ভালবাসা দিবস
লিখেছেন লিখেছেন ভোলার পোলা ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৭:৩৯:১১ সকাল
পৃথিবীর আদি লগ্ন থেকেই
ভালোবাসার উৎপত্তি।
ভালোবাসা ঈশ্বর প্রদত্ত। সব ধর্মেই
ভালোবাসা পবিত্র।
ইসলাম ধর্মে আদম ও হাওয়া থেকে শুরু
করে শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সা: পর্যন্ত
একে অপরকে ভালোবেসেছেন
মানুষকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে। এক
দিকে যেমন আমরা ভালোবাসি মা-
বাবা, ভাইবোন, বন্ধু-বান্ধব ও অন্যান্য
মানুষকে। তেমনিভাবে মন-প্রাণ
দিয়ে ভালোবাসি আমাদের
প্রিয়ব্যক্তিকে। আর এই
প্রিয়ব্যক্তি বলতে বতর্মানে আমরা বুঝি
প্রেমিক-প্রেমিকা বা নব দম্পতির যুগল
বন্ধন।
প্রেম ভালোবাসা দিয়েই
পৃথিবীতে কিছু মানুষ
পাওয়া না পাওয়ার মাধ্যমেই ইতিহাস
গড়ে গেছেন, যেমন আদম-হাওয়া, ইউসুফ-
জুলেখা, রাধা-কৃষ্ণ, লাইলী-মজনু,
শিরি-ফরহাদ, রোমিও-জুলিয়েট প্রমুখ।
অন্য দিকে সম্রাট শাহজাহান তার
ভালোবাসার প্রিয়
মানুষটি মমতাজের জন্য
ভালোবাসে তাজমহল গড়ে উজ্জ্বল
দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন
পৃথিবীতে।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বতমান এই
আকাশ সংস্কৃতির অগ্রাসনের
যুগে ভালোবাসা দিবস
বলতে যা আমরা বুঝি,
তা হলো উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীর প্রেম-
ভালোবাসাকে। কালের
বিবর্র্র্র্র্র্র্তনে আজ ভালোবাসা দিবস
আমাদের দেশে একটি মূল্যবান দিন সময়
ও আধুনিক ফেস্টিভ্যাল
ফ্যাশানে পরিণত হয়েছে,
যা রবিঠাকুরের ভাষায়-
সখি ভালোবাসা কারে কয়,
সেকি শুধুই যাতনাময়।’
প্রেমের কবি নজরুলের ‘মোর
প্রিয়া হবে এসো রানী দেবো
খোঁপায় তারার ফুল।’ রুদ্র মুহম্মদ
শহীদুল্লাহর কথায়, ‘ভুলে যাবো বলে এত
দূর আসা তবু ভুলে গেছি কিন্তু
ভুলে থাকতে পারেনি।’ রফিক
আজাদের- ‘যদি ভলোবাসা পাই-
পাহাড় ডিঙাব আর সমুদ্র সাঁতরাব।’
গানের সম্রাজ্ঞী মমতাজের ভাষায়-
‘বুকটা ফাইট্যা যায়’, কণ্ঠশল্পী ন্যান্সির
ভাষায়-‘আমি তোমার মনের ভিতর
একবার ঘুরে আসতে চাই অথবা পাগল
তোর জন্য রে মন পাগল এ মন।’
অথবা অন্যান্য শিল্পীর কণ্ঠে ‘এর
বেশি ভালোবাসা যায় না ও আমার
প্রাণ পাখি ময়না’,
‘ভালোবেসে হলাম অপরাধী’, ‘কেন
যে বোঝ না আমাকে তুমি’, ‘একবার
যদি কেউ ভালোবাসত’, ‘কত
যে তোমাকে বেসেছি ভালো সে
কথা তুমি যদি জানতে’, হিন্দতে- ‘দিল
তো পাগল হ্যায়, আউ শুনাহু পেয়ার
কি এক্কাহানি’, ইংরেজিতে- ‘আই
ক্যান ফিল ইউর হার্টবিট’ বা ‘ডিপ ইন
মাই হার্ট- ইউ আর মাই হার্ট- ইউ আর মাই
সোল’, নতুবা মফিজের
মতো ঘরে বসে বসে একাকী গাইতে
হবে- ‘ভালোবেসে গেলাম শুধু
ভালোবাসা পেলাম না, প্রেমের
মরা জলে ডোবে না’।
আর এই ভালোবাসা দিবসের তাৎপর্য
আমাদের কাছে কতটুকু তা আমার
কাছে অজানা ও রহস্যময়। এই
ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে উঠতি
বয়সী ছেলেমেয়েদের
মাঝে যে প্রভাব
পড়েছে তা হলো নিজের সব
কিছুকে সমর্পণ করা। আর এই সমর্পণ
করা আমাদের সমাজের
কাছে একটি ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে,
যা আমাদের ইয়ং জেনারেশনকে দিন
দিন ধাবিত করছে পশ্চিমা বিশ্বের
নগ্নতার দিকে। এরই ফলে আমদের
পরিবার, সমাজ ও
দেশকে মাঝে মাঝে কলঙ্কিত
হতে হচ্ছে এবং বিব্রত হতে হচ্ছে সুধী ও
নারী সমাজকে।
আসুন এখন থেকে আমারা ভালোবাসি
সৃষ্টিকর্তাকে, মা-বাবাসহ পরিবারের
সবাইকে এবং আমাদের সমাজেরই নিম্ন
দুস্থ ও অসহায়
মানুষগুলোকে যা আমাদের
কাছে কল্যাণ থেকে কল্যাণকর।
বাঙালি হিসেবে
,ভোলার মানুষ হিসেবে আমরা একটু
ভালোবাসা বেশিই বুঝি। কারণ
সাহিত্যের একটি প্রধান অংশ
হলো প্রেম-ভালোবাসা।
আজকের এই দিনসহ
প্রতিটি দিনে আমরা ভালোবাসি
আমাদের প্রিয়
মানুষগুলোকে যে মানুষের জন্য আপনার
ভেতর জটিল ও কঠিন প্রেমময় আবেগ ও
ভালোবাসার সৃষ্টি। তাই
তো ভালোবাসার এই
ক্ষণে ভালোবেসে বলতে ইচ্ছে করে-
‘ভালোবাসা ভালোবাসে, শুধুই
তাকে, ভালোবেসে ভালোবাসায়
বেঁধে যে রাখে।’
কিছু অংশ নিউজ থেকে নেওয়া
বিষয়: বিবিধ
১৬৭৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই দিবসে প্রেমিকা অপেক্ষা করে সেই গিফট পাবার জন্য আর প্রেমিককে হন্যে হয়ে ঘুরতে হয় প্রেমিকার মন্জয় করার মত গিফট কিনতে।
এটা নতুন কিছু না , কারণ সারা বছরেই এরকমটা হতে থাকে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন