থার্টি ফাস্ট নাইট। ইসলাম কি বলে এ ব্যাপারে???

লিখেছেন লিখেছেন ভোলার পোলা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৯:৪০:১৫ সকাল

আজ ৩১ ডিসেম্বর ‘থার্টি

ফাস্ট

নাইট’ তথা ইংরেজি নববর্ষ ’১৬।

পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে

নতুন

বছরকে স্বাগত জানানোর উৎসব

থার্টি ফাস্ট নাইট’। নতুন বছরটি

মুসলিম

উম্মাহর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিগত

একটি বছরের পর্যালোচনা

(হিসেব-

নিকাশ) ও নতুন এক বছরের (২০১৬

সালের)

পরিকল্পনা গ্রহণ করা সচেতন

মুমিনের

ঈমানি দায়িত্ব।

ইংরেজী নববর্ষ পালন করা

মুসলিম

উম্মাহর জন্য বৈধ নয়। ইংরেজী

নববর্ষের

সাথে মুসলমানদের সম্পর্ক

সুস্পষ্ট। তাই

বলে খৃষ্টানদের অনুকরনে

ইংরেজী বছর

শেষে পরবর্তী নববর্ষের রাত

তথা ‘থার্টি ফাস্ট নাইট’ (১২টা



মিনিট) পালন সম্পূর্ণ হারাম

কাজ।

কারণ, এ রাতে বাংলাদেশসহ

সারা বিশ্বে অশ্লীলতা-

নগ্নতা ও

বেহেল্লাপনার বন্যায়

প্লাবিত হয়। মদ

পান, ছেলে মেয়ের যৌন

উম্মাদনাসহ

বিভিন্ন অনৈতিক,

কর্মকান্ডের ও

নোংরা অনুষ্ঠান

করে ইংরেজী নববর্ষকে বরণ

করান হয়

(স্বাগত জানানো হয়)।

যা ইসলামে অত্যন্ত ঘৃণ্য ও

গর্হিত কাজ।

ইসলামে নৈতিকতাহীন

ক্রিয়া কর্মের

অশ্লীল উপভোগ নেই।

বেহায়পনা,

অশ্লীলতা ও নোংরামীকে

ইসলাম

কখনো সমর্থন করে না।

ইংরেজী নববর্ষ

তথা ‘থার্টি ফাস্ট নাইট’

ইসলামে অবৈধ এবং এটা

খৃষ্টানদের

সংস্কৃতি। থার্টি ফাস্টে

অসামাজিক

কার্যকলাপ বহুগুণে বেড়ে যায়।

জাতীয়

পত্র পত্রিকার শিরোনামের

অনেকটাই

দখল করে থাকে থার্টি ফাস্ট

নাইটের

রমরমা কাহিনী। পর্ণো মুভি,

নেশাদ্রব্য, আপত্তিকর নাচ গান

সহ

বিভিন্ন বেহায়ামিপূর্ন

কীর্তিকলাপ

দ্বারা থার্টি ফাস্ট উদযাপন

গত কয়েক

বছর ধরেই বাংলাদেশে চলে

আসছে।

একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে,

দশক

আগে কেউ এ দিবস এহেনভাবে

উদযাপন

করতেন না। কিন্ত ভিনদেশের

সংস্কৃতি আমাদের দেশের

দালাল

মিডিয়া আমদানি করত: আমরা

আজ এ

দিবসগুলোতে শরীয়ত বিরোধী



গোনাহের কাজে লিপ্ত

হয়ে ঈমানদারগণ তাদের ঈমান-

আমলকে বিনষ্ট করছে। থার্ট

ফাস্টে নাইটে রাজধানীর

হোটেল,

নাইট ক্লাব ও

উদ্যানগুলো জেনা

ব্যাভিচারের

বাজার বসে । নাচ গান,মদ ও

নেশা খেয়ে এক তরুণ অপর

তরুণীর পবিত্র

সতিত্বকে ভোগ করে। এর

প্রমাণ গত

বছরের প্রকাশিত বিভিন্ন

দৈনিক

কাগজ। বিভিন্ন হোটেল ও

স্পটগুলোতে অচেতন অনেক

যুবতীদের

বভৎসরূপে পাওয়ার ছবিও

জাতীয়

দৈনিকে এসেছে।

মূলত এটা খৃস্টানদের সংস্কৃতি

হলেও

প্রতি বছর এটা মুসলিম উম্মাহগণও

পালন

করে থাকেন। কিন্তু

এটা করতে গিয়ে আমরা অনেক

সময়

উচ্ছৃঙ্খল হয়ে পরি, শরীয়ত

সীমালঙ্ঘন

করে ফেলি। অশ্লীলতা ও

নোংরামীতে লিপ্ত হয়ে

পড়ি।

এটা মুসলামানী কোন সভ্যতা,

সংস্কৃতি হতে পারে না ।

বরং এটা একটি অপসংস্কৃতি।

ইহুদী খৃষ্টানদের কালচারকে

মুমিন

মুসলমানরা আজ অনুসরণ করছে।

থার্টি ফাষ্ট নাইট বিজাতীয়

সংস্কৃতির অনুসরণ এবং

অশ্লীলতার

মহাপ্লাবন। এটা বিজাতীয়

সংস্কৃতি ।

একজন ঈমানদার মুসলমান ও

রুচিশীল-

সচেতন মানুষ কিভাবে

বিজাতীয়

সংস্কৃতি ও বেহায়াপনাকে

সমর্থন

করে তা বোধগম্য নয়।

কারণ নবীজী সা. ইরশাদ করেন,

‘যে অন্য

জাতির সাথে আচার-আচরণে,

কৃষ্টি-

কালচারে সামঞ্জস্য গ্রহণ

করবে সে তাদের দলভূক্ত

বিবেচিত

হবে। (-সুনানে আবু দাউদ শরফি)

পবিত্র কুরআনে মহান

আল্লাহপাক সুস্পষ্ট

ইরশাদ করেন, ‘প্রত্যেক জাতির

জন্য

আমি একটি নির্দিষ্ট বিধান

এবং সুস্পষ্ট পথ নির্ধারণ

করেছি’। (-

সুরা মায়িদাহ আয়াত-৪৮)

একজন ঈমানদার নর-নারীর

প্রতিটি দিন-রাত উৎসব ও

আনন্দের।

বছরে গুটি কয়েক দিন নয়

বরং প্রতিটি দিন আনন্দের।

প্রতিটি দিন ক্ষণ আমাদের জন্য

মুল্যবান।

বিশেষ করে থার্টি ফাস্ট নাইট

আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ণ রাত।

আমাদের দায়িত্ব ছিল এই

রাতে অনুশোচনা (বিগত বছরের

পর্যালোচনা) ও

আত্মসমালোচনা করে আগামী

বছরের

(পরিকল্পনা গ্রহণ) কল্যাণ

কামনা করত:

সিজদাবনতে হয়ে থাকা।

তাওবাহ,

ইস্তেগফার, দোয়া- দুরুদ, নফল

নামাজসহ

ইত্যাদি ভাল কাজের মাধ্য

রাত গুজার

করা।

গত এক বছরে ক'টি ভাল কাজ ও

কতগুলো গুনাহের কাজ

করেছেন এ

বিষয়ে নিজের ভুল ত্রুটির জন্য

আত্মসমালোচনা করা।

হযরত ওমর )রাHappy বলেন, "তুমি

নিজের

হিসাব নিজে করে নাও

তোমার কাছ

থেকে হিসাব নেওয়ার পুর্বে"।

অথচ এই

অনুশোচনার পরিবর্তে আমরা

নগ্নতার

বন্যায় গড্ডালিকা প্রবাহে

নিজেদের

গা ভাসিয়ে দিচ্ছি।

আমাদের প্রধান

দায়িত্ব ছিল

আত্মসমালোচনা করে নয়া

বছরের জন্য

পুরোদমে প্রস্তুতি নেয়া।

যারা থার্টি ফাস্ট নাইট

উদযাপনের

প্রস্তুতি নিয়ে অধির

প্রতীক্ষায়

রয়েছেন, তাদের ব্যাপারে

আল্লাহ

বলেন, "তোমরা যা করনা কেন

আমি সব

বিষয়ে অবগত। তোমাদের

কার্যকলাপ

সর্ম্পকে আমি বেখবর নই।

জাহান্নামের

কঠিন

শাস্তি দিয়ে তোমাদেরকে

স্বাগত

জানানো হবে। ইচ্ছে মত যা মন

চায়

করো। তবে সবাই একদিন আমার

কাছে প্রত্যবর্তন করতে হবে"।

(সূরা;৩৩)

রাসুল (সাঃ ) ইরশাদ

করেন,‘যদি তুমি খারাপ কাজ

করো, আর

তোমার খারাপ লাগে, ভাল

কাজ

করে ভাল লাগে তাহলে তুমি

মুমিন।

কিন্তু যদি খারাপ কাজ

করে ভালে এবং ভাল কাজ

করে খারাপ লাগে তাহলে

তুমি মুমিন

হতে পার না’। (-মুসলিম শরীফ)

আল্লাহ তায়ালা আমাদের

সকলকে থার্টি ফাস্ট নাইট

নামক

অপসংস্কৃতির বিষাক্ত ছোবল

থেকে বিরত রাখুন।

বিষয়: বিবিধ

২১৮৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

355841
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৪৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File