শিক্ষকদের কুনজর, কোথায় নিরাপদ ছাত্রীরা? কিছু পরামর্শ!!

লিখেছেন লিখেছেন আতিক খান ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৭:৫০:৪৫ সন্ধ্যা

শিক্ষার মান নামছে.........।

আরও নামছে শিক্ষা মন্ত্রনালয় আর প্রশ্নপত্রের সাথে জড়িতদের নৈতিকতা ...........

আরও বেশি নামছে শিক্ষকদের চারিত্রিক দৃঢ়তা .........।।

একজন শিক্ষককে মা-বাবার পরেই আদর্শিক অবস্থান আর রোল মডেল হিসাবে ভাবা হয়। এই শিক্ষকই যখন বিশেষ করে ছাত্রীর কাছে একজন বিভীষিকা হিসাবে আবির্ভূত হন, তখন সমাজে বিশ্বাস নামক বস্তুটা হারিয়ে যায়। নারীর নিরাপত্তা আজ কোথায়?

একজন পুঠিয়া, রাজশাহীর ডিগ্রি কলেজ শিক্ষক এর ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে দেয়া, ভিকারুন্নেসার পরিমল জয়ধর এর ছাত্রী নির্যাতন কিংবা ঢাকা ভার্সিটির থিয়েটার বিভাগের প্রধান সাইফুল ইসলাম এর নাম্বার বাড়াতে ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা, সবই একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ।

এই দেশে ৩ বছরের মেয়ে শিশু হতে ৫০ বছরের মহিলাও নিরাপদ নন। সব শ্রেনিই নানা ধরনের নির্যাতন আর সহিংসতার শিকার। কিন্তু শিক্ষকের হাতে যদি এই ঘটনা ঘটে সেটা নতুন মাত্রা পায়। কারন মানুষের একটা বিশ্বাসের বিশেষ জায়গা হলেন শিক্ষকরা যারা সমাজে শিক্ষা, চরিত্র আর নৈতিকতা শিক্ষা দেন।

থিয়েটার বিভাগের সেই ছাত্রীকে বাহবা দিতে হয়। বিভাগীয় প্রধান ছাত্রীকে নম্বর বাড়ানোর ছলে বিশেষ জায়গায় ডাকার পর সে যেসব বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে,

- বিভাগের একজন মহিলা শিক্ষককে ঘটনা আগেই জানিয়ে রেখেছে।

- মোবাইলেও জানিয়েছে এবং টেপ- রেকর্ডার অন রেখেছে।

- শিক্ষকের অফার করা ড্রিংকস আর বাদাম খায়নি, হয়ত নেশা জাতীয় কিছু মিশানো ছিল।

- দিনের আলো থাকতেই সেখানে গেছে।

- শিক্ষকের অভিসন্ধি টের পেয়ে মনোবল হারায়নি। জোর খাটিয়ে বাধা দিয়েছে এবং সফল হয়েছে।

আমি নিশ্চিত এই শিক্ষকের এধরনের অভিসার এই প্রথম নয়। অনেক ক্ষেত্রে সফল হয়েই তাঁর আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। অনেকে চুপ ছিল বলেই এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। এই ঘটনা গুলো প্রকাশ করে দিলে অনেকের জীবন হয়ত দুর্ঘটনা হতে রক্ষা পেত। অপরাধীকে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই।আইনের আওতায় আনুন।

কিছু সতর্কতা সবাই মেনে চলতে পারে,

- কিশোরী বয়স হতে ছাত্রীকে একা বাসায় বা বাইরে পুরুষ শিক্ষকের কাছে পড়তে না পাঠানো

- বাধ্য হলে বাসায় নজরদারি করা এবং বাইরে হলে গ্রুপে পাঠানো

- এমনকি নম্বর বা পাস করানোর ছুতায় ও একা শিক্ষকের সাথে নীরব - নিভৃতে দেখা না করা। এরকম যেতেই হলে অভিভাবককে অবহিত করা আর সম্ভব হলে পুরুষ সঙ্গীকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা।

- মেয়েরা চোখে মারার স্প্রে সাথে রাখতে পারে। র‍্যাব- পুলিশের নাম্বার সেভ করে রাখতে পারে।

- সম্ভব হলে আত্মরক্ষার কৌশল শিখে রাখা বা কিছু দিয়ে আঘাত করার সাহস সঞ্চয় করে রাখতে পারে।

ডিজিটাল যুগ, সর্বচ্চ সতর্কতা কাম্য। একটি ভুল সারা জীবনের আফসোসে যাতে পরিনত না হয় !!

বিষয়: বিবিধ

১১৫০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

266382
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:১১
মামুন লিখেছেন : ব্লগারের এই পোষ্টটি স্টিকি করার জোর আবেদন জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ এফএম, একেবারে সময়ের প্রয়োজনীয় একটি লেখা উপহার দিয়েছ।
মেয়ে আমারো কিভাবে যেন তরতর করে বড় হয়ে উঠল। এবার জে এস সি পরীক্ষা দিবে। বাসায় দুজন শিক্ষক ওর মায়ের কড়া নজরদারিতে পড়িয়ে যান। তারপরও কোনাবাড়িতে বসে এক অজানা শংকায় এই বাবার মনে কত কি যে উকি দিয়ে যায়।
সবারই অন্তত এই পোষ্টটি একবার করে পরে সেই অনুযায়ী আমল করা দরকার।
আল্লাহপাক আমাদেরকে সেই তৌফিক দান করুন-আমীন। Rose Rose Rose Good Luck
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৪৮
210129
আতিক খান লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ মামুন। যাদের ঘরে উঠতি মেয়ে আছে এটা বিশাল সমস্যা। বেশ কয়টা কেস দেখলাম। আশা করি সবাই সতর্ক হবে। আল্লাহপাক আমাদেরকে সেই তৌফিক দান করুন-আমীন। Good Luck Good Luck
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:১৬
210167
কাহাফ লিখেছেন : মামুন ভাইয়ের সাথে একমত পোষণ করছি আমিও। সময়ের হাতে বন্দি এই সমাজে সচেতনতার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
ব্লগার আতিক খান সহ সবাই কে শুভেচ্ছা ......
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২০
210180
আতিক খান লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ কাহাফ ভাই। Good Luck Good Luck ভালো বলেছেন - সময়ের হাতে বন্দি এই সমাজে সচেতনতার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। Applause Applause
266406
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩৭
ভিশু লিখেছেন : অবশ্যই খুবি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট! সবই ঠিক আছে - তবে চোখে মারার স্প্রে বা সাথে কিছু রাখার ব্যাপারটি সবার ক্ষেত্রে কেমন হবে/হতে পারে - তা ভাবার বিষয়! ধন্যবাদ! Happy Good Luck Day Dreaming
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৫২
210131
আতিক খান লিখেছেন : ধন্যবাদ ভিশু ভাই। Happy Good Luck Good Luck অনেক দিন পর, ভাল আছেন? উদাহরন হিসাবে একটা লিঙ্ক দিলাম। এই স্প্রে পিপার বা ক্ষতিকারক কিছু দিয়ে তৈরি।
http://modelmugging.org/pepper-spray/
266430
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:২৫
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : শিক্ষকতার মত এমন মহান পেশার একজন মানুষ এমন কিছু করতে পারে ভাবতে কেমন যেন গা শিউরে উঠে। এসব ঘটনা প্রমান করে সমাজের দায়িত্বশীল তথাকথিত মহান মানুষগুলো আসলে মানুষ নয়। ডিজিটাল যুগে মেয়েদের যেমন আরও সচেতন হওয়া উচিত। বাবা,মা এবং পরিবারে বড় ভাই থাকলে তাদেরও মেয়ে-বোনদের দিকে খেয়াল রাখা উচিত। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২৫
210181
আতিক খান লিখেছেন : ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের জন্য। Applause Good Luck শিক্ষকতার মুখোশের আড়ালে অনেক জঘন্য সব কাজকর্ম হচ্ছে। খারাপ লাগলেও এটা ও সত্য অল্পসংখ্যক এক শ্রেণীর মেয়ে কিছু সুবিধা পাবার জন্য অনৈতিকতার পথ ও বেছে নেয়। তবে মেয়েদের এত বোকা হলে চলবে না, পুরুষ দায়ী থাকলে চেপে না গিয়ে প্রকাশ করে দিন, ধরিয়ে দিন। নিজেও সতর্ক থাকুন। Worried :Thinking
266451
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:১৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সার্বিক পরিস্থিতির সাথে শিক্ষা ক্ষেত্রেও নৈতিকতা এখন কোন অর্থেই নাই।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২৬
210182
আতিক খান লিখেছেন : শিক্ষা ক্ষেত্র সবদিক থেকেই তলানিতে। এর দ্রুত উত্তরন না হলে এই প্রজন্ম থেকে আমরা কি আশা করব? Worried :Thinking ধন্যবাদ ভাই। Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File