ডিজিটাল প্রেমঃ ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে ১২-১৩ বছরের লাইলি মজনুরা
লিখেছেন লিখেছেন আতিক খান ১৯ নভেম্বর, ২০১৪, ০১:২৪:২৬ দুপুর
একটা সময় ছিল যখন প্রেম করাই কঠিন ছিল। মেয়েদের কাছে পৌঁছানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। মোবাইল আর ইন্টারনেট ছিল না। অনেক কষ্টে কাউকে টাকা পয়সা ঘুষ দিয়ে একটা চিরকুট কোনভাবে পাঠানো হত। তাও সেটা গিয়ে পড়ত মেয়ের বাবা, মা বা ভাইয়ের হাতে। তারপর উত্তম মধ্যম খেয়ে প্রেম ছুটে যেত। এরমধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যতিক্রম ২/৪ জন পরিবার রাজি নাহলে ঘর ছেড়ে পালাত। তাদের মাথায় অন্তত অতটুকু বুদ্ধি ছিল, যে পালালে চাকুরি বা উপার্জনের একটা পথ থাকতে হবে। আর টাকা ফুরিয়ে গেলে প্রেম জানালা দিয়ে পালাতে ২৪ ঘণ্টা ও সময় লাগে না। পরস্পরকে পরিস্থিতির জন্য শুরু হয় দোষারোপ। পিঠ ঠেকে যায় দেয়ালে। স্বাস্থ্য হারিয়ে, চেহারা মলিন হয়ে আবেগ তখন ২ মুঠো ভাতের অবয়ব নেয়।
কি জমানা আসল!! ক্লাস সিক্সের বাচ্চার মোবাইলে থাকে পর্ণক্লিপ, শিক্ষকদের হাত থেকে ক্লাস থ্রি এর ছাত্রীও অনিরাপদ, ক্লাস টেন এর ছাত্রের সাথে স্কুলের শিক্ষিকার প্রণয়, সম্পর্কের কোন মান সন্মান নেই, যে সে জড়িয়ে যাচ্ছে যার তার সাথে। বিয়ে করবে বললেই ছোট ছোট মেয়েরা যে কারো হাত ধরে পালিয়ে যাচ্ছে। ক্লাস এইটের বালক, ভ্যান গাড়ি চালক, সিএনজি ড্রাইভার, বিবাহিত পুরুষ কি ৩ বাচ্চার বাপ কিছুই দেখা হচ্ছে না।
বাসায় বাচ্চা আছে? হুম, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আর সব কিছু যাতে শেয়ার করে সেই ব্যাপারে নজর রাখতে হবে। উপায় নেই। এই যুগের বাচ্চারা টিভি, ইন্টারনেট আর মোবাইল যুগের বাচ্চা।
এবার আসল কথায় আসি। পালানোর কি আর বয়স থাকে? ১২-১৩ বছরের যুগলের পালানোর খবর পড়লাম।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী লতিফা বেগম ও অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আলাউদ্দিন গভীর রাতে পেকুয়া থেকে সিএনজিযোগে বাঁশখালীর চাম্বল এলাকায় আসলে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরবর্তীতে তারা পালিয়ে আসছে এই খবর নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়। রাতে এই প্রেমিক যুগলের পরিবারের লোকজন থানায় আসে। উভয় পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের ছাড়িয়ে নিতে তারা তদবির চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ বলেছে, তারা আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
একটি ভুল, সারা জীবনের কান্না !!
বিষয়: বিবিধ
১৪৬৭ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সবাইকে এই কথাটি মনে রেখে জীবনের পথে পা ফেলতে হবে। এ ব্যাপারে পরিবার থেকে অভিভাবক, সমাজ থেকে সমাজপতিরা এবং রাষ্ট্রের সকল পদাধারী ব্যক্তিগণ এই মনোবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখতে পারে।
সুন্দর লিখাটিতে ভালোলাগা রেখে সাথেই রইলাম।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
এবার সিরিয়াস কমেন্ট :একটি ভুল, সারা জীবনের কান্না । অতি সত্য কথা ।
তবে ভুল তো ভাইয়া বাচ্চারাই করবে তাই না। আমি মনে করি তাদের এই ভুলের জন্য তারা মোটে ও দায়ী নয় দায়ী তাদের বাবা, মা যারা তাদের সঠিক শিক্ষা দিচ্ছে না ।
সময়োপযোগী লেখা। ভালো লাগলো
আতিক খান লিখেছেন : অল্প বয়সে স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ তুলে না দেয়া, ওদের সাথে বন্ধু হওয়া, নজরদারি, সৎসঙ্গ নিশ্চিত করা, ধর্মীয় আর সামাজিক মূল্যবোধ এর ভিত্তি তৈরি করা - ব্যক্তিগত অভিমত। অনেক ধন্যবাদ। সুন্দর বলেছেন ভাইয়া।
মন্তব্য করতে লগইন করুন