ক্রিকেটার নাকি অমানুষ এই পাষণ্ড ক্রিকেটার শাহদাত?
লিখেছেন লিখেছেন আতিক খান ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৭:৪৪:২৫ সন্ধ্যা
বাচ্চাটার কালো আর ফোলা চোখ দেখে মনে হল, ক্রিকেটার শাহদাত হোসেন রাজিব জাতীয় দল থেকে বাইরে থাকায়, বাসায় পিচ্চি মেয়েটাকে ষ্ট্যাম্প বানিয়ে পেস বোলিং প্র্যাকটিস করছিল।
Cricket is a Gentleman's game. আর ক্রিকেটাররা দেশের আইকন। সবাই ওদের ফলো করে। পেস বোলার শাহদাত হোসেন রাজিব যে বর্বর আর পাষণ্ড আচরনের উদাহরন তৈরি করল তার তুলনা পাওয়া কঠিন। সস্ত্রীক শাহদাত বাচ্চাটাকে মারধর করেই ক্ষান্ত হয়নি, ফেলে এসেছে রাস্তার উপর। ওর অপরাধের ব্যাপারে যাদের সন্দেহ আছে, দুটো তথ্যই যথেষ্ট
- আইনগতভাবে নিরাপদে থাকতে, মারধরের পর দুপুরে প্রথমে মিরপুর থানায় ডায়রি করেছে, তারপর বাচ্চাটাকে ফেলে এসেছে রাস্তায়......।
- সৎসাহস থাকলে মোবাইল অফ রেখে বাসা থেকে পালিয়ে যেত না। পুলিশের ৩ টা টিম ওকে খুঁজতে বেরিয়েছে।
১। চারমাস আগে মিরপুর-৬ এ রকিবুল ইসলাম টুটুল নামে একজনের বাসায় ভাড়া থাকতেন শাহাদাত। সেসময় বাসার মালিক টুটুল ও প্রতিবেশীরা মেয়েটির ওপর চলা অমানুষিক নির্যাতনের কারণে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এ সম্পর্কে চ্যানেল আই অনলাইনকে টুটুল বলেন, 'শিশু গৃহকর্মী হ্যাপির অমানুষিক নির্যাতন চালাতেন শাহাদত ও তার স্ত্রী নিত্য। কোনো অপরাধ ছাড়াই হ্যাপিকে প্রতিনিয়ত লাঠি দিয়ে মারা হতো। লাথি-ঘুষি চড়-থাপ্পর কোনো কিছুই বাদ যেতো না নির্যাতনের তালিকা থেকে।’ একটা পর্যায়ে নিরূপায় হয়ে শাহাদাতকে বাড়িছাড়া করেন টুটুল। এ সম্পর্কে টুটুল বলেন, ‘যখন আমি দেখলাম কোনোভাবেই তাদের থামানো যাচ্ছে না তখন বাসা ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাদেরকে নোটিশ দিলাম। তারা বাসা ছেড়ে দিলেও মেয়েটির ওপর নির্যাতন যে বন্ধ হয়নি সকালে পত্রিকা পড়েই তা বুঝতে পারছি।’
২। নির্যাতন প্রসঙ্গে হ্যাপি বলেন, 'একটা দুইটা কাজে ভুল হলে হ্যাঙ্গার ও লাঠি দিয়ে পেটাতো শাহাদাত ভাইয়া ও তার স্ত্রী নিত্য আপু। পরশুদিন বাচ্চার সুজি গরম করার পর ফ্রিজে রেখে দিলে হলুদ হলুদ দেখায়। সেটা দেখে শাহাদাত ভাইয়া আমার পেটে লাত্থি দিয়ে বলে তুই সুজিতে হলুদ-মরিচ দিছিস? মারের ভয়ে আমি বলি দিছি। এরপর আমাকে আরও মারধর করে। নিত্য আপু বলতে থাকে বেত নিয়ে আসবা। বেত দিয়ে পেটাতে হবে। এরপর আমি বাসা থেকে পালাই। গত দুদিন যাবত একজন ছুটা বুয়া রেখেছে। সেই বুয়া ঘরে ঢোকার সময় দরজা খোলা পেয়ে আমি পালায়ে আসি।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়কারী ডা. বিলকিস বেগম হ্যাপির শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে বলেন, ‘হ্যাপির পিঠে, হাতে ও বাম পায়ে ফ্র্যাকচার আছে। মাথায় ও চোখে আঘাত আছে। তাকে সব বিষয়ে ডাক্তার দেখানো হয়েছে। চিকিৎসা চলছে।’
৩। বাইরের ক্রিকেটাররা মদ খেয়ে গাড়ি চালালে, প্র্যাকটিস বাদ দিয়ে ফিশিং এ গেলে কিংবা তর্কাতর্কি করলে আন্তর্জাতিক হেডলাইন হয়। আর রাজিবের কর্মকাণ্ড আমাদের ক্রিকেট আর ক্রিকেটারদের ভাবমূর্তি নিঃসন্দেহে সার্ফ এক্সেলের চেয়েও উজ্জ্বল করে তুলবে। ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী মিডিয়াতে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।
৪। অমানুষ শাহদাতকে আর কখনো জাতীয় দল দূরে থাকুক, উঠতি বয়সী ক্রিকেটারদের আশপাশেও দেখতে চাই না। বাচ্চাটাকে ক্ষতিপূরণ দেয়াসহ রাষ্ট্রীয় আইনে সাজা হোক। অনেকের জন্যই এটা দৃষ্টান্তমূলক উদাহরন ও হয়ে থাকবে।
বিষয়: বিবিধ
১৫৬১ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে ধন্যবাদ
এই হাইওয়ানটার নির্যান্তন আরো করুন ভাবে পাবেন!
মেয়েটার একপায়ে ফ্র্যাকচার!
মন্তব্য করতে লগইন করুন