মানবতাবাদী ব্লগার পুরস্কার!! ইসলাম বিদ্বেষী পশ্চিমা / উন্নত বিশ্ব আর একশ্রেণীর পালিত ভেড়া!!
লিখেছেন লিখেছেন আতিক খান ১৯ আগস্ট, ২০১৪, ০৯:৩৫:৩৫ রাত
প্রথম আলো প্রচ্ছদ পাতার একটা সংবাদ (২/৩ দিন আগের),
মানবতাবাদী ব্লগার হিসেবে আসিফ মহিউদ্দিন চলতি বছরের ‘ফ্রি এক্সপ্রেশন অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেছেন। প্রয়াত ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে (থাবা বাবা) দেওয়া হয়েছে মরণোত্তর পুরস্কার। ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিস্ট কংগ্রেসে এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। গত শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে আন্তর্জাতিক মানবতাবাদী সংগঠন ব্রিটিশ হিউম্যানিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এ তথ্য জানায়। প্রথম আলো সব জেনেও ১ম পাতায় এই খবর ছাপিয়েছে!!
আন্তর্জাতিক মানবতাবাদী সংগঠন এর কাজ হল ইসলাম এর নামে বিদ্বেষ ছড়ানোদের পুরস্কৃত করা। পশ্চিমা বিশ্ব এদের স্পন্সর বা পৃষ্ঠপোষক। রাজিব হায়দার বা থাবা বাবাকে সবাই চিনে, আর আসিফ মহিউদ্দিনকে চিনতে হলে এই নাম দিয়ে ওর ব্লগ হতে ঘুরে আসুন। চিনতে সময় লাগবে না। ওর কাজই হল, মুসলিমদের উসকে দেয়া। কোরান এবং রাসুল(সাঃ) সম্পর্কে ক্রমাগত আপত্তিকর পোস্ট দেয়া। একটা ছবি আর ভিডিও ইচ্ছা করে ছড়িয়েছে, সে আর ব্লগার আরিফুর রহমান অক্সফোর্ড ভার্সিটি এর লাইব্রেরিতে টেবিলে এত জায়গা থাকতে পবিত্র কোরান শরিফের উপর চা-কফি রেখে পলাতক তসলিমা নাসরিন এর সাথে গল্পে মশগুল। ওর পোস্টে গিয়ে প্রতিবাদ করে লাভ নেই, শতজন প্রতিদিন করে, ওর কিছু আসে যায় না।
" Lakum dinukum wa-liya dini" (Al Quran - Sura Al Kafirun)
Meaning: You have your religion/faith/way (atheism, agnosticism, deism, theism, paganism, idolatry, polytheism, henotheism, pantheism, animism, reincarnation, etc., with whatever it will bring you), and I have a religion (Islamic Monotheism, with whatever it will bring me)."
বাংলাঃ তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্য আর আমার ধর্ম আমার জন্য।
শুধু কর্মক্ষেত্রেই ভিন্নধর্মীদের সাথে উঠাবসা আজ ২০ বছর। কখনো সমস্যা হয়নি। স্কুল-কলেজ ধরলে সময়টা আরও অনেক বেশি। ইসলাম শান্তির ধর্ম। বন্ধুরা যে যার মত ধর্ম পালন করবে সমস্যা দেখিনা। এমনকি নাস্তিকদের নিয়েও সমস্যা নেই। ধর্মে বিশ্বাস নেই, হয়ত হবে কখনো। কিন্তু সমস্যা হল কিছু আগাছা নিয়ে যারা লাইম লাইটে আসার জন্য, পিছন দরজা দিয়ে সুযোগ সুবিধা নেয়ার জন্য অন্য ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষ আর অপপ্রচার চালাতে থাকে। এরাই বিভিন্ন ধর্মীয় দাঙ্গা বাঁধাতে মূল ভুমিকা পালন করে। এদেরকে একটা শ্রেনি পোষে, বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয় আবার কখনো কখনো পুরস্কার দিয়ে সন্মানিত ও করে। সাথে পায় পশ্চিমা বা ইসলাম বিদ্বেষী রাষ্ট্রের ভিসা, স্কলারশিপ আর নানা পুরস্কার।
গীতা, বাইবেল এগুলো আমার কাছেও গুরুত্বপূর্ণ, কারন আমার কিছু বন্ধুদের কাছে এগুলো পবিত্র। পারস্পরিক সন্মান, শ্রদ্ধা আর স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমেই গড়ে উঠে বন্ধুত্ব, বন্ধন আর সমাজ ব্যবস্থা।
আমি এই খবর শেয়ার না করলেও পারতাম। করলেও এরা এক ধরনের লাইম লাইট পায়। কিন্তু প্রতিবাদ করাও জরুরী, সাথে দুই মুখো সব সাপকেও চিনে রাখা জরুরী। কারন এরা ইতিমধ্যে লাইম লাইট পেয়েই গেছে, তাই সাধারম মানুষকেও এদের চিনতে হবে। এইসব ধর্ম বিদ্বেষী পোস্টে ক্রমাগত লাইক দেয়ার জন্য এবং নিজের টাইম লাইনেও এধরনের পোস্ট শেয়ার করতে থাকায় ফেসবুকে বন্ধুতালিকা সংশোধন করেছি।
(কোন ছবি আপলোড করতে পারছি না, কেউ সমাধান জানলে জানাবেন, ধন্যবাদ)
বিষয়: বিবিধ
১২৫৯ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১। ভালোয় ভালোয় মুসলমান হয়ে যাও
২। তা না হলে করোজোড়ে জিযিয়া দাও
৩ অন্যথায় কল্লা উড়ে যাবে।
কথায় বলে- "হাতে লোহা পেলে বান্দর সবার মাথায় বারি দেয়।" ইহুদীরা আপনার মত জাত বান্দরের হাত থেকে লোহাটি কেড়ে নিয়েছে। তো, নিরুপায় আপনি এখন মুমিনতত্ব ইস্তফা দিয়ে জায়নবাদে মনোযোগী হয়েছেন।
কোরাণ ৯:২৯- "তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।"
"Sahih al-Bukhari 6924—Muhammad Peace be upon him said: “I have been ordered to fight the people till they say: La ilaha illallah (none has the right to be worshipped but Allah), and whoever said La ilaha illahllah, Allah will save his property and his life from me.”
আগেই প্রমাণ করেছে ওরা নাস্তিকদের....!
দেখি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে সে দেশকে সেভ করতে পারে কি না চেহারা ও চাপা দেখিয়ে ।
সে শামীমের উপর দিয়ে কখনও ঘাস খেতে পারবে না । মিডিয়ার সাপোর্ট পেয়ে ভালই গলাবাজি করে শামীমের সাথে । কাজের কাজ কিছুই করতে পারে না এবং পারবেও না , কারণ সে তো দলের বিরুদ্ধে গিয়ে লড়েছে । জিতেও হেরে গেছে শামীমের কাছে ।
ব্লগার নামক অসভ্যদের দেখলেই ব্লক করে দেই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন