একটি ঘটনা ও বই মেলার নাস্তিকদের বই.ব্লগার দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লিখেছেন লিখেছেন ভোলার পোলা ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৪:৫০:৩৬ বিকাল
একটা দরিদ্র
ছেলে রাতের বেলা কোরআন পড়ছিল
হঠাত্
তেলশেষ
হয়ে বাতিটা নিভে যাওয়ায় ছেলেটি মনের দুঃখে কাঁদতে লাগলো
আরবলতে লাগলো হে আল্লাহ
আমায় এত
গরীব করে কেনো দুনিয়াতে পাঠালে তেল কিনে কোরআন পাঠ
করার সামর্থও যে আমার নাই।তখন ঐ
ছেলেটির কান্না শুনে একজন যুবক তার
দরজায়
ঘা মারলো ছেলেটি দরজা খোলার
পরতাকে জিজ্ঞাসা করলেন:তুমি কাঁদছো কেনো?
অতঃপর ছেলেটি তাকে বললো আমি এতই
গরীবযে তেল কিনে কোরআন
তেলাওয়াত
করতেও পারছিনা।অতঃপর
যুবকটি বললেন:তুমি কেঁদনা আমি তোমার
জন্যকেরোসিন নিয়ে আসছি।কিছুক্ষন
পরে যুবকটি কেরোসিন
কিনে এনে বলে ছিলেন:আমি জীবনে আর
মদ খাব না এতদিন যতটা কার মদ খেতাম
এখন
থেকে সেই টাকা দিয়ে তোমাকে কোরআন
পড়ারজন্য কেরোসিন কিনে দেব। ওই
রাতেই যুবকটি মারা গেলেন
কিন্তু সে মদ
খেত বলে এলাকার লোকজন কেউ তার
দাফন
কাফন করতে চাইলো না,এমনকি তার
লাশ
ঐ এলাকার কবরস্হানে দাফন করতেও
দিবেনা বলে জানালেন।অতঃপর
যুবকটির
লাশ জঙ্গলে ফেলে রেখে আসা হল।
কিন্তু
আল্লাহরকি কুদরতি মহিমা তিন দিন
তিন
রাত অতিবাহিত হবার পরেও
লাশটি সম্পূর্ন অক্ষত অবস্হায় ছিল।বনের
কোনো হিংস্র জন্তু
জানোয়ারছিড়ে খাবে তো দূরেরকথা একটা পোকা
মাকড়ওতার
মৃতদেহ স্পর্স করেনি।এমনি ভাবে চার
দিন কেটে যাবারপর ঐ এলাকার তিনজন
আল্লাহওয়ালা লোক স্বপ্নে দেখলেন যুবকটির
লাশ দাফন করতে হবে। পরের দিন
তারা তিন জন
মিলিত হয়ে লাশটিকে জঙ্গল থেকে তুলে এনে গোসল করিয়ে
কাফন পড়িয়ে জানাযার আয়োজন
করলেন,কিন্তু এলাকা বাসী বললেন
একটা মদখোরের জানাযা আমরা পড়বো না।
তাই অল্প কিছু লোক নিয়েই
জানাযা আদায় করার
পর মৌলভী সাহেব জানতে চাইলেন এমন
কেউ কি না ইযে এই মৃত
ব্যক্তির একটি ভাল
কাজের কথা বলতে পারবে..?তখন একজন
লোক হাত তুললেন যার কাছ
থেকে যুবকটি ঐগরীব ছেলেটির জন্য
কেরোসিন কিনেছিলেন।
দোকানদার লোকটি
বললেন আমি তাকে বলতে শুনেছি জীবনে অনেক পাপ
করেছি দেখি যদি এই পূন্যের
কাজের বিনিময়ে আল্লাহ
আমাকে মাফ
করেন কিনা।তখন
জানাযার একেবারে পিছন থেকে একটা ছেলের
কান্নার আওয়াজ পাওয়া গেল এই
ছেলেটিই হল সেই কোরআন পাঠ
করা ছেলেটি,অতঃপর সে উপস্হিত
সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললোঃ আজ রাতে আমিও একটি স্বপ্ন
দেখেছি যিনি আমাকে কোরআন
পাঠকরার
জন্য এক টিন
কেরোসিন কিনে দিয়েছিলেন
তিনি বিশ্ব
নবীর সাথে জান্নাতে প্রবেশ
করছেন।
গল্প টি শেষ।
এখন কথা হচ্ছে যেই কোরআন সম্পর্কে অসংখ্য হাদীস রয়েছে যেই কোরআন পাঠের অনেক মুল্য দিয়েছেন ইসলাম ধর্মে।
সেই কোরআন এবং আমাদের নবী (স) কে নিয়ে নাকি বইমেলায় বই ছাপানো হয়েছে।
একজনের লেখার কিছু অংশ "
এবার বইমেলায় ‘রোদেলা’ প্রকাশনী’র
২৪২-২৪৪ নং স্টলে একটি জঘন্য বই
বেড়িয়েছে। বইটির নাম :
‘নবি মুহাম্মদের ২৩ বছর’। এ
বইটিতে পবিত্র কুরআন শরীফ
সম্পর্কে বলা হয়েছে, কুরআন শরীফ
নবীজি’র মস্তিষ্ক উদ্ভব, মহান আল্লাহ
তায়ালা’র পক্ষ থেকে নাজিলকৃত কোন
কিতাব নয়। নাউযুবিল্লাহ।
বইটির ২০ পৃষ্ঠায় দাবি করা হয়েছে,
পবিত্র মিরাজ শরীফ সম্পূর্ণ বানোয়াট।
লিংক https://www.facebook.com/story.php?story_fbid=1542112922730635&id=100007958252124
আমি যদিও বই মেলায় এখন গিয়ে দেখে আসতে পারবো না আসলেই কি সত্যি কি না আর যদিও সত্যি হয় তাহলে আমরা কি করছি বলেন তো?
যেই কোরআন নিয়মিত পড়ার কথা। তার অর্থ অনুধাবন করার কথা, যাকে আকড়ে ধরে জান্নাতে যাওয়ার কথা সেই কোরআন এর আজ এই মিথ্যাচার।
জানি না ব্লগে লিখা আমার পেশা না আমি মাঝে মাঝেই ব্লগে আসি কারো লেখা পড়ার ও টাইম পাই না আর তাই আমার ব্লগের পাঠক সংখ্যা ও কম।
যারা ভালো ভালো ব্লগার আছেন তারা হয়তো এ ব্যাপারে লিখবেন।
বিষয়: বিবিধ
২০৫২ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যাঁরা ঢাকায় আছেন তাঁরা সত্যতা যাচাই করে দেখতে পারেন-
সত্য হলে প্রতিবাদ করা উচিত
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ খবরটি(সত্য কিনা তা জানা না গেলেও) শেয়ার করার জন্য, জাযাকাল্লাহ
ও সেহসাল’ বা টোয়েন্টি-থ্রি ইয়ার্স : অ্যা স্টাডি অবদ্য প্রফেটিক ক্যারিয়ার অবমুহাম্মদ’ বাংলা অনুবাদকরেছেন, আবুল কাসেম ও সৈকতচৌধুরী।
ইরানের নিষিদ্ধলেখক আলি দস্তির ‘বিশত ও সেহসাল’ বা টোয়েন্টি-থ্রি ইয়ার্স : অ্যা স্টাডি অবদ্য প্রফেটিক ক্যারিয়ার অবমুহাম্মদ’ বাংলা অনুবাদকরেছেন, আবুল কাসেম ও সৈকতচৌধুরী।বইটির পরতে পরতে ইসলাম,ধর্মগ্রন্থ কোরআন, হজরতমুহাম্মদ সা. এবং নবীজি সা.-এর পবিত্র বিবিদের চরিত্রনিয়ে কলঙ্ক লেপন ও ধর্মঅবমাননার চিত্রফুঁটে উঠেছে। দীর্ঘ ২৮৮পৃষ্টার গ্রন্থের কিছুউদ্ধৃতি পাঠকেরসামনে আমরা উপস্থাপন করছি।হজরত মুহাম্মদ সা.-এরকাছে আল্লাহ তায়ালার পক্ষথেকে ওহি নয় ভূতআসতো বলে অভিযোগ করেছেনআলি দস্তি। গ্রন্থের ২৩পৃষ্টায় বলা হয়েছে,যারা কোরানের সাথে পরিচিততারা জানেন যে, কোরানহচ্ছে মুহাম্মদের নবি-জীবনেরবিভিন্নঘটনা এবং অভিজ্ঞতারপ্রতিফলন। কোরান থেকেইবোঝা যায় নবি কখনও এই ধরনেরবর্ণনা দেননি। এ-ধরনেরউপকথা সাধারণের কাল্পনিকআবিস্কার।তিনি আরও লিখেছেন, তাইবলা যায়, দীর্ঘ দিনধরে মরুভূমিতে একাকী সময়কাটানোর জন্য মুহাম্মদও একসময় অর্ন্তমুখী হয়ে পড়েন।ফলে আকস্মিকভাবে অনেক সময়তার ভূত দেখার অথবা সাগরেরঢেউয়ের শব্দ শোনার বিভ্রমহতো। পৃষ্টা : ২৯শুধু তাই নয়। আল্লাহতায়ালা প্রেরিত শেষনবী হজরতমুহাম্মদ সা.কে স্বঘোষিতভাবে ঈশ্বরেরপ্রতিনিধি বলতেও কুণ্ঠাবোধকরেননিতিনি।গ্রন্থে লিখেছেন, সর্বদা এইধরনের ব্যক্তিরা আর্বিভূতহয়েছেন,নবী বা রাসূলহিসাবে। অর্থাৎতারা স্বঘোষিতভাবে ঈশ্বরেরপ্রতিনিধি দাবি করেছিলেন।পৃষ্টা: ৪০কোরআনে বর্ণিত মেরাজেরঅলৌকিকঘটনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে,নবি সম্পর্কে অলীককল্পনা কেমন করে দ্রুত প্রসারলাভ করেছিল তার একটা উদাহারণদেয়া যেতে পারে। মেরাজেরঘটনা বলা শেষে লেখক বলেছেন,এই ধরনের আধ্যাত্মিক ভ্রমণআরও অনেক ভাবতান্ত্রিকব্যক্তিরওহয়েছে বলে শোনা যায়।পৃষ্টা : ২০আরও বলা হয়েছে, মুহাম্মদেরভাবুকমনের দুর্নিবার যাতনারফলস্বরূপ তিনি একঅশরীরি আত্মা বা দেবদূতেরসাক্ষাৎপান। পৃষ্টা : ৪২আদতে সমস্ত অলৌকিকঘটনা অপ্রতিপাদনযোগ্যকল্পকাহিনী অথবা দৃষ্টিভ্রম।পৃষ্টা : ৪০হজরত মুহাম্মদের নবি হওয়া, তারওপর ওহি আসার প্রশ্নতুলে ক্ষান্ত হননি লেখক।নিষিদ্ধ এই লেখক মহান আল্লাহতায়ালার অস্তিত্বকেওঅস্বীকার করেছেন।ইউরোপীয়দেরউদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন,কোনো কোনো ইউরোপীয় লেখকনিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাসদ্বারা প্রভাবিতহয়ে গবেষণার কাজকে স্তিমিতকরে ফেলেছেন।তারা মুহাম্মদকে একজন¯্রফে অভিযাত্রিক ও ভন্ডহিসাবে বর্ণনা করেছেন।তাদের মতে কোরানহচ্ছে ক্ষমতা লাভেরএকটি হাতিয়ার। পৃষ্টা : ৩৬আমরা এর তীব্র নিন্দা ওপ্রতিবাদ জানাচ্ছি,অনতিবিলম্বে দুই নাস্তিকঅনুবাদককে গ্রেফতারকরে সর্বোচ্চ শাস্তি ওরোদেলা প্রকাশনীকে নিষিদ্ধকরতে হবে।এবং তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।
গল্পের মদখোর সেরকম কেউ হতে পার। দ্বিতীয় কথা হল, আল্লাহ নিজে এসে বান্দাকে সাহায্য করেন না তিনি কারো দ্বারা সাহায্য করান। অভাবিকে সাহায্য করা প্রতিটি সামর্থবান মুমিনের দায়িত্ব কিন্তু মুমিনরা জিকির আজকার আর তাহাজ্জুত গুজারে ব্যাস্ত, সমাজের অভাবিদের খবর নেয়ার সময় তাদের নাই তাই আল্লাহ এমন ঘটনার মাধ্যমে অন্ধ মুমিনদের অন্তরের বন্ধ দুয়ার খুলে দেন।
মোদ্দা কথা, গল্পটা যদিও বানোয়াট এবং বিদ্বেসপ্ররসূত তথাপিয় শিক্ষনীয় আছে। যদি আমরা কেউ গল্পকারের গল্প গুলো পড়ে তার ভুল ভাঙাতে পারি তাহলেই হবে আসল কাজ। যারা এগুলো করে তাদের সঠিক জ্ঞান নাই তাই তাদের কাছে দীনের দাওয়াত পৌছানর দায়িত্ব কিন্তু আমাদের। আমরা সেই দিকে পা, না বাড়িয়ে বরং পেশী শক্তি প্রয়োগ করে প্রতিহত করার চেষ্টা করি, যা মূলত হীতে বিপরীত হয়।
সালমান রুশদিকে যদি মিডিয়ার মুখমুখি করে প্রতিটি অপবাদের দাত ভাঙ্গা জবাব দেয়া যেত তাহলে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারত ব্যাটা আসলেই একটা জোচ্চোর, আর নতুন রুশদি জন্মাতে সময় লাগত, কিন্তু পেশী শক্তি প্রোয়গে নাস্তিকেরা জিরো থেকে হিরো হয়ে যাচ্ছে আর জ্বালাও পোড়াও করে প্রতিবাদের কারণে আখেরে ইসলামেরই ক্ষতি হচ্ছে।
বিষয় নিয়ে পত্রিকায়ও রিপোর্ট এসেছে! আমাদের দেশ অনলাইন সংস্করণ-এ এসেছে! ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ষ্টল ঘেরাও হুমকি দিয়েছে!
দিনে দিনে বেড়েই যাচ্ছে নাস্তিকদের আস্ফালন!মর্দে মুজাহিদরা কোথায়???
মন্তব্য করতে লগইন করুন