ভোলার আঞ্চলিক ভাষার বাংলা অর্থ। ব্লগার ভাই বোনদের পড়ার অনুরোধ, দেখুন না আপনার গ্রামের ভাষার সাথে মিল আছে কি না?
লিখেছেন লিখেছেন ভোলার পোলা ২২ অক্টোবর, ২০১৪, ১১:২১:৪০ রাত
আমাদের ভোলায় যদিও এখন গ্রামে ছাড়া আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার হয় না! যারা কিছুটা লেখা পড়া জানে তারা আর এখন আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করে না। তাই আমাদের আঞ্চলিক ভাষা হারাতে বসেছে!
যেহেতু ভোলার পোলা বলে কথা তাই অনেক খুজে কিছু আঞ্চলিক ভাষার অর্থ দিলাম।
বেয়ানে-সকালে
কইছ-বলিস
খারইয়া-দাঁড়িয়ে
নাইয়ল-নরিকেল
হেইতে- তিনি
খামু- খাব
দাউরা- লাকরী
পাহা-চুলা
আস-হাঁস
সালন-তরকারী
ধূমা-ধোঁয়া
কাইছা/পিছা-ঝাড়ু
উন্দুর-ইঁদুর
দুদু-জ্যাঠা
ইচামাছ-চিংড়ি
তালাশী- তরকারী নাড়নী
বাড়নী- ছাই উঠানী
ঠিল্লা-কলস
আইতনা-বাড়ান্দা
রসিঘর- পাকঘর
কোডা- কক্ষ
কিয়ারে -কি করে
কদু-লাউ
অতিত-অতিথি
চান্দা-ঘরের পেছনটা
ডাঙ্গর =বড়
লেদা = ছোট
অয়= ও
ঢক=সুন্দর
নাওয়া= গোসল করা
মুরকা = মুরগী
রাওয়া=মোরগ
কিয়ারমু= কি করবো
হে = তিনি
লগে = সাথে
চেউআ মাছ - ডগরী মাছ
মাতারি=মহিলা
হাঙ্গুইট্টিআ > বিবাহিত
-ভাতার > স্বামী
আগনিগাছ =বাথরুম
টাট্টি ঘর > পায়খানা
চায় = দেখা
মুগীর > গাছের গুড়ি
ব্যক-সব
এচ্ছান/এলাচ্ছান> সম্বোধন করে এই যে শুনুন.
ঠুন্ডা-মাথা কামানো
নাল্রিয়া-কালভার্ট
হিরা-পিঁড়ি
ডাঙ্গর-বড়
মাজইয়াল-ঘরের মাঝখান
কুত্তা-কুকুর
বিলাই-বিড়াল
গইয়ম-পেয়ারা
কইয়া-পেঁপে
ঠিল্লা-কলস
তাগারি-ভাতের বোল
কার-ঘরের সিলিং
ঝলমি- সেল্ফ
চারি-গরুর খাবার পাত্র
কাডিরবান-বেড়িবাঁধ
বান-বাঁধ
দামরা-ষাঁঢ়
গাড়গি-লেহেঙ্গা
কোরতা- জামা
হাক্কা-সাঁকো
পোল-ব্রিজ
হেইয়া-সে
তাপাইত-দূরে
খলপা-বাঁশের চিড়ি
ডোলা-বাঁশের তৈরি ধানের পাত্র
কান্দা-কিনারা/পাড়
হেন-ভাতের মাড়
এমনে-এদিকে
সিবত-চুন
আডি-বীজ
আউত্তা-টালি/দধির পাত্র
ঠেংগা-ডালপালার ছোট অংশ
ঝাঁহা- মাঁচা
কাডাইল্যা-বাদলাদিন
চুমা-বরশীর ভাসমান অংশ
হরমুল-পাটখড়ি
রাড়ী-চাকর
রাড়ী-বিধবা
আমড-আয়ত্ব
দরজারকল-দরজার আটকানি
মোহা-মূলজিনিষটা
কুলুপ-পা পেচিয়ে ধরা
আপইক্কা-ছায়া দিয়ে রাখা
তোগ- তোদের
বয়-বস
ছিকলা-নারিকেলের ছোবড়া
ছেপ-থুথু
হিয়ন-নাকের পানি
কেতুর-চোখের ময়লা
বাইয়ন-বেগুন
টক বাইয়ন-টমেটো
খেমা- থামান
ভাউজ-ভাবী
হাইজলা-সন্ধ্যা
ওডা-ঘরের সিড়ি
দেউরকা-কেরোসিন বাতির স্ট্যান্ড়
বেনা-খড়ের তৈরী আগুন সংরক্ষক
রত-গায়ের জোর
গুইল্লা-মাটিতে তৈরী বড় চুলা
তাপাল-ধান সিদ্ধ করার বড় পাত্র
টবগি/ উরকি- কাঠের তৈরী এক ধরনের বড়
চামচ
পারকা- ডালের গুটানি
লোডা-বদনা
চিলনচী- হাত ধৈৗত পানির/ থুথু
ইত্যাদি ফেলার পাত্র
তালাশি-ভাত-তরকারীর নাড়ার
কাজে ব্যবহুত
লাউরি- ভাত রান্নার নাড়ানি
পাহাল-শীতকালীন রান্নার জায়গা
হড়া- ভাত তরকারীর ডাকনি
খিড়কি- জানালা
চঙ্গা- মই
মাতারি- মহিলা
পইডা-ভাতের মাড় ঝরানোর জন্য মাটির
তৈরী কাঠমো
আইল্যাটনা- রাখালের হাতের লাটি
ওরা-অপেক্ষাকৃত ছোট বাঁশৈর
তৈরী কৃষিজ পাত্র
লাই - অপেক্ষাকৃত বড় বাঁশৈর তৈরী কৃষিজ
পাত্র
কোড়ানি- নারিকেল নেওয়ার
কাজে ব্যবহুত যন্ত্র
গর- ছোট পানির কুপ
হুরুয়া-তরকারির ঝোল
জ্যাব- পকেট
ঠিইল্যা- কলসি
মটকি- বড় মাটির পাত্র(কলসের মত কিন্তু
অনেক বড়)
কোলা-একইরুপ মটকির চেয়ে ছোট
পৌর্সা- খড়ের তৈরী ভাত
তরকারী রাখার জিনিষ
থর- পানি ভর্তি কলসি সাজিয়ে রাখার
স্থান
আপার- চুলার উপর কাঁচা লাকড়ি শুকানোর
জিনিষ
ভাতার- স্বামী
বাইল- সুপারী গাছের
ঝড়ে পড়া শুকনো পাতা
ডাউগ্যা- নারিকেলের ডাল
খোয়াতি ভাত- বনভোজন
কাডাইল- লোহার
ধারালো ছুরি যাহা খেজুর গাছ
কাটতে ব্যহহুত হয়
চারি- গোখাদ্য দেওয়ার মাটির পাত্র
চই- খাট
থোর- কলার ফুল
আনাজ- কলার বোগলি
খোপ- ছোট কক্ষ
আগনা- বোকা
আঁই- আগুনের ভাপ
লোদ- কাদা
মেলা মারা- ছুড়ে মারা
চডাদেওয়া- পা দিয়ে মারানো
ব্যাক-সব
হোতরা-কলার শুকনো পাতা
তাগা-কোমরে ব্যবহৃত সুতা
খোলতা-উত্তপ্ত হাড়ি পাতিল ধরার
কাজে ব্যবহৃত হয়।
কাওই-চিরুনী
হাঙ্গুইট্টিআ > বিবাহিত
সিক্কা-তরকারীর পাতিল
টানিয়ে রাখার ব্যবস্থা
লাঙ্গলের ঈশ-লাঙ্গলের ফলা
ওস্তা-যিনি খৎনা করান
মলিসাব-মেীলভী সাহেব
পরি- নারিকেল,শুপারীও খেজুরের ধারক
উস্সি-শীম
রায়েশ-বরবটি
ছেড়ানি-পাতলা পায়খানা
লা-ফেলা
ভেউরকা-ভেলা
হিচ্ছা-পানি নিষ্কাষন
মগুইর-শক্ত মাটি গুরা করার কাঠের গুড়ি
আক-হা
আমি দেওয়া-হাইতোলা
জোলা-ভূরি
খৈট্টাল-পানিতে কল্পিত অস্বাভাবিক
শক্তির জীব
হিয়ইল্লা-শেওলা
হুইছ-শুঁই
চান্নি-শামিয়ানা।
লুরা-পাতিল মাজার জন্য জালের ুিকরা
বেগ্গুন-সবাই
আগাম-আখের ডগা
বীড়া-খড়ের তৈরি পেচানো মাথায় শক্ত
ভার বহনে ব্যবহার
কন্ডা-অঙকুরিত বীজ
খোড়কা-নারিকেল/তালের ভেতরের
শাঁস
অরে-ওকে
গুদ্দা-হোস
পিলাই-প্লিহা
মাইরা-ডাটা
কলাই-খেসারী
হাঙাগা-দ্বিতীয় বিয়ে
কাইজ্জা-ঝগড়া
মোচ-গোপ
খাতা-কাঁথা
অলইদ-হলুদ
হাগ-শাক
যাইচ্চা-যাসনে
ধূল্লা শাগ-লাল শাক
কই/রেখা-জিজিঙ্গা
হারকাইন-মেলা
কেরকা-কাঁকড়া
চলন্ত-আনুষ্ঠানিক বিয়ে
চেরাগ-সন্ধ্যা বাতি
আন্ডা-ডিম
ঠাইলা-ডাল
পাইন্যাল-জামরুল
ঝি-কন্যা
ছায়া-পেটিকোট
আইক্কা-বাঁশ/গাছের যেখান থেকে ছোট
ডাল হয়
উগুর-কোলা বা ধানের পাত্র বা খেজুরের
গুরের কলসী রাখার স্থান
কুটা কুইরা-খরের বড় কাদি
মেই- ধান মারাই
ঠুলি-গরুকে খাবার থেকে বিরত রাখার
কাজে মূখে ব্যবহৃত হয়
খোন্দা-তাল গাছের নৌকা
ছেপড়া খাওয়া-চমকানো
আছাড়-দা,খুন্তি,তকাদালের বাট
খোল- বাইলের গোড়ার অংশ
চুমুইর-সুপারির প্রাথমিক অবস্থা
তোয়াল-নারিকেলের পিরের ঢাকনা
আছা-নারিকেলের শক্ত অংশ
বিদাইয়া-বিষাক্ত এক ধরনের পিঁপড়া
ছাতা-গায়ের ময়লা
পিন্নারী-হিংসা
হাজ-টাটকা
আধার-টোপ
লোল-লালা
আতাইল-আইল
লাং-স্বামী
হাইলকা-শালিক
এলাগারী > একনাগারে
আচুক্কা > হটাৎ
আতু > পোষা কুকুর ডাকার জন্য প্রচলিত
একটা শব্দ
হেজা-আবর্জনা
হরুয়া-সরিষা
হইর-ফকির
হুদা-খালি
হুদাহুদি-অনর্থক
হিতান-মাথারদিক
ঝাই-চাল ভাজা ভেজানো
ভেদুরী-ভাঙ্গা চাল(ক্ষুদ) দিয়ে তৈরি
খারা ঝিলকি-বিদ্যুৎ চমকানী
লইয়া-নিয়ে
আইছ-আসিস
কুডাকুডা-টুকরো টুকরো
দেহাহুনা-বাসরঘর
গেডি-ঘার
আছাড় খাওয়া-পিছলিয়ে পড়া
দুকপাওয়া-ব্যথা পাওয়া
মেলা-খোলা
উদাম-খালিগায়ে
ঠাওর-চেনা
ছেচা দেওয়া-পিটুনি
বিছড়াও-খোঁজ
লাগুর পাওয়া-ধরতে পারা
খুয়া-কুয়াশা
ভেটকানী-হাসা যা অন্যের কাছে অসহ্য
চিরকানী-চিৎকার করা
চিকনাই-চর্বি
গোছ-মাংস
কাউয়া-কাক
বাসন-মাটির প্লেট
হত্য-আলাদা
তাফাইত-দূরে
ডহের-সুন্দরের
হালায়া-ফেলে
হালাইন্না-পরিত্যক্ত
বাই-বাসী
আইডা-বাসী
বেইল-সময়
অরান-হয়রান
বাহের-বাপের
এক্কারে-একেবারে
কিরা-শপথ
আঙ্গানইন্না-জলন্ত
হরইয়া-কামচোরা
হোঙ্গন-গন্ধ নেওয়া
হাঙ্গা-দ্বিতীয় বিয়ে
লগে- সাথে
বিয়ানো-প্রসব
বেরাম-রোগ
বরা-কানে খাট
আক্কল-জ্ঞান
মিযাইন্না-মিশ্রিত
আউগাইন্না-এগিয়ে থাকা
পাইত্তাল-শৃগাল
বেয়ার-লাভ
ছেমা-ছায়া
হমূক-সামনে
কাইজ্জা কাবিশ-ঝগড়া বিবাদ
হান্দায়া-ঢুকিয়া
আচুক্কা-হঠাৎ
খাড়ইয়া-দাড়ায়ে
ভাগ্গিত্যা-বাগ্যবান
হেইযার-তার
লইগ্গ্যা-জন্য
গইন্না-গণণা করে
কাওর-কাপড়
চালাহী-চালাকী
বির্রা যাওয়-যুক্ত হওয়া
হেইয়ানে-সেখানে
ধরনী-ধাত্রী
আইন্দা-এদিকে
গোলায়া-জমিয়ে
এমিল-এদিকে
খরাত-ভিক্ষা
হুইন্না-শুনিয়া
হোয়াদ-স্বাদ
আল্লেইদ্যা-আহলাদে
ভেঙচা ধরা-ভানকরা
ছল্লা-কু পরামর্শ
হারকা-মাছধরার ফাঁদ
গলার হর-কন্ঠস্বর
দিষ্টন-প্রবাদ/প্রবচন
জিদুইয়া-জেদী
খেছালত-অভ্যেস
গউপ্পা-ফুলিয়ে ফাফিয়ে কথা বলার লোক
খাগুরের মিডাই-খেজুরের গুড়
লেমু-লেবু
হাজায়া-সাজিয়ে
কুদ্দিয়া-তাড়নার সাথে
স্বীয়ার-স্বীকার
ছেমরা-বালক
হাইজ্জা-সেজে
হুৎ-ফু
ছিনাল-ব্যভিচারী
জারউয়া-ব্যভিচার জাত
মছলা-জায়নামাজ
ডড়ানো-ভয় পাওয়া
হেবৎ-ততক্ষণে
কাইজ্জা কাবিশ-ঝগড়া বিবাদ
হান্দায়া-ঢুকিয়া
আচুক্কা-হঠাৎ
খাড়ইয়া-দাড়ায়ে
ভাগ্গিত্যা-বাগ্যবান
হেইযার-তার
লইগ্গ্যা-জন্য
গইন্না-গণণা করে
কাওর-কাপড়
চালাহী-চালাকী
বির্রা যাওয়-যুক্ত হওয়া
হেইয়ানে-সেখানে
ধরনী-ধাত্রী
আইন্দা-এদিকে
গোলায়া-জমিয়ে
এমিল-এদিকে
খরাত-ভিক্ষা
হুইন্না-শুনিয়া
হোয়াদ-স্বাদ
আল্লেইদ্যা-আহলাদে
ভেঙচা ধরা-ভানকরা
ছল্লা-কু পরামর্শ
হারকা-মাছধরার ফাঁদ
গলার হর-কন্ঠস্বর
দিষ্টন-প্রবাদ/প্রবচন
জিদুইয়া-জেদী
খেছালত-অভ্যেস
গউপ্পা-ফুলিয়ে ফাফিয়ে কথা বলার লোক
খাগুরের মিডাই-খেজুরের গুড়
লেমু-লেবু
হাজায়া-সাজিয়ে
কুদ্দিয়া-তাড়নার সাথে
স্বীয়ার-স্বীকার
ছেমরা-বালক
হাইজ্জা-সেজে
হুৎ-ফু
ছিনাল-ব্যভিচারী
জারউয়া-ব্যভিচার জাত
মছলা-জায়নামাজ
ডড়ানো-ভয় পাওয়া
হেবৎ-ততক্ষণে
বোলান-ডাকেন
আইয়েন-আসেন
লন-চলেন
আমনে-আপনি
নেভাই-ভাইয়া
তেীল্লায়া-খতিয়ে
ছুরৎ-আকার
বিবি-দাদী
ছালি-ছাই
হুরি শুটকি
জুমাল-জোয়াল
উদার-ধার
পেনা পিডা-একই কথা বারবার বলা
কলমা পড়ানো-বিয়ে দেওয়া
লেইয়া-চেটে
খম যাওয়া-গর্ভ স্রাব
কাচা যাওয়া-গর্ভপাত
বহুত-প্রচুর
হালামু-ফালাব
আবাইগ্যা-হতভাগ্য
আবাগী-হতভাগী
কডা-অকাল পক্ক
এগানা-আত্মীয়
অনাত্মীয়
ছেমা-ছায়া
জিরানো-বিশ্রাম করা
গাবুর-বছর ঠিকা কামলা
মোকাবেলা-বিয়ের পাকা কথা
হজাগ-জেগে থাকা
হস-আলগা
বাইশ্যা-বর্ষা
ধুইল্ল্যা-শষ্ক
কিচ্ছা-কাহিনী
জমি জিরাত-বিষয় সম্পত্তি
পাতাইল্ল্যা-পাশের দিকে
তৈচ্ছা-যন্ত্রনা
ছোলায়া-কাড়িয়া
হেজা-আবর্জনা
বদইল্লা-বদলী
রায়বার-ঘটক
রায়বারী-ঘটকালী
টাইটনা মাচ-টাকী মাছ
গুইঙ্গা মাছ-টেংরা মাছ
গুরা মাছ-মলা মাছ
ছাডা ইচা মাছ-গলদা চিঙরি
বরইলালা গিড়া-সহজে খোলা যায়না এমন
গিট
হরকা গিড়া-সহজে খোলা যায় এমন গিট
গুজা-কুঁজা
বেয়া-বাঁকা
যুগালী-সাহায্যকারী
ছোকলা-বাকল
বন-আগাছা
বাতান-মহিষের পাল
পঅন-পরিষ্কার
আনছাডা-শ্যামলা
ধোলা-পরিষ্কার
কোয়াল-কপাল
মুছি-কাঠালের ফুল
কড়া-অপরিপক্ক
দাস্ত-স্বাস্থ্যবান
কাডর-ভগ্ন স্বাস্থ্য
আগলা-উপরি
ইস:-ছি;
পরবাসী-বহিরাগত
আসম আসম করা-মুচকি হাসা
ঢেউক দেওয়া-ঢেকুর তোলা
তেইচ্ছা-চিকিৎসা
মাইনষে-মানুষে
কইমু-বলব
টাব্বুশ খাওয়া-হতবুদ্ধি
খাব দেওয়া-ওঁৎপাত
অইব-হবে
ডাঙ্গর-বড়
হিয়র-শিকড়
গেরাফি-নোঙ্গর
বেয়াইজ্জা-বেদে/বেদেনী
পিছল-পিচ্ছিল
উলিপোকা-উইপোকা
লেংড়া-খোড়া
ভোক-ক্ষুধা
হিকছত-শিখেছিস
লেহা-লেখা
পঅর-আলোকময়
রসের নাস্তা-খেজুরের রসের পায়েস
ঝাজইর-অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত ডেকচী
মল-ঢেকির আগার অংশে লোহারছোট
বেষ্টনী
লেস-পঞ্চের ফিতা
টুয়া-টিনের ঘরের দুই চালের ঢাকনা/ঝাই
জালের উপরের অংশ
ঠুয়া-নেতানো
ছান্দি নাও-নদীতে মাছ ধরার নৌকা
নৌখ-নখ
লাইয়া-বিষাক্ত পিঁপড়া
উরপে-উপরে
জিজ্ঞান-জিজ্ঞাসাকরা
আতি-হাতি
পাদ-পাযূ পথে নির্গত বাযু
দোয়ান-দোকান
পোজা-বোঝা
তি তি-মুরগীকে ডাকা
তৈ তৈ-হাঁসকে ডাকা
আক্কোড়-ছাগলকে ডাকা
নায়ে মোহে কথা বলা-বাচাল
লেদাকাল-শৈশব
আবিআইত্তা-অবিবাহিত
বিয়াইত্তা-বিবাহিত
ছেমড়া-কিশোর
ছেমরি-কিশোরী
তালাহিল-নিক্তি-বাটখাড়া
কাই-রুটি বেলবার পুর্বের অবস্থা
লেংডা-উলংগ
চুঙগা-পিপা বিশেষ
তেনাইয়া-নেতাইয়া
১৯/১০/২০১৪খ্রি. আরো কিছু শব্দ দিলাম।
তবে কিছু শব্দ পূণর্বার আসতে পারে। চুরান্ত
তালিকার সময় এসব দেখা হবে।
আড-হাট
বাডা-পাত্র
রইদ-রোদ
কা-কেন
পিড্যিয়া পড়া-সর্বন্তকরনে লাগা
উস্ঠা মারা-পা দিয়ে আঘাত করা
জেনাজে-জি না
হুনা-শুনা
বেতাইল্ল্যা-প্রচন্ড
যেইয়ান-যেটুকু
হেইয়ান-সেটুকু
মেস্তরী-মিস্ত্রি
হিং-সিধ
টোগাইন্যা টাগাইন্যা-কুড়িয়ে পাওয়
কাছাইন্যা কুছাইন্যা-উচ্ছিষ্ট
আইডা-বাসী/আধোয়া
জাগ দেওয়া-
ডালপালা পানিতে জমা করে মাছের
থাকার ব্যবস্থাকরা
চাড়া-কুকুরের খাবার দেওয়ার মাটির
পাত্র
খারী-গভীর
নোয়া-নত করা
বেয়ারী-বেপারী
পাই-দাঁতের মাড়ি/জালের
যে অংশে মাছ ঢুকে
গাডি-জালের পাইতে লোহার ছোটছোট
গুটি
কাইআন্দার-খুব ভোর
ইস্তারী-ইফতারী
দুহুর-দুপুর
রান্দা- রান্না
কান্দা- কান্না
হাস- ফাঁস
উমের মুরকা- তিমে তা দিতে থাকা মুরগী
রাওয়া- মোরগ
তোলানইয়া গরু- বলদ
ছেমা-ছায়া
কাইলকা- আগামীকাল
পুরুকা-পরশুদিন
আগ্যানইয়া- এগিয়ে থাকা
হাদ্দিয়া- সেধে
ভেংগানি- টিপ্পনি কাটা
আজায়া-হারিয়ে ফেলা
রান- থাই
পইচা- হাটুর নিচের মাংস
আত- হাত
চাক- মাটির ছোট টুকরা
হু-ফুঁক
হিদ্দ- সিদ্ধ
ছৈয়াল-ছন বা খড়ের চাল তৈরীর মজুর
পোজা- বোঝা
আল দেওয়া- হুল ফুটানো
হোয়া- শষা
বডু- বোঁটা
পাইল- শাড়ীর আঁচল
হউর-শশুর
হাউরি-শাশুরী
হালা-শালা
হমন্দী-শমন্দী
জামাই-ফুফা
হুমু-শুইবো
অইবো-হবে
হুডা-ছিদ্র
মা্েনিসে-মানুষে
বালা-ভাল
নাড়াই-লড়াই
থায়নইয়া-থাকার
ডলা-ঘষা/মলা
ছোডকাল-বাল্যকাল
হাজ-নতুন
দুধ-স্তন
রোয়া-লাগানো
হুরহরইয়া-ফুরফুরে/তুলনামূলক উন্নত
দূলা-বর
থইল্লা-থলে
ডাহাইত-ডাকাইত
পইখ-পাখি
ভুরকা-বুদবুদ
বইশ-মহিশ
উরুস-ছাড়পোকা
হুলইয়া-ফুলিয়া
কিন্যা-কিনে
হিন্দা-পরিধান করে
হুকি-উকি
আরো জানা থাকলে সহযোগিতা করার অনুরোধ করছি
বিষয়: বিবিধ
২৯৮৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ
এগুলো আমাদের আগেকার আঞ্চলিক ভাষা কিন্তু এগুলো এখন আর প্রায় ব্যবহার হচ্ছে না। অনেক ভোলার ছেলে মেয়ে ও এখন বুঝবে না। আর এই ভাষায় কোন নাটক ছবি হয়নি। তবে নোয়াখালীর ভাষার সাথে অনেক মিল আছে।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য
মন্তব্য করতে লগইন করুন