সতর্কতা - ৩ (সহজ সরল মানুষকে ফাঁদে ফেলে বিদেশি ডাক্তার এনে প্রতারনা)
লিখেছেন লিখেছেন আতিক খান ২৩ আগস্ট, ২০১৪, ০৯:০০:৫২ রাত
গত পরশুর ঘটনা। ফোন পেলাম এক আত্মীয়াকে ভারতের বিশ্ববিখ্যাত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখানোর ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য। দৈনিক আজাদির ভিতরের পাতায় বিজ্ঞাপন দিয়েছে।
বিজ্ঞাপনে দেখা গেল ভারতের দেবি শেঠি হাসপাতালের ৩ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জিইসি মোড়ের কাছে আমাদের বাসার কাছেই একটা অফিসে মাত্র ২ দিন ২২-২৩ অগাস্ট চিকিৎসা পরামর্শ দিবেন। আগ্রহীরা ১০০০ টাকা ফি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। নিউরলজি, কিডনি আর অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞ। আমার আগ্রহ নিউরলজির ডাক্তার।
ফোন দিয়ে জানলাম ডাক্তার প্রতি দিনে ৩০ জন করে ৬০ জন রেজি করে ফেলেছে। তাই পরে ফোন করে অতিরিক্ত রোগী হিসেবে রেজি করার জন্য বলা হল। ভিতরের পাতায় বিজ্ঞাপন আর ভারতীয় ডাক্তার দেখেই সন্দেহ তৈরি হল। আমাদের বন্ধুরা বিদেশে গিয়ে ওখানকার ডাক্তারি কোর্স না করে রোগী দেখার অনুমতি পায়নি, আর এরা কিভাবে এসে মাত্র রোগী দেখে? আর এদের দেখালে রোগী পরে ফলো আপ কিভাবে করবে? সেজন্য কি ভারত যেতে হবে?
এক ডাক্তার বন্ধুকে ফোন দিলাম। বন্ধু ও আমার সাথে একমত পোষণ করল। শেষ পর্যন্ত গতকাল আর রেজি করলাম না। আর আজ পত্রিকার পাতায় দেখি হেডলাইন হয়ে গেছে ব্যাপারটা............।।
মজার ব্যাপার এই ডাক্তাররা (বা প্রতিনিধি) অনেকে বিদেশি হাসপাতালের প্রমোশনাল ট্যুরেও আসেন। কিন্তু রোগী দেখার নিয়ম নেই। এরা কিন্তু বিভিন্ন সাজেশন দিলেও টাকা নেননি। নিয়ে পকেট ভারী করে ব্যবসা করেছে এখানকার অফিস খুলে বসা দালাল বা মিডিয়া।
সংক্ষেপে খবরঃ
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিএমডিসির (Bangladesh Medical & Dental Council) অনুমতি ছাড়াই ভারতের চিকিৎসক এনে চিকিৎসা কার্যক্রম চালানোর অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরীতে একটি ভারতীয় চিকিৎসা তথ্যকেন্দ্রে অভিযান চালানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ওআর নিজাম রোড আবাসিক ৪ নম্বর সড়কের আনসারী হাইট ভবনের নিচতলায় এপোলো ইনফরমেশন সেন্টারে এ অভিযান চালায় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের নেতৃত্বে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল। এসময় ওই সেন্টারের প্রধান নির্বাহী মারুফ আজাদকে আটক করা হয়।
সূত্র জানায়, আগত দুজন কোলকাতার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাসপাতালের সাথে যুক্ত কিনা কিংবা তারা আদৌ চিকিৎসক কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদেরকে টেকনিশিয়ান বা সেই পর্যায়ে কর্মরত বলে মনে হয়েছে। সূত্র জানায়, নিজেকে এপোলো ইনফরমেশন সেন্টার, চট্টগ্রামের সিইও হিসেবে উল্লেখ করে মারুফ আজাদ কেন ভিজিটিং কার্ডে এপোলো হাসপাতাল চেন্নাই লিখা ও লোগো ব্যবহার করছেন, জিজ্ঞাসাবাদে সে সম্পর্কে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। এই কার্ড দিয়ে তিনি রোগীদের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছেন।
অভিযানকালে ভারত থেকে আসা ডা. পার্থ প্রতিম বিষ্ণু ও তার ম্যানেজার অর্ণব ব্যানার্জিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনএসআই। তাদের ভিসা ও পাসপোর্ট পরীক্ষা করা হয়। এসময় দেখা যায়, ডা. পার্থ ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসেছেন। তার চিকিৎসার কোনো অনুমতি নেই। তাই তার চিকিৎসা ক্যাম্প বাতিল এবং রোগী দেখতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই ভারতের চিকিৎসক এনে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে এনএইচ ইনফরমেশন সেন্টার। এই অভিযোগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালানো হয়।
http://dainikazadi.org/details2.php?news_id=2645&table=august2014&date=2014-08-23&page_id=4&view=0&instant_status=
বিষয়: বিবিধ
১৪৭২ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যদিও পরে হয়তো অন্যরকম হয়ে যেতে পারে
ধন্যবাদ ও জাযআ আপনারও প্রাপ্য বটে!!
জাযাকাল্লাহ..
বাংলাদেশির পাছা বাংলাদেশিই মারে।
বাংলাদেশীদের কি এমন সহজ সুযোগে কোন দেশ চাকরী দেয় ?
বিদেশী বলেই গদ গদ হয়ে যেতে নেই ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন