এক টুকরো বাংলাদেশঃ
লিখেছেন লিখেছেন আতিক খান ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৯:৩১:১৯ রাত
মতিঝিল হতে উত্তরা যাব। ১ম বারের মত বিআরটিসি এসি বাসে চড়ে বসলাম। কিছুক্ষনের মধ্যেই অমুল্য অভিজ্ঞতা হল। বাস প্রায় খালি ছিল। ফার্মগেটে পৌঁছতেই বাস প্রায় ভরে গেল। শীতের বিকেল, হালকা শীত শীত ভাব। খুব দ্রুতই বাস যাত্রীরা ৩ ভাগে ভাগ হয়ে গেল।
১/ ১ম দলঃ
- ভাই, এসি বন্ধ করেন।
- ঠাণ্ডায় জমে গেলাম, ফাইজলামি করেন!
- উত্তরমেরুতে আইসা পড়ছি। জলদি বন্ধ করেন।
- এত ঠাণ্ডা জানলে কম্বল নইলে জ্যাকেট নিয়ে আসতাম।
২/ ২য় দলঃ
- এসির বাতাস খাইতে এসি বাস চড়ছি, আপনাদের বকবক বন্ধ করেন।
- এসি বন্ধ করলে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যাব, খবরদার চালু রাখেন।
- আপনেগো এসি বাসে চড়তে কে বলছে? ভালো না লাগলে নামেন।
- ৫৫ টাকার টিকেট, এসি বন্ধ করলে টাকা ফেরত দিবি কইলাম।
৩/ ৩য় দলঃ বিবিধ শ্রেণী !!
- এই সুপারভাইজার এসি কমা বলতেছি।
- ওই ড্রাইভার, তোর কন্ট্রোলার কাজ করে না ক্যান?
- আপনারা চুপ করেন, বাসে ঝগড়া করতে উঠছেন !!
- ধুর মিয়া, দুনিয়াতে ও শান্তি নাই। বাসেও শান্তি নাই !!
বিভক্তি আর মতবৈষম্যে বাঙালি অদ্বিতীয়। সামান্য বাসের এসি নিয়েই এত মত পার্থক্য। ধৈর্য আর মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা আমাদের চরিত্রে নেই।
দেশের যে কোন ইস্যুতে কেউ যে একমত হয়না, অবাক হবার কিছু নেই !!
বিষয়: বিবিধ
১৬২৮ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
It's concept
মতিঝিল হতে উত্তরা যেতে কতক্ষণ লেগেছিল ?
সামনে থেকে ট্রেনে যাবেন ।
তবে মতিঝিল টু উত্তরা যারা প্রতিদিন যাতায়াত করে তাদের জন্য বিকাল ৫ টা থেকে থাকে যথাক্রমে তুরাগ (৫.২০) , তিতাস কমিউটার ( খুব ফ্ল্যাকটুয়েট করে )বক্ষ্রপূত্র ( ৬ টা) , এগারসিন্দুর (৬.৩০ - এটাই ফিক্সড একমাত্র) , চিত্রা (৭.১৫ এটাও টাইমলি ছাড়ে) ।
তুরাগ মহা লোকাল - তেজগাঁও , বনানী , ক্যাণ্টনম্যাণ্ট ধরে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌছাবার আগে ।
বাকী গুলো থামে না বললেই চলে বিমানবন্দর স্টেশনের আগে ।
তুরাগ লোকাল বিধায় ৪৫ মিনিট লাগে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌছাতে ।
বাকীগুলো ২৮-৩৪ মিনিটের মধ্যেই কমলাপুর হতে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌছে যায় ।
সকালে যদি পৌনে সাতটার আগে বিমানবন্দর স্টেশনে আসতে পারেন তাহলে সিট নিয়ে যেতে পারবেন ।
যারা নিয়মিত যাতায়াত করেন তারা মান্থলী টিকিট কেটে নেয় , ৪৫০/=। প্রতিমাসে রিনিউ করা লাগে মাসের ১-১০ তারিখের মধ্যে । সকালে ৭.৩০-১২টা ,বিকালে ৪-৮টা ।
এটা থাকলে গেটে , বগিতে চেকাররা কাহিনী করে না । তবে সিটের যাত্রী আসলে সিট থেকে উঠে যেতে হয় কথা না বাড়িয়ে । ম্যাক্সিমাম সময়ে দাঁড়িয়ে যেতে হয় , এতে কেউ মাইন্ড করে না মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য. টিকিট করতে এমনিতে ৩৫/= লাগে , কমলাপুর টু জয়দেবপুর । তবে ম্যাক্সিমামই টিকিটও কাটে না , মান্থলীও করে না । চেকার চাইলে ১০/= ধরিয়ে দেয় । এই স্বল্প সময়ে চেকার একটা বগির অর্ধেকটাও কাভার করতে পারে না
তবে যেদিন ট্রেনের ক্রাইসিস থাকে সেদিন এমন অবস্থা হয় যে দাঁড়িয়ে শ্বাস নেওয়াই কষ্ট হয়ে যায় ।
তবুও মানুষ ট্রেনকেই প্রেফার করে বাসের চেয়ে এই রুটে । জাস্ট টাইমে বের হলে সমস্যা এড়ানো যায় ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন