ফল বিক্রেতা এবং বুদ্ধিমান বন্ধুঃ
লিখেছেন লিখেছেন আতিক খান ২৪ মে, ২০১৪, ০৭:২৬:৩১ সন্ধ্যা
কেমিক্যালের কারনে অনেকগুলো ফল খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। খুব বিশ্বস্ত উৎস হলে অল্প খাওয়া হয়। এক বন্ধু বলল, এগুলো কোন ব্যাপার না। ফল চিনতে হয়। যে চিনে তার জন্য কার্বাইড, ফরমালিন কোন ব্যাপার না। কাজেই তার ফলমূল খাওয়ায় কোন বিঘ্ন ঘটছে না।
আমাকে খুব আগ্রহ নিয়ে বলল, চল তোকে শিখিয়ে দেই কিভাবে ফল কিনতে হয়। ফলের দোকানে গেলাম।
নতুন আম এসেছে বাজারে। বলল,
- যেগুলোতে কেমিক্যাল বা ফরমালিন দেয়া থাকবে সেগুলোতে মাছি বসবে না। কিছু আমের উপর মাছি ভনভন করছে। দাঁত বের করে বলল - ওগুলো নিরাপদ। নিশ্চিন্তে নিতে পারিস। ২ কেজি কিনে বাসায় নিয়ে এলাম। দুয়েকটা হাতে নিয়ে দেখলাম, গায়ে আঠা আঠা। ভালভাবে ধুতেই সব ফকফকা। ফল বিক্রেতা বুদ্ধিমান ক্রেতাদের জন্য মধুপানি ছিটিয়ে রেখেছে।
বন্ধু দমল না। অন্যদিন বলল, চল আজ গরম বেশি। তরমুজ এর শরবত খেতে ইচ্ছে করছে।
ঠেলা গাড়িতে থরে থরে তরমুজ সাজানো। সুন্দর করে ২ টা কাটা। পুরো লাল। ছোট্ট একটু মুখে দিতেই খুব মিষ্টি মনে হল। আমি পত্রিকায় কাহিনী কিছু পড়েছি। হাসিমুখে বললাম,
- আমার লাগবে না, তুই নিয়ে যা।
ও বলল, দেখ কিভাবে ওকে বোকা বানাব। আমি না কাটাগুলো কিনব না। ওগুলোতে সমস্যা থাকতে পারে। দোকানিকে বলল,
- আমাকে কাটা থেকে ১ টা দেন।
একটা ছোট্ট অংশ কেটে সাজানো। বাকি অংশ ভালো আছে। তরমুজ প্যাকেট করে বাসায় নিয়ে গেল।
২/৩ দিন বুদ্ধিমান বন্ধুর খবর নাই। ৩ দিন পর দেখা, মুখ চোখ শুকনা। ৩ দিন পেটের সমস্যায় বিছানায় ছিল। বলল,
- শালারা মনে হয় কাপড়ের রঙ আর সেকারিন ঢুকাই দিছিল। খেয়ে সবাই কাইত...... । এইভাবে ধরা খাইলাম, আজ থেকে আর ওই মুখো হচ্ছি না......।।
মরাল অফ দ্য স্টোরিঃ আমরা যদি চলি ডালে ডালে, ওরা চলে পাতায় পাতায়...।
মন্তব্যঃ এত মানুষ গুম হয়, অসাধু ফলের ব্যবসায়ীরা গুম হয় না। এরা সব সাইলেন্ট কিলার
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৯ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি যার কাছ থেকে ফল কিনলাম তাকে তো আমি তার চাওয়া দামই দিলাম । তাহলে আমাকে কেন Worried হতে হবে যে ফলটাতে ভেজাল আছে কি নেই ?
আমার দেওয়া টাকাটা যে সলিড তা তো সে নেবার সাথে সাথেই বুঝে গেছে । তাহলে তার দেওয়া জিনিস ভেজাল হবে কেন ?
তাহলে বুদ্ধি করতে হবে দোকানি যদি মাছি না তাড়ায় তাহলে বুঝতে হবে. দোকানি মধু দিয়ে মাছি পালছে.
মন্তব্য করতে লগইন করুন