বিয়ে সম্পর্কিত কিছু হাদীস .......
লিখেছেন লিখেছেন ভোলার পোলা ১৯ মার্চ, ২০১৫, ১১:১২:০৪ রাত
যারা বিয়ে নিয়ে ভাবছেন তাদের জন্য কিছু হাদীস সংরহ করলাম। মুসলমান হিসাবে অবশ্যই পড়া উচিত বলে মনে করি।
১. মাসনূন বিবাহ সাদা সিধে ও অনাড়ম্বর হবে, যা অপচয়, অপব্যয়, বেপর্দা ও বিজাতীয় সংস্কৃতি গান বাদ্য, ভিডিও অডিও মুক্ত হবে এবং তাতে যৌতুকের শর্ত বা সামর্থের অধিক মহরানার শর্ত থাকবেনা। (তাবারানী আউসাত, হাদিস নং- ৩৬১২)
২. সৎ ও খোদাভীরু পাত্র-পাত্রীর সন্ধান করে বিবাহের পূর্বে পয়গাম পাঠানো। কোন বাহানা বা সুযোগে পাত্রী দেখা সম্ভব হলে, দেখে নেয়া মুস্তাহাব। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটা করে পাত্রী দেখানোর যে প্রথা আমাদের সমাজে প্রচলিত তা সুন্নতের পরিপন্থী ও পরিত্যাজ্য। (বুখারী হাদিস নং-৫০৯০, ইমদাদুল ফাতাওয়া-৪: ২০০)
৩. শাউয়াল মাসে এবং জুমুয়ার দিনে মসজিদে বিবাহ সম্পাদন করা। উল্লেখ্য, সকল মাসের যে কোন দিন বিবাহ করা যায়িজ আছে। (মুসলিম ১৪২৩/ বায়হাকী ১৪৬৯৯)
৪. বিবাহের খবর ব্যাপকভাবে প্রচার করে বিবাহ করা এবং বিবাহের পরে আকদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকদের মাঝে খেজুর বন্টন করা। (বুখারী/৫১৪৭)
৫. সামর্থানুযায়ী মোহর ধার্য করা। (আবু দাউদ/২১০৬)
৬. বাসর রাতের পর স্বীয় আত্মীয় স্বজন, বন্ধু- বান্ধব, শুভাকাংখী এবং গরীব মিসকীনদের তাউফীক অনুযায়ী ওলীমা খাওয়ানোর আয়োজন করা। (মুসলিম/১৪২৭)
৭. কোন পক্ষ যেওরের শর্ত করা নিষেধ এবং ছেলের পক্ষ থেকে যৌতুক চাওয়া হারাম। (আহসানুল ফাতাওয়া ৫/১৩)
৮. কনের ইযন এর জন্য স্বাক্ষীর কোন প্রয়োজন নাই। সুতরাং ছেলের পক্ষের লোক ইযন শুনতে যাওয়া অনর্থক এবং বেপর্দা। সুতরাং তা নিষেধ। মেয়ের কোন মাহরুম বিবাহের এবং উকীল হওয়ার অনুমতি নিবে। (মুসলিম/১৪২১)
৯. শর্ত আরোপ করে বর যাত্রীর নামে বরের সাথে অধিক সংখ্যাক লোকজন নিয়ে যাওয়া এবং কনের বাড়ীতে মেহমান হয়ে কনের পিতার উপর বোঝা সৃষ্টি করা আজকের সমাজের একটি জঘন্য কু-প্রথা, যা সম্পূর্ন রুপে পরিত্যাগ করা আবশ্যক। (মুসনাদে আহমাদ/২০৭২২, বুখারী/২৬৯৭)
১০. ওলীমায় অতিরিক্ত ব্যয় করা কিংবা খুব উচু মানের খানার ব্যবস্থা করা জরুরী নয়। বরং সামর্থানুযায়ী খরচ করাই সুন্নত আদায়ের জন্য যথেষ্ট। যে ওলীমায় শুধু ধনী ও দুনিয়াদার লোকদের দাওয়াত দেওয়া হয়, দ্বীনদার ও গরীব গরীব-মিসকিনদের দাওয়াত দেওয়া হয়না, সে ওলীমাকে হাদিসে নিকৃষ্টতম ওলীমা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সুতরাং এ ধরনের ওলীমা আয়োজন থেকে বিরত থাকা উচিত (আবু দাউদ /৩৭৫৪
বিষয়: বিবিধ
৪০৭১ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমাদের সমাজে মোহরানার পরিমান নিয়ে বড়াই করা হয়। এটা বড়াই করার জন্যেই বেশী নির্ধারন করা হয়। স্বামী ধনী হলেও বেশীরভাগ সময় তা পরিশোধ করেনা। অথচ এই মোহরানা নির্ধারণ করবে কন্যা এবং তিনি তার হবু স্বামীর আর্থিক দিকটি বিবেচনা করবেন। তার উপর কষ্ট নেমে আসে এমনটা তিনি চাইবেন না। আর ওলিমায় যদি গরিবরা থাকে,তবে আল্লাহ খুশী হয়। এর আরেকটি সামাজিক দিক রয়েছে। সমাজে সাধারনত গরিবরা উপেক্ষিত। তাই তারা যদি দাওয়াত পায় তবে তারা নিজেদেরকে সম্মানিত মনে করে এবং উত্তম প্রতিবেশী হয়ে ওঠে। সুন্নাহর মধ্যেই শান্তি এবং কল্যান
ধন্যবাদ মতামতের জন্য।
কিকিন্তু কিছু ত শুরু করতে হবে। আশা করি নিজে বিয়ে করার সময় এরকম করার ই চেষ্টা থাকবে।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন