“হিন্দু সন্ত্রাসবাদ”

লিখেছেন লিখেছেন ভোলার পোলা ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৬:৩৫:৩৭ সকাল

“হিন্দু সন্ত্রাসবাদ” বলতে মুসলিম, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ,

শিখ, জৈন ইত্যাদি ধর্মের মানুষদের উপর হিন্দু

মৌলবাদীদের ধর্মের নামে অত্যাচার

এবং নির্বিচারে হত্যাকে বুঝায় । কেউ কেউ এই “হিন্দু

সন্ত্রাসবাদ”কে পশ্চিমা বিশ্ব এবং মুসলমানদের

চক্রান্ত

এবং একটি প্রপাগন্ডা বলে চালিয়ে দিতে চায় ।

কিন্তু আসলেই কি এই “হিন্দু সন্ত্রাসবাদ”

একটি প্রপাগন্ডা, নাকি এর পেছনে নির্দিষ্ট কিছু

কারন আছে? আজ আমরা জানার চেষ্টা করব কেন

হিন্দুত্ববাদকে “হিন্দু সন্ত্রাসবাদ”র

কালিমা দ্বারা লেপন করা হল ।

পারিভাষিক অর্থে “হিন্দু সন্ত্রাসবাদ”

যদিও “হিন্দু সন্ত্রাসবাদ” কথাটি খ্রিষ্টান মিডিয়ার

কল্যাণে ভারতে প্রচারলাভ করেছে । তবে অনেক

হিন্দুদের এই শব্দটি ব্যাবহারের ক্ষেত্রে ঘোর

আপত্তি আছে । কারণ তাদের ভাষ্যমতে হিন্দু ধর্ম,

শান্তি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির

শিক্ষা দিয়ে থাকে । কিন্তু হিন্দু মৌলবাদীদের মতে,

শুধুমাত্র হিন্দুরাই ভারতে শাসন

করবে এবং সেখানে শুধু উচ্চ বর্ণের ব্রাহ্মণ

দ্বারা শাসনকার্য পরিচালিত হবে । অন্য ধর্মের ও

বর্ণের মানুষ শুধু তাদের প্রজা হয়ে থাকবে ।

আজ শুধু খ্রিষ্টানদের উপর হিন্দুদের

সন্ত্রাসী আক্রমণ নিয়ে আলচনা করব ।

খ্রিষ্টানদের উপর উগ্র মৌলবাদী হিন্দুদের

আক্রমনঃ

ইন্ডিয়াতে একটি ভুল নীতি প্রচলিত রয়েছে । আর

সেটা হল

সরকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক হিন্দু

সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা করা । আর ২০০৮

সালে পূর্ব ভারতে সরকারী বাহিনীর সহযোগিতায়

কমপক্ষে ৬০০ খ্রিষ্টান, চার্চ,

সন্ন্যাসী এবং পাদ্রী হিন্দু সন্ত্রাসীদের

লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল । এছাড়া খ্রিষ্টান,

খ্রিষ্টানদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বছরে প্রায় ১০০

বারেরও অধিক হিন্দু সন্ত্রাসী কর্তৃক আক্রান্ত হয় ।

এমন একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার

সাক্ষী হয়ে আছে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক গ্রাহাম

স্টেইনস এবং তার পরিবার । সেদিন হিন্দু

সন্ত্রাসীরা স্টেইনস এবং তার ১০ বছর ও ৮ বছরের

সন্তান ফিলিপ ও টিমোথিকে গাড়ির ভেতর কেরোসিন

ঢেলে জ্যান্ত পুড়িয়ে মেরেছিল ।

খ্রিষ্টান পাদ্রিদের গণধর্ষণঃ

১৯৯৬ সালে বিজেপি যখন ভারতের রাষ্ট্র ক্ষমতায়

ছিল । তখন খ্রিষ্টানদের উপর ছিনেমার

স্টাইলে আক্রমণ চালাত হিন্দু সন্ত্রাসীরা । ২০০১

সালে হিন্দু সন্ত্রাসীরা গুজরাটের খ্রিষ্টানদের উপর

১০৯ বার এবং সমগ্র ভারতে মিলে মোট ২৬৪ বার

আক্রমণ করেছিল । সেই সময় বিজেপি’র ভুমিকা ছিল

নিরব এবং সন্ত্রাসীদের কে উস্কে দেওয়ার ঘটনাও

ঘটেছিল । সে সময় মহারাষ্ট্রের তরানপাদা গ্রামের

খ্রিষ্টান মেয়ে হিন্দু সন্ত্রাসী দ্বারা আক্রান্ত

হয়ে পুলিশের কাছে সাহায্য চাইতে গেলে, পুলিশ

তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেয় । এসময় যেসকল

পাদ্রি হিন্দু সন্ত্রাসী কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছিল

তারা সবাই থানায় পুলিশের কাছে অভিযোগ

জানাতে গেলে পুলিশ কর্মকর্তারা ওইসব

মেয়েদেরকে সাহায্য করা দূরে থাক, বলেছিল, “

যিশুকে আমার মোবাইলে ফোন করতে বল” । এ

খবরটি ২০০৬ সালের ৬ জুন যুক্তরাজ্যের

“ডেইলি মেইল” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল ।

গুজরাটের “হিন্দু সন্ত্রাসবাদী” দলঃ

সে সময় গুজরাটের হিন্দু

সন্ত্রাসীরা প্রতিটা খ্রিস্টানের মাথা কেটে ফেলার

হুমকি প্রদান করে এবং দলবদ্ধভাবে এই শপথ গ্রহণ

করে । তারা এ বিষয়ে সিডি প্রকাশ করে সাধারণ

হিন্দুদের মধ্যে প্রচার করতে থাকে । বিভিন্ন

হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেতা বিশেষ করে রাষ্ট্রীয়

সাম্য সেবক সাং, বিজেপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

নেতারা এমন সন্ত্রাসী প্ররোচনায় নেমেছিল ।

সুতরাং এসব সন্ত্রাসের মদদ

দাতা দলগুলোকে আমরা নিঃসন্দেহে সন্ত্রাসী দল

বা সংগঠন বলতে পারি । সুত্রঃ “Event in India

Shows Extent of Fear of Christianity,” February

14, 2006.

খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করায়

মধ্যপ্রদেশে মহিলাকে ধর্ষণঃ

২০০৬ সালের মে মাসের ২৮

তারিখে নদিয়া জেলাতে ৫ জন হিন্দু খ্রিষ্টান ধর্ম

গ্রহণ করায় স্থানীয় সালিশে তাদের সাজা হয়

এবং সেই সাথে একই গ্রামের লুল্লা, নন্দলাল, কালু,

রেয়াল সিং এবং সাকারাম কর্তৃক বইশি পখারিয়া ও

রেখা গ্যারসিয়া কে দিনভর ধর্ষণ করা হয় । স্থানীয়

প্রশাসনের কাছে বিচার চাইতে গেলে তাদেরকে দূর দূর

করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় ।

এখানে মূলত হিন্দু সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড

এবং তাদের পৈশাচিক বর্বরতার কথা তুলে ধরলাম ।

এটি পর্যায়ক্রমে চলতে থাকবে । পরবর্তীতে মুসলিম,

বৌদ্ধ এবং শিখদের উপর আক্রমণের চিত্র

তুলে ধরার চেষ্টা করব ।

বিষয়: বিবিধ

১২৪৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

262919
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:২৯
কাহাফ লিখেছেন : মানুষে-মানুষে বিভাজন হলো সন্ত্রাস-অত্যাচারের মুল উৎস,হিন্দু ধর্মে জাত-পাতের বিভেদ টা প্রকট। এ হিসেবে সন্ত্রাস-অনাচার ওদের সহজাত প্রবৃত্তি।
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:১৯
207110
ভোলার পোলা লিখেছেন : Prothome khoma cheye niteci english er jonno.
amadr desher hindura eta bissas kore na tar india ke nia e baste chay
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩১
207141
কাহাফ লিখেছেন : আমাদের দেশের হিন্দুরা রেন্ডিয়া কেই ওদের মাতৃভূমি মনে করে।। আপনার কথার সাথে একমত....।
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩৯
207226
ভোলার পোলা লিখেছেন : Amar fb frend list er 3 ta frend sudu india nia likhar jonno unfrnd koreche .tar por o ami likha off kori nai

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File