পরকীয়া ও মৃত্যু। কাকে দোষ দিবেন আপনি?
লিখেছেন লিখেছেন ভোলার পোলা ২৯ মার্চ, ২০১৫, ০৭:০০:২৮ সকাল
সত্য ঘটনা অবলম্বনে কিন্তু নাম গুলো কাল্পনিক।
বিয়ে করে বউকে রেখে বিদেশে যায় পলাশ।
ঘরে তার সুন্দরী বউ সুলতানা, আর কেউ নাই একা থাকে সুলতানা ...বিভিন্ন লোক বিভিন্ন ভাবে তাকে কু প্রস্তাব দিতে থাকে কিন্তু সুলতানা রাজি হয় না।
একসময় রতন তাকে আটকে ফেলে ভালবাসার জালে। সম্পর্ক হয় রতনের সাথে সুলতানা র।
চলতে থাকে তাদের অবৈধ প্রেম।
.......
..
এক সময় রতন ও চলে যায় বিদেশে ......
সুলতানা পরে যায় আবার সেই একা ...
দিন তার কিছুতেই কাটে না ...
স্বামী কে দেশে আসতে বলে ...
স্বামী আর কিছু দিন অপেক্ষায় থাকার কথা বলে আরো বিভিন্ন ভাবে তাকে বুঝায় ......
এই দিকে তার ছোট দেবর ও বড় হয়ে ভাবটিকে কাছে পেতে চায়।
এক পর্যায়ে হয়ে যায় দেবড়ের সাথে সুলতানার অবৈধ প্রেম সম্পর্ক। চলতে থাকে অনেক দিন ......দুই বছর পরে দেশে চলে আসে আগের অবৈধ প্রেমিক রতন ......
এই দিকে সুলতানা আর রতন কে চায় না। কারন তার ত দেবড় ই আছে।
রতন কিছু তেই তা মানে না।
দেবড় ভাবির অবৈধ প্রেমের কথা জানিয়ে দিতে চায় পলাশ কে।
এটা শুনে নতুন কৌশল খাটায় দেবড় ভাবি।
সু কৌশলে মেরে ফেলে রতন কে ........
কিন্তু হতবাগা পলাশ (তার স্বামী) এসবের কিছুই জানে না।
আর এই খুনের দায়ে মামলা হয় আসামি ভাবি ও দেবড় কে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় ......
এটি একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত চার্জশিট রিপোর্ট থেকে নেওয়া।
এখন এখানে আপনি কাকে দায়ী করবেন??
পলাশ কে না রতন কে না সুলতানা কে নাকি তার দেবোর কে???????
বিষয়: বিবিধ
৩০৮৮ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি ব্লগে খুবই কম আসি।
এই লেখাটি ও প্রথম ফেসবুকে প্রকাশ করি।
অনেক মতামত এসেছে কিন্তু এতো সুন্দর মতামত কেউ দিতে পারে নাই।
আমার পক্ষ থেকে বলি বিয়ে করে বউকে রেখে বিদেশে না যাওয়া ই ভালো।
তবে হ্যাঁ যদি একান্তই যেতে হয় তাহলে তার স্ত্রী কে যাতে যৌথ পরিবারের সাথে রেখে যায়। আর তার সাথে স্ত্রী কে ও ইসলামী জীবন যাপন সাথে। পরকালের চিন্তা করে কস্ট করে থাকা।
আবারো ধন্যবাদ মতামতের জন্য।
০ ছেলে প্রবাসী এবং তাকে বিয়ের পর সে নিতে পারবে না জেনেও শুধু টাকার লোভে সে প্রবাসীকে বিয়ে করেছে ।
০ সে সত থাকতে পারলো না তার স্বামীর কাছে । তার স্বামীই যদি বিদেশে আরেকটা মেয়ের সাথে পরকীয়া করতো তাহলে কাকে দোষী করা হত ?
বিয়েকে যারা খুবই ঠুনকো একটা ব্যাপার ভাবে তারাই একের অনুপস্থিতিতে আরেকজন পরকীয়া করে থাকে ।
একজন যখন তার ভরণপোষনের ব্যবস্থা করছে না থেকেও শুধুমাত্র কৃতজ্ঞতার খাতিরেও তো তার সাথে প্রতারনা করার মানসিকতা পরিহার করা উচিত।
ফুসলানী দুইজনেরই কাছে আসতে পারে । কে নিজেকে কতটা নিয়ন্ত্রন করে রাখতে পারে সেটাই তো ঈমানের পরীক্ষা।
আমার পরিচিত এক প্রবাসী স্ত্রী তথা আমার ক্লাস মেট আছে যার স্বামী প্রবাসী আর এই সুযোগে এলাকার এক ছেলে ভিবিন্ন ভাবে প্রেম করার চাপ দেয়। এখন তার চলাচল ও হুমকির মুখে। তাদেরকে কি দোষ দেওয়া যায় না।
তবে এতটুকু বলতে পারেন যে সমান অপরাধ তাদের।।।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুক। আমিন
দীর্ঘদিন স্বামির সাহচর্য না পাবার কারণে যদি স্ত্রী অন্যগামী হয়য়, তাহলে ব্যভচারের অপরাধে তাকে শাস্তি ভোগ করতেই হবে! তবে হা, স্বামী বিনা কারণে অধিক কাল স্ত্রীকে যৌন পূরণে বঞ্চিত রাখে, তাহলে স্ত্রীর ব্যভিচারে স্বামী তিরস্কৃত হবে কিন্তু স্ত্রী শাস্তি থেকে রেহাই পাবে না!!!!! আর স্বামীর আসতে দেরি হয়েছে বলে সইতে না পেরে কাউকে দেহ দান করা যদি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ক্ষমার যোগ্য কাজ হয়, তাহলেতো প্রবাসীদের প্রত্যেকটি পরিবার যৌনাচারে সয়লাব হবে!
আর যারা অন্যের বউএর সাথে কিংবা অন্যমেয়েদের সাথে বিবাহবহির্ভুতভাবে যেনা করে , যেনার শাস্তি তারা ভোগ করতে হবে।
একজনের কাছে তো ভয়াবহ এক কথা শুনেছি সিলেটে নাকি সবচাইতে পরকীয়া বেশি। এবং এই পরকীয়া র কথা একে অপর এবং পরিবারের সবাই না হলেও অনেকেই জানে।
পরিশেষে আমি বলবো বিয়ে করে প্রবাসে না যাওয়াই ভালো।
Click this link
পরকীয়ার জন্য আমাদের মত দেশে সর্বপ্রথম দায়ী শিক্ষা ব্যবসা! তার পর সমাজ পাশাপাশি পরিবার ও দায়ী!
দুঃখের বিষয় দায় কেউ মেনে নিতে চাইনা, দায় মেনে নেয়ার কোন দায়িত্বশিলতা নেই জবাবদিহিতা নেই।
পরকীয়া থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন স্বামী স্ত্রীর পরস্পর ভালবাসা আন্তরিকতা ও একজন আরেক জনকে বুঝা!! ধার্মিক হওয়াটাও প্রধান শর্ত.......!
মন্তব্য করতে লগইন করুন