প্রেমের নামে ডিজিটাল কাইদায় নীরবে ধর্ষিত হচ্ছে বাংলাদেশের হাজারো তরুণী।
লিখেছেন লিখেছেন ভোলার পোলা ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৯:১৬:৪২ সকাল
ডিজিটাল মেয়েদেরকে ডিজিটাল ছেলেরা প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের ভালবাসা প্রমানের জন্য একবার যদি বিছানায় নিয়ে যাওয়া যায়।সেই সময়ই লম্পটা মোবাইলে ছবি তুলতেছে। আর যদি প্রেমিকা ছবি তুলতে না দেয় তাহলে প্রেমিক বলে জান তোমাকে যখন মনে পড়বে আমি তখন দেখব এবং পরে ডিলেট করব আমি তো এগুলো কাউকে দেখাব না কারণ তুমি আমার জান।
কথা এইটুকুই শুনে প্রেমিকা ভাবে না জানি ও আমাকে কত ভালবাসে ।
ছবি তুললে কি আর হবে ও তো আমাকেই বিয়ে করবে।তারপর
অনেক কিছু ভিডিও অথবা মোবাইল ক্যামরায় দৃশ্য ধারণ। আসল খেলা শুরু এইবার প্রেমিক আবারও অনৈতিক প্রস্তাব
দেয় । প্রেমিকা রাজি না।প্রেমিকের সরাসরি হুমকি রাজি না হলে সব ফাঁস। কি আর করা বাধ্য হয়ে শরীর বিসর্জন।
আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না কত মেয়ে এইভাবে ধর্ষিত হচ্ছে। অনেক কুলাঙ্গার আবার মেয়েদের পরিবার থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাঁতিয়ে নিচ্ছে।শুধু সন্মানের জন্য নীরবে এইসব সহ্য করছে। আর যেইসব মেয়েরা অনেক শরীর বিসর্জন দেওয়ার পর ও টাকা কিংবা শরীর বিসর্জন দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাদের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও চিত্র মানুষের
হাতে চলে যাচ্ছে। লজ্জাকর পরিস্থিতি তে অনেক ডিজিটাল তরুণী নীরবে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে।
এই সব ডিজিটাল তরুণ তরুণীদের জন্য সতর্ক বাত্রা.....
হযরত আবু হুরায়রা বর্ণিত অন্য এক
হাদীসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন...
“যে ব্যক্তি ব্যভিচার করে অথবা মদ পান
করে,আল্লাহ তার কাছ থেকে ঈমান ঠিক
এমনভাবে কেড়ে নেন, যেমন কোন মানুষ তার মাথার উপর দিয়ে জামা খুলে থাকে”। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তিন ব্যক্তির সাথে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন
না,তাদেরকে পবিত্রও করবেন না এবং তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক কঠোর শাস্তি নির্ধারিত থাকবে। তারা হচ্ছে বৃদ্ধ ব্যভিচারী, মিথ্যাবাদী শাসক এবং অহংকারী গরীব”।
[মুসলিম ও নাসায়ী]
হে আল্লাহ আমাদেরকে তুমি ব্যভিচার থেকে রক্ষা করুন। আমাদের সকলকে ইসলামের সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।
বি:দ্র কিছু টা অশ্লীল ভাষা থাকার জন্য খমা চেয়ে নিচ্ছি।
বিষয়: বিবিধ
১৩৭১ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ মেয়েরা সাধারনত ছেলেদের চেয়ে চালাক বেশী হয় ।
এ জন্যই বউ / স্ত্রীরা তাদের স্বামী/প্রেমিকের নাকে দড়ি দিয়ে ইচ্ছে মত ঘোরাতে পারে । প্রেমিককে দিয়ে কামলা খাটিয়ে নেয় , চাইনিজে খাবার খায় আর গিফট হাতায় ।
এক হাতে কখনই তালি বাজে না ।
এসবে দুইপক্ষেরই সন্মতি থাকে বিধায় এটা করতে কারও তরফ থেকে বাঁধা আসে না যখন করে থাকে ।
কিন্তু পরে যদি কেউ পল্টি মারে তখন ক্ষতিগ্রস্তরা অপরজনকে দোষারোপ করতে পারে না ।
সাধারনত এসব মেলামেশার পর যদি মেয়েটি সরে আসে এবং ছেলেটি লুজার হয় তখন ছেলেটি চরম হতাশায় পড়ে যায় । কারণ মেয়েটি তার কাছ থেকে এতদিনে অনেক কিছু হাতিয়ে নিয়েছে এবং সবচেয়ে বড় যেটা করেছে সেটা হল সে ছেলেটিকে তীব্র মানসিক আঘাত করেছে ।
যেহেতু আপনজনদের প্রতি দ্বায়িত্ব আছে বিধায় সে মেয়েদের মত আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে না , তবে ম্যাক্সিমাম ছেলেই জিঘাংসার পথ বেছে নেয় ।
যদি একটা ছেলে একটা মেয়ের প্রতি প্রতারনা করতো তাহলে মেয়েটির অভিযোগ সবাই আমলে নিত সত্যাসত্য বাছ বিচার না করেই ( আমাদের সমাজ এটাতেই অভ্যস্ত , ছেলেদের ব্যাপারে ঠিক এর বিপরীত)।
ফলে ছেলেটি সামাজিকভাবে হেয় হত । মেয়েদেরকে প্রতারনার ব্যাপারে ছেলেদের বিরুদ্ধে আইন আছে , কিন্তু ছেলেদের সাথে প্রতারনার ব্যাপারে মেয়েদের বিরুদ্ধে কোন আইন নেই বা এটা কেউই বিশ্বাসই করতে চায় না ।
সব সময়ই যে মেয়েরা চালাকি করবে সেটা তো আর হয় না । কিছু কিছু ছেলে আছে যারা প্রতারিত হতে পারে এ কথা মাথায় রেখেই এ কাজটি করে । ফলে প্রতারনা করাই যাদের মুখ্য উদ্দেশ্য থাকে তারা এতে কিছুটা হলেও বিচলিত হয়ে পড়ে ।
ছেলেটা যে মানসিক আঘাত পেল মেয়েটির কাছ থেকে এসব ডকুমেন্টস্ শো করা তাকে কিছুটা হলেও তৃপ্তি দেবে যে , সেও মেয়েটার কিছু একটা করতে পারলো ।
তবে এতে সাময়িকভাবে মেয়েটার ক্ষতি হলেও অনেক সুহৃদ আছে যারা মেয়েটিকে এই ক্ষনিক আপসেট থেকে বের করে আনতে সাহায্য করে ।
আমাদের সামনে এর উদাহরন আছে ।
এসব ছবি, ভিডিও প্রতারকদের প্রতারনার একটা প্রমান হয়ে থাকায় তারা কিছুটা হলেও সোজা লাইনে থাকতে বাধ্য হয় ।
ভোলার পোলা এতদিন কোথায় ছিলেন ভাল আছেন তো !
মন্তব্য করতে লগইন করুন