- প্রেসিডেন্ট
হিসেবে
আপনার
প্রথম কাজ কি?
তখন হিটলার হাসতে হাসতে
বলেছিলেন- সর্ব
প্রথম কাজ হচ্ছে সেই মিষ্টির
দোকানের
বিল পরিশোধ করা যে দোকানের
মিষ্টি খেয়ে ছোট বেলায় আমি
বিল
না দিয়ে চলে এসেছিলাম।
হিটলার ১৯১৪ সালে বিশ্ব যুদ্ধে
সৈনিক
হিসেবে যোগ দেন। এর পর তিনি
লেবার
পার্টিতে যোগ দেন,১ বছরের
মাথায়
তিনি মেধার জোরে লেবার
পার্টির প্রধান
হন। পরে এই লেবার পার্টির নাম
পরিবর্তন
করে নাত্সি পার্টি রাখা হয়।
হিটলার লেবার
পার্টির প্রধান হলে এই দলের
জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে,লেবার
পার্টির
বিরোধীরা হিটলারকে এ জন্য
জেল
খাটায়, ১
বছর পর তিনি জেল থেকে
বেরিয়ে
আসেন।
তিনি রাস্তায় রাস্তায় দাড়িয়ে
ভাষন দিতেন,
এই ভাষন মানুষ মন্ত্র মুগ্ধ
হয়ে শুনত,ঘন্টার পর ঘন্টা হিটলার
ভাষন
দিতেন কিন্তু মানুষের কাছে মনে
হতো এই
বুজি ১ মিনিট হল।
হিটলারের
জনপ্রিয়তাসারা দেশে ছড়িয়ে
পড়ল।
হিটলার
স্বপ্ন দেখলেন পুরো পৃথিবী শাসন
করবে জার্মান।
হিটলার সাধারন সৈন্য থেকে
হয়ে
গেলেন
জার্মানির প্রেসিডেন্ট।
হিটলার বিখ্যাত হয়েছিলেন ৬০
লক্ষ
ইহুদী মেরে। কিন্তু হিটলার এক
ইহুদীকে কাছে পেয়েও হত্যা
করেনি।
সে হল
হিটলার পরিবারের পারিবারিক
ডাক্তার,যিনি হিটলারের
বাবা মারা গেলে হিটলার
পরিবার
থেকে কোন
চিকিৎসার ফি নিতেন না।
হিটলার এ
জন্য এই
ইহুদীকে পবিত্র ইহুদী খেতাব দেন।
টাইটানিক জাহাজের মৃত্যু যেমন
বরফের
আগাতে হয় তেমনি হিটলারের মুল
শক্তির
মৃত্যু এই বরফের কারণে হয়।
হিটলার যখন রাশিয়া আক্রমণ করে
তখন
জানতেন না রাশিয়ায় রাত
হলে তাপমাত্রা হিমাংকের
নিচে
চলে আসে।
রাশিয়া আক্রমণ করতে গিতে
হিটলারের লক্ষ
সৈন্য তুষারপাতে মৃত্যু বরন করেন।
হয় তো আজ ইতিহাস
অন্যভাবে লেখা হত,হিটলার
হতেন
পৃথিবীর
শ্রেষ্ঠ বীর।
হিটলার কিলিং মেশিং হলেও
হিটলারের
জীবনে প্রেম এসেছিল। লাইলি
মজনু,রোমিও
জুলিয়েটের সাথে হিটলার ইভা
ব্রাউনের নাম
উচ্চারিত হয়।
পারিবারিক সমস্যা ও বাধার
কারনে
হিটলের
দীর্ঘ জীবনের প্রেম বিয়েতে
পৌছায়নি।
কিন্তু মৃত্যুর দু- এক ঘন্টা আগে
তাদের
বিয়ে হয় ।সোভিয়েত বাহিনী
যখন
হিটলারকে ঘিরে ফেলে তখন
হিটলার সিদ্ধান্ত
নেন তিনি ধরা দিবেন
না,আত্নহত্যা
করবেন।
তিনি ইভাকে পালিয়ে যেতে
বলেন,কিন্তু
ইভা তার ভালবাসার
মানুষকে ছেড়ে যেতে রাজি হয়
না।
হিটলার
বাংকারে বসে নিজের মাথায়
নিজে গুলি করে।
ইভা বিষ পান করে ভালবাসার
মানুষের
চলে যাওয়া পথ অনুসরন করেন।
হিটলার ছিলেন লৌহ
মানব,কিলিং মেশিন,একজন
যোদ্ধা,একজন
প্রেমিক।
হিটলার প্রেম ও যুদ্ধ দুটো নিয়েই
খেলেছেন।
তাই এ দুটো সম্পর্কে হিটলারের
চেয়ে বেশি কেউ জানে না।
তাই
হিটলার
বলেছেন- যুদ্ধ কর,প্রেম কর না। কারণ
যুদ্ধ
করলে হয় তুমি বাঁচবে না হয় তুমি
মরবে।
কিন্তু প্রেম
করলে তুমি না পারবে বাঁচতে না
পারবে মরতে।
বিষয়: বিবিধ
১৫২৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন