চট্টগ্রামের মেহমানদারী আর অপচয়, দুজনে দুজনার
লিখেছেন লিখেছেন আতিক খান ১৫ আগস্ট, ২০১৪, ০৬:০০:১৩ সন্ধ্যা
চট্টগ্রামের একটা ঐতিহ্যবাহী মেহমানদারির দিক নিয়ে একটু কথা বলব। আমি ঠিক নিশ্চিত না, অন্য জেলায় আমাদের মত আয়োজন করা হয় কিনা। এখানে অনেক মানুষ আছেন যারা সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে ধার কর্জ ও করেন এই আচার - সামাজিকতা রক্ষা করতে গিয়ে।
যাদের সাথে অনেক বছর দেখা হয় না, যারা কখনো খোঁজ খবর ও রাখেন না, বিয়ে-মেজবানে তাদের ও খুঁজে খুঁজে দাওয়াত দেয়া হয়। সামর্থ্য থাকলে সমস্যা নেই, যেমন কদিন আগে এক ধনী পরিবারের বিয়েতে দাওয়াত পেল ১২০০০ আর বউ ভাতে ৭০০০। সমস্যা সামর্থ্যহীনদের নিয়ে। আর অনেকে মেয়েপক্ষকে (মেয়ের বাবাকে) গিনিপিগ বানিয়ে রাস্তা থেকেও লোক ধরে ধরে বরযাত্রী হিসেবে নিয়ে আসেন। মূল কথায় আসি।
এখানে অনেকে মুরগিকে কেটে ৪ টুকরো বানিয়ে দেন, অনেকে ৭ টুকরো। খাসি বা গরু থাকলেও বেশ বড় বড় টুকরো করা হয়। ছোট হলে ইজ্জত বাঁচে না। যার ফলে টেবিলে গিয়ে দেখা যায় শিশু, বৃদ্ধসহ অধিকাংশ মানুষই খাবার প্লেটে নিয়ে নষ্ট করেন। এই নষ্ট করা খাবারটা কোথায় যায় জানেন? বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটা যায় একটা আলাদা ডেকচিতে। ১০০০ মানুষের দাওয়াত হলে হয়ত ৫০-১০০ মানুষের খাবার (উচ্ছিষ্ট) বেঁচে যায়। এই খাবার বাইরে অপেক্ষা করা ফকির, পথশিশুদের অনুষ্ঠানের পর দেয়া হয়। অনেকে হয়ত বেঁচে যাওয়া খাবার ও যোগ করে দেন। আমি এখানে অবশ্যই সবাইকে নিয়ে কথা বলছি না, খাবারের অপচয় নিয়ে নিয়ে বলছি।
- অপচয় রোধে হয়ত মুরগি ৭ টুকরো, খাসি-গরু ছোট করা যায়। কেউ চাইলে বেশি নিতে পারে, কিন্তু অপচয়টা কমে।
- আবার অনেকে জোর করে অনেককে খাবার তুলে দেন ইচ্ছার বিরুদ্ধে। এতেও অপচয়ের পরিমান কিছুটা বাড়ে।
- আর টেবিলে থাকলেই প্লেটে নিয়ে নষ্ট করতে হবে এমন কথা নেই। আমরাই একটু হিসেব করে নিতে পারি। না খেলে প্লেটে পড়ে থাকুক।
লাভটা হবে, উচ্ছিষ্টের জায়গায় ভালো খাবার বেঁচে যাবে। ফকির-মিসকিনরাও খেলে একই ভাল খাবার পাতে পাবে। আশা করি আমরা ধীরে ধীরে বদলাব।
বিষয়: বিবিধ
১৭৫৭ বার পঠিত, ৭৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কে বললো আমি একটু পরে জয়েন করছি?!!
আবার অনেকে জোর করে অনেককে খাবার তুলে দেন ইচ্ছার বিরুদ্ধে
আপনি কি এমন টাইপের নাকি?!! @হারি
খাবারের ব্যাপারে যত্নশীল হওয়া উচিৎ সবারই ...
খাবার পরিবেশনে সচেতন হতে হবে।
সুন্দর লিখেছেন ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
স্বরন করা দরকার কোরআনের এই আয়াত وَكُلُوا وَاشْرَبُوا وَلَا تُسْرِفُوا ۚ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ [৭-আল-আ'রাফ:৩১] (খাও ও পান কর এবং অপব্যয় করো না। তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না।)
https://www.google.com.bd/search?q=candle+pic&espv=2&tbm=isch&tbo=u&source=univ&sa=X&ei=6iHvU6naOtfd8AWU7oKQCw&ved=0CBkQsAQ&biw=1366&bih=667
তয় আওণ ভাইয়া গত রমজানে আন্দার কিল্লায় ছিল্লায় এসেছিল আপনার সম্পর্কে জানতে চাইলে উনি বলেছেন ব্লগের মেয়েটির কারণে আপনি নাকি দেবদাস হয়ে যাচ্ছেন তাই আপনার পিতা মাতা আপনাকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন - তাহলে কি বিয়ে হয় নাই ভাইয়া @ হ্যরি ভাইয়া--
আমি সব খেতে চাই সাথে আমার কাজিন হারিকেন আর আমার খাওয়াতো ভাই দ্যা স্লেভ থাকবে।
গ্যারান্টি দিচ্ছি কোন খাবার অপচয় হবেনা
হাড়িশুদ্ধ ধুয়ে দিয়া আসবো।
হারিকেন শুধু তাকাই তাকাই দেখবে।
সূর্য ভাইয়ের দাওয়াতে পনার বাড়ি ঘুরে গেলাম, শুকরিয়া!
আওন আর সূর্যের হাড়িপাতিল ধোয়া হলে ওদের সময় মতোন পাঠিয়ে দিয়েন!
"নিশ্চই অপচয় কারীরা শয়তানের ভাই"
মন্তব্য করতে লগইন করুন