কোরবানি মানে বর্বরতা, নিরীহ পশুদের প্রতি অমানবিক আচরন ইত্যাদি প্রচারনার জবাব (কোরআন-হাদিসের রেফারেন্স সহ)
লিখেছেন লিখেছেন আতিক খান ০৫ অক্টোবর, ২০১৪, ১০:০৯:৫৪ রাত
একশ্রেণীর ভণ্ড পশুপ্রেমির উদ্দেশ্যমুলক লেখালেখির উত্তর এই পোস্ট। সাথে কোরবানির সময় করনীয় আমাদের দায়িত্ব গুলো। কোরবানির নামে হলেও আর্থিক সামর্থ্যরাখেন এমন মানুষজন ভোগ বিলাসিতা হতে টাকা সরিয়ে কোরবানিতে ব্যয় করেন। যাকাতের মতই এই কোরবানিতে সমাজের অনেক মানুষ নানাভাবে উপকৃত হয়। যেমন,
- যারা পশুপালন করেন এবং যারা কোরবানির সময় বানিজ্য করার উদ্দেশ্যে হলেও পশু পালন করেন। হয়ত ৫০০০ টাকায় বাছুর কিনে বছর ঘুরতে ২৫০০০ টাকায় বিক্রি করেন।
- কোরবানির হাট এর সাথে সম্পর্কিত লোকজন, পশু দেখাশুনা আর পৌঁছে দেয়ার কাজে নিযুক্ত লোকজন
- দা / ধামা / ছুরি ধারানোর লোকজন, মাদুর / চাটাই / পশু কাটার কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্রের কারিগরগন
- কসাই এবং তার সঙ্গী, হুজুর এবং পশু জবাইয়ে সমর্থ লোকজন আর্থিকভাবে উপকৃত হন।
- ফকির - মিসকিন এবং দরিদ্র আত্মীয় স্বজন যাদের নিয়মিত মাংস কেনার সামর্থ্য নেই, তারা মাংসের অংশ পান।
কুরবানী মানে সান্নিধ্য বা উৎসর্গ। আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোন কিছু ত্যাগ করা।
কোরবানির দিনটি হল বছরের শ্রেষ্ঠ দিন। আব্দুল্লাহ ইবনে কুর্ত রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলে কারীম স. বলেছেন : আল্লাহর নিকট দিবস সমূহের মাঝে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন হল কোরবানির দিন, তারপর পরবর্তী তিনদিন। [২]
কোরবানির দিনের করণীয়
- ঈদের সালাত আদায় করা / সুগন্ধি ব্যবহার / পরিচ্ছন্নতা অর্জন / সুন্দর পোশাক পরিধান করা / তাকবীর পাঠ করা।
- কোরবানির পশু জবেহ করা ও তার গোশত আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা।
- এ সকল কাজের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য অর্জন ও সন্তুষ্টি অন্বেষণের চেষ্টা করা।
- এ দিনটাকে শুধু খেলা-ধুলা, বিনোদন ও পাপাচারের দিনে পরিণত করা কোন ভাবেই ঠিক নয়।
- আল্লাহু আকবার,আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, ওয়ালিল্লাহি হামদ’ আল্লাহ মহান। আল্লাহ মহান। আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নাই, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, প্রশংসা কেবল তার। - জিলহজ্ব মাসের ৯ হতে ১৩ তারিখ আসর ওয়াক্ত পর্যন্ত ২৩ ওয়াক্ত এর প্রতি ওয়াক্তে ফরজ নামাজের পর এই তাকবির ও তাহমিদ পড়া ওয়াজিব।
- জবাইকালে ছুরিটি তীব্র ধারালো হওয়া বাঞ্ছনীয়। ভোঁতা বা কম ধারালো ছুরি দ্বারা জবাই করলে পশু কষ্ট পায়। সেজন্য এরূপ ছুরি দ্বারা জবাই করা মানবতা পরিপন্থী ও মাকরুহ। তেমনি পশুর কমপে তিনটি রগ (খাদ্যনালি, শ্বাসনালি ও শাহ রগ দুটির যে কোনো একটি) কাটা জরুরি। এর ব্যত্যয় ঘটলে কুরবানি সহিহ হবে না। (সূত্র : আল ইখতিয়ার : ১/৫১)।
- মাংস ৩ ভাগ করে বিতরন করতে হবে। এক ভাগ নিজের জন্য, ২য় ভাগ ফকির মিসকিনদের জন্য আর ৩য় ভাগ আত্মীয় স্বজন আর প্রতিবেশিদের জন্য।
- যে কোন রকম ভাগ হতে হবে দাঁড়ি পাল্লায়, যাতে কোন সন্দেহের অবকাশ না থাকে।
কোরবানির শিক্ষাঃ
১/ ত্যাগের মানসিকতা তৈরিঃ ত্যাগ শব্দটির অর্থ হচ্ছে- বর্জন / পরিহার / বিসর্জন / ভোগ লালসা বিমুখতা
যেমন- আত্মত্যাগ / স্বার্থ ত্যাগ / সম্পদ ত্যাগ / আত্মোৎসর্গ / সময় ত্যাগ / শারীরিক ত্যাগ / মানসিক ত্যাগ ইত্যাদি।
২/ আল্লাহর রাহে জীবন উৎসর্গ করার শিক্ষাঃ কুরবানী দাতার মনে এ শুভ চেতনা-জাগ্রত হয় যে, একটি জানোয়ার কুরবানী যখন আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের কারণ হতে পারে তাহলে স্বয়ং নিজের জান ও মাল আল্লাহর রাহে কুরবানী করে দেয়া তাঁর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের কত বড় মাধ্যম হতে পারে।
আল্লাহ বলেন, تجاهدون في سبيل الله باموالكم وانفسكم ذالكم خير لكم ان كنتم تعلمون
“তোমরা আল্লাহর রাস্তায় তোমাদের জান ও মাল দিয়ে লড়াই করবে, এর মধ্যেই তোমাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে। যদি তা তোমরা বুঝতে পার।”(ছফ-১১)
এ অনুভূতিই একজন মানুষকে তার আত্ম ভালবাসার মাঝে স্বল্পতা এনে নিজেকে রাহে লিল্লাহ উৎসর্গ করার চেতনাকে উজ্জীবিত করে। রাসূল (স.) বলেছেন, من احب لله وابغض لله واعطى لله ومنع لله فقد استكمل الايمان
“যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্যই ভালবাসল, আল্লাহর জন্যই রাগান্বিত হল, আল্লাহর জন্যই দান করলো, আল্লাহর জন্যই বিরত থাকল সে তার ঈমানকে পরিপূর্ণ করলো।” (আল হাদীস)
৩/ পাশবিক শক্তি দমনঃ একটি প্রাণীকে শুধু আল্লাহর নামে তাঁরই সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য জবেহ করে দিয়ে প্রকাশ্যে তার পশুত্বে হনন করা হয়। এর দ্বারা মানুষের মাঝে লুকায়িত পশুত্ব ও তার অবাঞ্চিত কামনাসমূহ নিঃসন্দেহে প্রভাবিত হয় এবং যেভাবে নিজের আদরের একটি পশুকে কষ্টে পতিত হতে দেখে নিজ অন্তরেও কষ্ট অনুভূত হয়, ঠিক তেমনিভাবে নিজের পাশবিক শক্তি সমূহকেও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কুরবানী দেয়ার এক অদম্য উৎসাহ চেতনা জাগ্রত হয়।
মহান আল্লাহ বলেন, واما من خاف ربه ونهى النفس عن الهوى فان الجنة هى المأوى
“পক্ষান্তরে যে স্বীয় পতিপালকের সম্মুখে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং প্রবৃত্তি হতে নিজেকে বিরত রাখে। জান্নাতই হবে তার আবাসস্থল।” (নাযি’আত-৪০-৪১)
৪/ তাকওয়া ও আল্লাহহর সন্তুষ্টি অর্জনঃ মুমিন জীবনের চরম ও পরম লক্ষ হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। তাই তার প্রতিটি কাজ শুধু আল্লাহর জন্যই হওয়া উচিত। কুরবানী নামক ইবাদতটিও তদনুরূপ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তাকওয়ার একটি অনুশীলন। ইরশাদ হচ্ছে-
لن ينال الله لحومها ولادمائها ولكن ينال التقوى منكم
“ আল্লাহর নিকট এই কুরবানীর গোশত বা রক্ত কিছুই পৌছে না। বরং তোমাদের অন্তরের তাকওয়া বা খোদাভীতি পৌছে।” (হজ্জ-৩৭)
কুরবানীর পূর্বে অর্জনীয় আরেক প্রকারের তাকওয়া হচ্ছে কৃপণতা ও মনোসংকীর্ণতা থেকে তাকওয়া অর্জন করতে হবে। অর্থাৎ কুরবানী সন্তুষ্ট ও প্রশান্তচিত্তে করতে হবে। তাই সবচেয়ে ভাল প্রাণী (যার যার সাধ্য অনুযায়ী) এ কাজের জন্য মনোনীত করা উচিত।
হুব্বে নাফস ও হুব্বে মাল তথা আত্মভালবাসা ও সম্পদের ভালবাসা অর্থাৎ পশু-প্রবৃত্তির সাথে মানুষের যে লড়াই চলে, এটা তাকওয়ার তৃতীয় প্রকার, যা কুরবানীর পর তার ফলস্বরূপ অর্জিত হয়।
আর তাকওয়ার ফলাফল সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ان اكرمكم عند الله اتقاكم
“নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সেই সর্বাধিক সম্মানিত, যে সর্বাধিক তাকওয়ার অধিকারী।”(হুজরাত-১৩)
৫/ বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠাঃ কুরবানীর দিনে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কুরবানীর গোশতের কিছু অংশ আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশী ও সমাজের গরীব, দুঃখীদের মাঝে বিতরণ করার প্রতি উৎসাহ দেয়া হয়েছে, এতে করে সমাজের সকলে মিলে এই উৎসব উপলক্ষে সাময়িকভাবে হলেও বৈষম্যহীনভাবে একটা আনন্দ উপভোগ করে থাকে।
আল্লাহ বলেন, فكلوا منها واطعموا القائع والمعتر
“তা থেকে তোমরা নিজেরা খাও এবং তাদেরকে খাওয়াও যারা চেয়ে বেড়ায় না ও যারা চায়।” (হজ্ব-৩৬)
দুঃখ -দারিদ্র মানুষ যাদের অনেকের সারা বছর কোনদিন নিজেদের অর্থে গোশত খাওয়ার আয়োজন করতে সামর্থ হয় না; কুরবানীর উসিলায় তাদের ও একটু উত্তম খাবারের ব্যবস্থা হয়ে যায়। শুধু তাই নয় সাময়িকভাবে সকলে মিলে এ উৎসব আদায়ের মাধ্যমে সামর্থবানদের অনুভূতিতে এ মর্মে পড়ে যে, সারা বছরই এভাবে দুঃখ-দারিদ্রের প্রতি ইহসান করা উচিত।
মহান আল্লাহ বলেন, وفي اموالهم حق للسائل والمحروم
“এবং সামর্থবানদের সম্পদে অভাবীও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে। (যারিয়াত-১৯)
৬/ পশু পালনে উৎসাহঃ কুরবানীর জন্য প্রতি বছর পশু জবাই করতে হয়। ফলে মানব সমাজে পশু পালনের উৎসাহ বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, পশুকে ভালভাবে ক্রটি মুক্ত রেখে লালন-পালন করার প্রতি ও উৎসাহিত করা হয়েছে পরোক্ষভাবে। কেননা ক্রটিযুক্ত পশু কুরবানীর জন্য অনুপযোগী বলে ঘোষিত হয়েছে। তাই খুব স্বাভাবিভাবেই এক্ষেত্রে মানুষের বিবেক জাগ্রত হওয়ার কথা। হাদীসে এসেছে,
عن البراء بن عازب رض ان رسول الله صلى الله عليه وسلم سئل ماذا يتقى من الضحايا فاشار بيده فقال اربع العرجاء البين ظلعها والعوراء البين عورها والمريضة البين مرضها و العجفاء التى لا تنتقى
“বারায়া ইবনে আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এরূপ রাসূল (স.) এর খেদমতে আরজ করা হলো যে, কুরবানীতে কি ধরনের পশু পরিত্যাগ করতে হবে ? রাসূল (স.) হাত দ্বারা ইশারা করে বললেন, তোমরা চার রকমের পশু পরিত্যাগ করবে খোঁড়া, যার খোঁড়ামী সুস্পষ্ট, অন্ধ, যার অন্ধত্ব সুস্পষ্ট, রোগা, যার রোগ সুস্পষ্ট, শক্তিহীন, যার হাড়ের মজ্জা শুকিয়ে গেছে। (দায়েমী, মালেক, আহমদ, তিরামযী, ইবনে মাজাহ)।
উল্লে¬খিত হাদিসটি পশুকে ভালভাবে ও ক্রটিমুক্তভাবে পালন করার শিক্ষা দেয়।
৭/ শিরকমুক্ত সমাজ গঠনঃ শিরক (شرك) শব্দের অর্থ অংশীদার স্থাপন করা
কুরবানী শিরক থেকে মুক্ত থাকার অনন্য একটি মাধ্যম। কেননা মুশরিকদের মাঝে জানোয়ার পূজার রেওয়াজ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। ইসলাম মুসলমানদের কুরবানীর বিধান দিয়ে তাওহীদ তথা একত্বাবাদের বিশ্বাসকে দৃঢ় ও উজ্জ্বল করার পাশাপাশি এ শিক্ষা দেয় যে, জীব-জানোয়ার, পশু, পাখি এসব পূজা ও উপাসনার জন্য সৃষ্টি হয়নি। বরং আল্লাহ যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেভাবে সে পদ্ধতিতে আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে তার সন্তুষ্টি লাভের জন্যই এসব জীব-জানোয়ার তথা প্রাণীকূলকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
ফলে কুরবানী দ্বারা একদিকে যেমন তাওহীদের বিশ্বাস শানিত হয়, অপরদিকে কাফির-মুশরিকদের প্রতিও কার্যত এ আহবান জানানো হয় যে, তোমরাও এসব প্রাণীর পূজা দিয়ে ছেড়ে ইসলামের মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হও।
আল্লাহ বলেন, واعبدوا الله ولاتشركوا به شيئا
“তোমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করো এবং তার সাথে আর কাউকে অংশীদার করো না।”
শিরকমুক্ত সমাজ কায়েমের আন্দোলনের জন্য নিজেদের সুখ-শান্তি, আরাম-আয়েশ ও লোভ-লালসার গলায় ছুরি চালাতে হবে।
সারমর্মঃ ‘কুরবানী’ বিশ্ব মুসলিমদের ঐক্য ও ত্যাগের অপূর্ব নির্দশন। ঝঞ্চাবিক্ষুদ্ধ এই বিশ্বে মুসলিমদের ঘুরে দাঁড়াতে হলে ঐক্য ও ত্যাগের বিকল্প নেই।
ঈদ মুবারাক সবাইকে।
(বিভিন্ন ইসলামিক ওয়েবসাইট এর সাহায্য নিয়ে লেখা)
বিষয়: বিবিধ
২০৪৫ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিশ্লেষণধর্মী এবং রেফারেন্স সমৃদ্ধ লিখাটি সংগ্রহে রেখে আমল করার মত। এটিকে স্টিকি করার জোর আবেদন রইলো মডারেটর প্যানেলের নিকট।
খুব ভালো লাগলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
তার চাইতে আমাদের মুসলিম নামধারীরা যে ইসলামের বিধান মানে না, ওদেরকে মুসলিম এর কাতারে ফিরিয়ে আনা অথবা নাস্তিক-মুরতাদদের কাতারে ঠেলে দেয়া মনে হয় ভালো কাজ; মুনাফিকদের এক-সাইড করা আর কি ...
কেবল গরু, ছাগল, ভেড়া, উট আর দুম্বার প্রান আছে? হাঁস-মুরগী এমন কী গাছের প্রান নেই? তাহলে কোরবানীর ঈদের আগে হঠাৎ করে প্রানী অধিকার রক্ষকদের পরান এত উথলে ওঠে কেন?
নিরামিষ ভোজীরা কী গাছের প্রান সংহার করেন না?
গরুর বাছুরকে বঞ্চিত করে সেই দুধ পান করেন না?
ওরা ওদের কোরাস গাইতে থাকুক,
আমরা আমাদের পথে অটল থাকলেই চলে
কিন্তু যখন মুসলিম নামধারীরা অমুসলিমদের সাথে কোরাসে যোগ দেয়, তখনই তারা জোর পায়
ঈদের শুভেচ্ছা- কুরবানী ও ঈদ মোবারক
ত্যাগের আলোয় ব্যক্তি ও সমাজ জীবন আলোকিত হোক
ঈদের শুভেচ্ছা- কুরবানী ও ঈদ মোবারক
ত্যাগের আলোয় ব্যক্তি ও সমাজ জীবন আলোকিত হোক
পৃথিবীর নৃশংসতম পশু হত্যার ফেস্টিভ্যাল কারা করে বলুনতো? শুনলে আশ্চর্য হয়ে যাবেন এটা করে হিন্দুরা এবং এই ফেস্টিভ্যাল হয় বিশ্বের একমাত্র হিন্দু দেশ নেপালে। আরো আশ্চর্যের ব্যাপার এই হত্যা থেকে রেহাই পায়না তাদের দেবীও। অবশ্য যেহেতু মুসলিমরা করছেনা তাই তেমন পশু অধিকার খর্বিত হয়না যদিও এই হত্যাকাণ্ডগুলো হয় অত্যন্ত নির্মমভাবে- গলায় ফাঁস দিয়ে, পশুর মাথায় বাড়ি দিয়ে, তরবারি দিয়ে আঘাতের পর আঘাত দিয়ে। এই নিয়ে ইউটিউবে ভিডিও আছে, দেখলে সুস্থ মানুষের পক্ষে চোখের পানি ধরে রাখা সম্ভব হবেনা। একদিনে ৫ লক্ষর উপর পশুকে বলি দেয়া হয় তাদের গাধিমাই দেবীকে সন্তুষ্ট করার জন্য। কিন্তু বললামনা, যেহেতু মুসলিমরা করছেনা, তাই এখানে দেবীর দোহাই দিয়ে, মানবতার দোহাই দিয়ে বন্ধ করার প্রশ্ন উঠেনা। এখানে পশুর জন্য কারো মানবতা উথলে পড়েনা। মানবতা আর মানবাধিকার দুইটি আজব শব্দ। মুসলিমদের বেলাতেই এসবের ডেফিনিশান বদলে যায়।পৃথিবীর নৃশংসতম পশু হত্যার ফেস্টিভ্যাল কারা করে বলুনতো? শুনলে আশ্চর্য হয়ে যাবেন এটা করে হিন্দুরা এবং এই ফেস্টিভ্যাল হয় বিশ্বের একমাত্র হিন্দু দেশ নেপালে। আরো আশ্চর্যের ব্যাপার এই হত্যা থেকে রেহাই পায়না তাদের দেবীও। অবশ্য যেহেতু মুসলিমরা করছেনা তাই তেমন পশু অধিকার খর্বিত হয়না যদিও এই হত্যাকাণ্ডগুলো হয় অত্যন্ত নির্মমভাবে- গলায় ফাঁস দিয়ে, পশুর মাথায় বাড়ি দিয়ে, তরবারি দিয়ে আঘাতের পর আঘাত দিয়ে। এই নিয়ে ইউটিউবে ভিডিও আছে, দেখলে সুস্থ মানুষের পক্ষে চোখের পানি ধরে রাখা সম্ভব হবেনা। একদিনে ৫ লক্ষর উপর পশুকে বলি দেয়া হয় তাদের গাধিমাই দেবীকে সন্তুষ্ট করার জন্য। কিন্তু বললামনা, যেহেতু মুসলিমরা করছেনা, তাই এখানে দেবীর দোহাই দিয়ে, মানবতার দোহাই দিয়ে বন্ধ করার প্রশ্ন উঠেনা। এখানে পশুর জন্য কারো মানবতা উথলে পড়েনা। মানবতা আর মানবাধিকার দুইটি আজব শব্দ। মুসলিমদের বেলাতেই এসবের ডেফিনিশান বদলে যায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন