বান্দরবান ভ্রমণ – “নীলাচল”

লিখেছেন লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু ২১ জুন, ২০১৪, ১০:৪১:১৪ রাত

২৫ জানুয়ারি রওনা হয়ে ২৬ তারিখ সকালে পৌছাই খাগড়াছড়ি। একটি মাহেন্দ্রা গাড়ি রিজার্ভ করে নিয়ে সারা দিনের জন্য বেরিয়ে পড়ি খাগড়াছড়ি ভ্রমণে। একে একে দেখে ফেলি “আলুটিলা গুহা”, “রিছাং ঝর্ণা”, “শতবর্ষী বটবৃক্ষ” আর “ঝুলন্ত সেতু”।

পরদিন ২৭ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি থেকে রাঙ্গামাটির দিকে রওনা হই একটি চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করে। পথে থেমে দেখে নিই “অপরাজিতা বৌদ্ধ বিহার”। ২৭ তারিখ দুপুরের পরে পৌছাই রাঙ্গামাটি। বিকেল আর সন্ধ্যাটা কাটে বোটে করে কাপ্তাই লেক দিয়ে “সুভলং ঝর্ণা” ঘুরে। ২৮ তারিখ সকাল থেকে একে একে দেখে এলাম ঝুলন্ত সেতু, রাজবাড়ি ও রাজবন বিহার। দুপুরের পরে বাসে করে রওনা হয়ে যাই রাঙ্গামাটি থেকে বান্দারবানের উদ্দেশ্যে। রাতটা কাটে বান্দরবানের “হোটেল ফোরস্টারে”। পরদিন ২৯ তারিখ সকালে একটি জিপ ভাড়া করে নিয়ে চলে যাই নীলগিরিতে। নীলগিরি থেকে ফেরার পথে দেখে নিলাম শৈলপ্রপাত।

২৯ জানুয়ারির বিকেলটা কাটাবো নীলাচলে। নীলাচলের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দেখবো সূর্যাস্ত। বান্দরবান শহর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটারের মত। শহরের কাছের সবচেয়ে উঁচু পাহার এটি, এর উচ্চতা প্রায় দেড় হাজার ফুটের মত।

বিকেলে শহরের ট্রাফিক মোড়ের কাছ থেকে একটা মাহেদ্রার রিজার্ভ নিলাম আমরা নীলাচলের জন্য আপ-ডাউন ভাড়া ৫০০ টাকা নিয়েছিলো মনে হয়। নীলাচলে গেলে সব সময়ই গাড়ি আপ-ডাউন হিসেবেই ভাড়া নিতে হবে। নইলে ফেরার সময় নীলাচলে কিছুই পাওয়া যায় না। এর আগেও গিয়েছি এখানে, তাই চেনা রাস্তায় আবার যেতে ভালোই লাগছে।



{সামনের মোড় থেকে নীলাচলের চূড়া}

বেশ কয়েকটা ভিউ পয়েন্ট আছে এখানেও। দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের ভিউ পয়েন্টে দাঁড়ালে দেখা যায় সূর্যাস্তের সময় মেঘেদের সাথে আলোর লুকোচুরি খেলা।



পূর্ব-দক্ষিণ দিকে গেলে দেখা যাবে দূরের থানচি রোড চিক সুরত মতো বিছিয়ে আছে পাহারের বাকে-বাকে।



{ছোট-বড় পাহার চার ধারে, এরই মাঝে একে-বেকে চলে গেছে পাহাড়ি পথ "বান্দরবান-থানচি" রোড}

উত্তর-পূর্ব দিকে দেখা যাবে বান্দরবান শহর। এখানে তৈরি হচ্ছে কটেজ, ইচ্ছে আছে কোন এক সময় আবার গেলে থাকবো এখানে।



{বান্দরবান শহর}

চার পাশেই ছড়িয়ে আছে ছোট-বড় উঁচু-নিচু পাহার সারি। কখনো মেঘ আবার কখনো ধোয়াশা খেলা করছে পাহারদের সাথে। বর্ষায় মেঘের লেখা আর মনোহর। এখানে আছে অনেকগুলি বসার যায়গা, প্রতিটিই একটি আরেকটি থেকে আলাদা ধরনের।



বিলাকের পর থেকেই সূর্য পাটে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সোনালী রোদ বিছিয়ে থাকে চার ধারে। সূর্য অস্ত যাওয়ার পরেও তার আলোর ছটা খেলা করে মেঘের মাঝে। এই সব দেখতে দেখতে কখন যে সময় কেটে যাবে টেরও পাওয়া যায় না। সূর্য অস্ত গিয়েছে, সারা দিনের দৌড়-ঝাপ শেষে আমরাও এখন ফিরবো হোটেলে। আগামী পর্বে দেখা হবে বান্দরবানের অন্য স্পটে, আজ দেখুন নীলাচলের কিছু ছবি।



{দূরে পাহারি গ্রাম}



{নীলাচলে বসির পরিবার}



{ইস্রাফীল+সম্পা}



{দস্যু পরিবার}



{সাইয়ারা দাঁড়িয়ে আছে বিকেলের কনেদেখা হলদে রোদে}



{দূরের এমন একটা বাড়িতে রাত কাটানোর মজাই হবে আলাদা}







{সাইয়ারা ও বুসরা}



{দস্যু পরিবার}



{স্বপন নাকি সূর্য নিবে মাথায়}



{শেষ বিকেলের আড্ডা}



পূর্বের পর্বগুলি -

খাগড়াছড়ির পথে”।

খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – প্রথম পর্ব”।

খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – আলুটিলা গুহা”।

খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – রিছাং ঝর্ণা”।

খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – শতবর্ষী বটবৃক্ষ”।

খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – ঝুলন্ত সেতু”।

খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – অপরাজিতা বৌদ্ধ বিহার”।

রাঙ্গামাটি ভ্রমণ – সুভলং ঝর্ণা ও কাপ্তাই হ্রদে নৌবিহার”।

রাঙ্গামাটি ভ্রমণ – ঝুলন্ত সেতু, রাজবাড়ি ও রাজবন বিহার”।

বান্দরবান ভ্রমণ – নীলগিরি”।

বান্দরবান ভ্রমণ – শৈলপ্রপাত”।

বান্দরবান ভ্রমণ – নীলাচল”।

প্রথম প্রকাশ : ঝিঁঝি পোকা



এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের মত এই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝি পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ।

বিষয়: বিবিধ

৯৬৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

237335
২১ জুন ২০১৪ রাত ১১:০১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ছবিগুলির জন্য ধন্যবাদ।
পাহাড়ের চুড়ায় পরিবার সহকারে কিকি লুটপাট করলেন।
237381
২২ জুন ২০১৪ রাত ০২:১২
ভিশু লিখেছেন : ভালো লাগ্লো...Happy Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File