হজ্ব পালনঃ এখন না হলে আর কখন?
লিখেছেন লিখেছেন আতিক খান ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৭:০১:১৩ সন্ধ্যা
আশপাশের অনেকেই হজ্বে যাচ্ছেন। আমরা অনেকেই শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, দোয়া চাইছি। কিন্তু সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কয়জন হজ্বে যাবার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি? না যাবার যেসব কারন শোনা যায় সেগুলো হল,
- বাচ্চা ছোট, বড় হলে যাওয়া যাবে।
- জমি কেনা, ফ্ল্যাট কেনা এগুলোতে অনেক টাকা লাগছে। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে।
- রিটায়ার করে একসাথে অনেক টাকা পাব, তখন যাওয়া যাবে। ইত্যাদি .........।
- আপনি কি নিশ্চিত আপনি ততদিন বেঁচে থাকবেন? আপনার যদি সামর্থ্য থাকে আর হজ্ব পালনের আগেই মারা যান, তারজন্য অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
- আপনি কি নিশ্চিত যাদের জন্য আপনি যাওয়া স্থগিত রাখছেন, সেই সন্তান আপনাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবে না বা ত্যাগ করবে না বা অবাধ্য হবে না?
- আপনি কি নিশ্চিত সাড়ে তিন হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট কেনা আপনাকে সাড়ে তিন হাত মাটিতে শান্তিতে থাকার নিশ্চয়তা দিবে?
হজ্ব অনেক কঠিন একটা প্রক্রিয়া। শরীরে যৌবন, শক্তি থাকতেই হজ্ব পালন করতে যাওয়া উচিত। প্রতি বছর বৃদ্ধ বয়সে হজ্ব পালন করতে যাওয়াতে অনেক বাংলাদেশী নাগরিক ইন্তেকাল করেন।
এটি ইসলাম ধর্মের পঞ্চম স্তম্ভ। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জীবনে একবার হজ্ব সম্পাদন করা ফরয বা আবশ্যিক।
আলহামদুলিল্লাহ ২০০৮ সালে সস্ত্রীক হজ্ব পালন করতে পেরেছিলাম। এর আগে জাহাজ হতে বার দুয়েক ওমরাহ্। কিন্তু পাপের পাল্লা দিনদিন ভারী হচ্ছে। বাম কাঁধের ফেরেশতা প্রতিদিন টিভি, ফেসবুক, পরিবেশ হতে অগনিত গুনাহ এর কাজ লিখছেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হালাল উপার্জনে ফরজ হজ্ব পালন করার তৌফিক দিন, আর সম্ভব হলে জমে যাওয়া গুনাহ মাফ করতে নফল হজ্বের ও সুযোগ দিন।
------------------------------------------------------------------
আবু হোরায়রা বর্ণিত এক হাদিসে ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য হজ্জ করে এবং অশ্লীল ও গোনাহের কাজ থেকে বেঁচে থাকে, সে হজ্জ থেকে এমতাবস্খায় ফিরে আসে যেন আজই মায়ের গর্ভ থেকে বের হয়েছে। অর্থাৎ জন্মের পর শিশু যেমন নিষ্পাপ থাকে, সেও তদ্রূপই হয়ে যায়।" [৩]
আরেকটি হাদিসে তিনি বলেছেনঃ "শয়তান আরাফার দিন হতে অধিক লজ্জিত ও অপদস্থ আর কোনো দিন হয় না, কেননা ওই দিন আল্লাহতায়ালা স্বীয় বান্দার প্রতি অগণিত রহমত বর্ষণ করেন ও অসংখ্য কবিরা গুনাহ ক্ষমা করে দেন।" তিনি আরো বলেছেনঃ "একটি বিশুদ্ধ ও মকবুল হজ্জ সমগ্র পৃথিবী ও পৃথিবীর যাবতীয় বস্তুর চেয়ে উত্তম। বেহেস্ত ব্যতীত অন্য কোনো বস্তু তার প্রতিদান হতে পারে না।"
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আসলেই আমাদের দেশে হজ্জ সম্পর্কে এই ধরনের ভুল ধারনা রয়েছে। বিশেষ করে মেয়ের বিয়ে দেওয়া কে হজ্জ না করার অন্যতম কারন হিসাবে দেখান হয়।
যে ব্যাক্তির কাছে মক্কা পৌঁছার টাকা আছে, কিন্তু অন্যায় ভাবে তার কাছে বেশি টাকা দাবী করছে সৌদি সরকার। এখন তার উপর হজ্জ ফরজ হবে কিনা?
এক লাখ টাকা দিয়ে যদি ওমরা করতে পারে তাহলে হজ্জ করতে পারবে না কেন? ওমরাতে মানুষ যা যায় তারচেয়ে হজ্জে মানুষ বেশি হয়। যদি ব্যবসার কথা আসে তাহলে বেশি মানুষ হচ্ছে তাই হজ্জে টাকা কম নেয়ার কথা। কিন্তু বেশি নিচ্ছে কেন?
এই বাড়তি টাকা দিয়ে যদি সৌদিরা ইসরাইলকে সাহায্য করে তাহলে হজ্জ করা মানেই ফিলিস্তিনের মুসলমানদেরকে হত্যা করা। তাহলে হজ্জ করা যাবে কিনা?
মন্তব্য করতে লগইন করুন