সতর্কতা - ১ম পর্ব
লিখেছেন লিখেছেন আতিক খান ০৯ আগস্ট, ২০১৪, ০৬:১৮:৩৭ সন্ধ্যা
১। আমার এক আত্মীয়ার সহপাঠিনী এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে প্রহর গুনছে। এ ধরনের ঘটনা আগে নাটক সিনেমায় দেখেছি। যখন তখন যে কোন অজুহাতে পেইন কিলার ট্যাবলেট খাওয়াই এই দুর্দশার কারন। শরীরের অনেক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, এখন আছে লাইফ সাপোর্টে। আশা করি ডাক্তারের নির্দেশ ছাড়া অকারনে যে কোন অজুহাতে আমরা পেইন কিলার ট্যাবলেট খাব না।
২। বিকাশে টাকা পাঠানো নিয়ে নিত্য নতুন প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে কিছু অমানুষ।
ঘটনা ১ - এক বন্ধুকে মোবাইল কোম্পানির কোড নাম্বার হ্যাক করে ৫৫০০ টাকা জমা হয়েছে মেসেজ পাঠানোর পরপর কল আসে, ভুলে অন্য কারো টাকা মোবাইলে এসে পড়েছে। তাৎক্ষনিক ভাবে যেন টাকাটা বিকাশ করে শোধ করা হয়। ব্যালেন্স চেক না করে বিশ্বাস করে পাঠিয়ে দিলে টাকাটা যেত। বিশ্বাস না করায় বেঁচে গেল।
ঘটনা ২ - লঞ্চ ডুবিতে বউ বাচ্চা হারানো একজনকে ফোন করে বলা হয়, তাঁর বউ বাচ্চা পিজিতে আছে। চিকিৎসার জন্য তক্ষুনি যেন ১৬০০০ টাকা বিকাশ করে পাঠান হয়। ওরকম মানসিক অবস্থায় টাকা পাঠিয়ে দেয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এটাও প্রতারণা। কিরকম অমানুষ হলে এরকম পরিস্থিতেও একজন শোক বিধ্বস্ত মানুষ হতেও টাকা মারার চেষ্টা করে।
ঘটনা ৩ - কক্সবাজারে শেষ ট্রিপে বিচ ক্যামেরাম্যান একজন কিছু ছবি তুলেছিল। পরে ছবি দিয়ে বড় নোট নিয়ে যায় ভাংতির অভাবে। বাকি টাকা বিকাশ করে দিবে বললেও আর করেনি। অংকটা ছোট হলেও এরা সাধারনত বিশ্বস্ত হয় বলেই জানতাম।
৩। এক আত্মীয়া বড় অঙ্কের ভার্সিটি ফি নিয়ে একা রিকশায় চড়ে চট্টগ্রাম ক্লাবের সামনে ছিনতাই এর শিকার হয়েছে। অল্প বয়সী মেয়ে, রাতের বেলা, একা একা, বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে আর অন্ধকার রাস্তায় চলাচল করা সবই বিপদজনক। আমাদের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যখন তেমন উন্নত নয়, সাবধানতা অবলম্বনের বিকল্প নেই। ছিনতাই এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই টহল পুলিশ হাজির !! উনারা আশপাশেই ছিলেন, অনেকটা রোগী মারা যাবার পর ডাক্তারের আগমন!!
৪। এপার্টমেন্টে থাকলেও যারা জানালার পাশে ঘুমান, গায়ে গলায় বা জানালার পাশে দামি কিছু রাখবেন না। একজন প্রতিবেশির গলা হতে রাতের বেলা সোনার চেইন টেনে নিয়ে গেছে। স্পাইডার পার্টি নামের একটা ট্রেনিং প্রাপ্ত চোর দলের আবির্ভাব হয়েছে, যারা সহজেই কাছের এক ভবনের ৯ তলায় ও উঠে পড়েছে। মনে হচ্ছে, আকাশের ঠিকানায় বাড়ি বানাতে হবে............।
বিষয়: বিবিধ
১৪৭৯ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার পোষ্ট পড়ে অনেক কিছু জানলাম ।
একবার ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জ যাচ্ছিলাম। বন্ধ জানালার পাশে বসা ছিলাম। রাস্তার পাশে একটা যুবককে দাড়িয়ে থাকতে দেখে পেছনের একযাত্রী সবাইকে সাবধান করে দিল, ভাইয়ের ঘড়িযুক্ত হাত জানালার পাশে রাখবেননা। আর অমনি দাড়ানো লোকটি গালি গালাজ শুরু করল। প্রথমে বুঝতে না পারলেও রাস্তায় দাড়ানো লোকটার গালি শুনে বুঝতে পেরেছি পেছনের লোকটা সাবধান ছিল এবং পরিস্থিতি বুঝতে পারাতেই হয়তো কেউ দূর্ঘটনা থেকে বেঁছে গেল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন