একটি হৃদয়স্পর্শী শিক্ষনীয় ঘটনা.....!

লিখেছেন লিখেছেন বদরুল এ হারুন ২৯ এপ্রিল, ২০১৪, ০২:৩৪:২৯ দুপুর



কার্ডিওভাসক্যুলার কনসালট্যান্ট প্রফেসর খালিদ আল জুবায়ের তার এক লেকচারে যে ঘটনাটা তুলে ধরেন তার বঙ্গানুবাদ করতে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি ৷ আশা করি আপনারা আমার ভুল-ত্রুটিকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ইন শা আল্লাহ্!

ডাঃ প্রফেসর খালিদ আল জুবায়েরের ভাষায় ঘটনাটি নিম্নরূপঃ

একদিন আমি আড়াই বছর বয়সী একটি শিশুর উপর অস্ত্রোপচার করেছিলাম ৷ এটা ছিল মঙ্গলবার, এবং বুধবার দিন বাচ্চাটির স্বাস্থ্য বেশ ভাল ছিল ৷

বৃহস্পতিবার সকাল ১১:৩০ মিনিটের সময়.... আমি এ সময়টির কথা জীবনেও ভুলতে পারব না কারণ তখন আমি মানসিকভাবে প্রচন্ড একটা ধাক্কা খেয়েছি ৷ সিস্টারদের একজন আমাকে জানাল যে বাচ্চাটির হৃৎপিন্ডের স্পন্দন বন্ধ হয়ে গেছে ৷ আমি দ্রুতবেগে বাচ্চাটির কাছে ছুটে গেলাম এবং তাকে প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিটের একটা কার্ডিয়াক মাসাজ দিলাম ৷ এই সময়ের মধ্যে তার কোন উন্নতির লক্ষন পরিলক্ষিত হলো না ৷ বাচ্চাটিকে সবাই মৃত হিসেবে ধরে নিল ৷ কিন্তু কিছুক্ষনের মধ্যে আল্লাহ্ সুবহানা তা'য়ালার ইচ্ছায় তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয় এলো ৷ আমরা আল্লাহ্ রব্বুল 'আলামীনকে ধন্যবাদ দিলাম ৷

বাচ্চাটির সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানোর জন্যে আমি তার পরিবারের খোঁজ করলাম ৷ একজন মানুষের জীবন-মৃত্যু যখন দোদুল্যমান অবস্থায় দৃশ্যমান থাকে, তখন সে অবস্থা নিয়ে তারই আপনজনের সাথে আলোচনা করা অত্যন্ত কষ্টকর ৷ এক্ষেত্রে একজন ডাক্তারকে দুই কষ্টের মাঝখানে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সেতু নির্মাণ করতে হয় যেন একটির ভাঙনের শব্দে অপরটি ভেঙে না পড়ে ৷

তো আমি বাচ্চার বাবাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পেলাম না ৷ অবশেষে আমি তার মা'কে পেলাম ৷ তাকে জানালাম যে বাচ্চার গলার ভিতরে রক্তক্ষরণই তার হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ ৷ কিন্তু এই রক্তক্ষরণ কেন হচ্ছে সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই ৷ সম্ভবতঃ তার মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷

কি মনে হয়- এ কথার উত্তরে একজন মা কি বলতে পারেন?

তার কি কান্নায় ভেঙে পড়ার কথা?

তার কি আমার প্রতি অভিযোগ উত্থাপন করার কথা?

হ্যাঁ, এগুলো করাটাই তার জন্যে স্বাভাবিক ছিল ৷ কিন্তু তিনি বললেন,"আলহামদুলিল্লাহ্" এবং তিনি চলে গেলেন ৷ ১০ দিন পর বাচ্চাটি আবার নড়াচড়া করতে শুরু করল ৷ আমরা আল্লাহ্'র প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করলাম ৷ শিশুটির মস্তিষ্কের কার্যক্রমও বেশ স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল ৷

১২ দিন পর তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া আবার বন্ধ হলো সেই একই রক্তক্ষরণে ৷ আবার আমরা পৌনে একঘন্টার সেই কারডিয়াক মাসাজ দিলাম ৷ কিন্তু এবার আর তার হার্ট রেসপন্স করছিল না ৷ আমি তার মা'কে জানালাম যে এবার আর বাবুটার বাঁচার তেমন কোন আশা নেই ৷ তিনি বললেন,"আলহামদুলিল্লাহ্! ও আল্লাহ্! যদি তার সুস্থতায় কোন কল্যান নিহিত থাকে, তবে তাকে তুমি সুস্থ করে দাও!" আল্লাহ্ সুবহানা তা'য়ালা যেন সাথে-সাথেই মায়ের দুআ কবুল করলেন ৷ শিশুটির হৃদযন্ত্র চলতে শুরু করল ৷

এই একই ঘটনা পর-পর ছয়বার ঘটল এবং প্রতিবারই মনে হচ্ছিল-এখানেই শেষ ৷ অতঃপর একজন বিশেষজ্ঞ সার্জন (আল্লাহ্'র ইচ্ছায়) তার এই রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সক্ষম হলেন ৷ এবার তার হার্ট পুরোপুরি স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে লাগলো ৷ এভাবে সাড়ে তিন মাস অতিবাহিত হলো ৷ শিশুটি যদিও আরোগ্য লাভ করছিল কিন্তু তার ভিতরে নড়াচড়ার কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছিল না ৷ তারপর একদিন সে ধীরে-ধীরে নড়তে শুরু করল ৷ কিন্তু হঠাৎ করে তার মস্তিষ্কের উপরিভাগে বৃহদাকারের একটা ঘা দেখা দিল যা দুষিত রক্ত এবং পুঁজ দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল ৷ আমি এরকম অদ্ভুত জিনিস আগে দেখিনি ৷

আমি তার মা'কে এই অ্যাবনরমাল জিনিসটার কথা জানালাম ৷ তিনি পুনরায় "আলহামদুলিল্লাহ্" বলে চলে গেলেন ৷ আমরা যত দ্রুত সম্ভব তাকে সার্জিক্যাল ইউনিটে নিয়ে গেলাম যেখানে ব্রেইন এবং নার্ভাস সিস্টেমের উপর সকল ধরণের জটিল চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার করা হয় ৷ সেখানে তাকে ভর্তি করা হলো ৷ তিন সপ্তাহ পরে ছেলেটি আরোগ্য লাভ করলেও অসাড় হয়ে পড়ে রইল ৷ দুই সপ্তাহ পর তার দেহে আরো একটি অদ্ভুত লক্ষন প্রকাশ পেল ৷ তার রক্তে একপ্রকার বিষক্রিয়া দেখা দিল এবং তার শরীরের তাপমাত্রা ১০৬ ডিগ্রিতে পৌঁছাল ৷ আমি আবারো তার মা'কে রক্তের এই বিপদজনক বিষক্রিয়া সম্পর্কে অবগত করলাম ৷ তিনি অত্যন্ত ধৈর্য্যসহকারে সব শুনলেন এবং বললেন, "আলহামদুলিল্লাহ্! ও আল্লাহ্! যদি তার আরোগ্য লাভের মধ্যে কোন কল্যান নিহিত থাকে তবে তাকে তুমি সুস্থ করে দাও!"

শিশুটিকে পরিদর্শন শেষে আমি পাশের বেডে (#৬) গেলাম আরেকটি শিশুকে দেখতে ৷ সেখানে গিয়ে দেখি তার মা চিৎকার করে কাঁদছে ৷ আমাকে দেখে তার বিলাপের মাত্রা আরো বেড়ে গেল ৷ "ডাক্তার!!!!! ও ডাক্তার!!!!! আমার ছেলেকে বাঁচান!!!!!! একটা কিছু করুন প্লীইইইইজ, আমার ছেলে তো মরে গেলওওওও!!!!" তার ছেলে জ্বরে কাতরাচ্ছিল এবং তার টেম্পারেচার ছিল ৯৯.৬৮ ডিগ্রি ৷ আমি খুব আশ্চর্য্য হয়ে তাকে বললাম,"আপনার পাশের বেডের (#৫) বাচ্চাটির জ্বর ১০৬ ডিগ্রি, তবু তার মা কত ধৈর্য্যশীল এবং তিনি তারপরেও আল্লাহ্'র প্রশংসা করছেন ৷" উত্তরে উত্তেজিত মহিলা বললেন,"ঐ মহিলা তার বাচ্চার প্রতি উদাসীন ৷ তাছাড়া ঐ মহিলা খানিকটা অপ্রকৃতিস্থও বটে ৷ সেই মুহূর্তে আমার রাসূল (সাঃ) এর সেই বিখ্যাত হাদীসটির কথা মনে পড়লঃ "Blessed are the strangers" মাত্র দু'টি শব্দ..... কিন্তু ওয়াল্লাহি, এই দু'টি শব্দ পারে একটি পুরো জাতিকে পরিবর্তন করতে ৷

আমার ২৩ বছরের ডাক্তারি জীবনে আমি এরকম ধৈর্য্যশীল কোন সিস্টারকে আজ পর্যন্ত দেখিনি ৷ যাই হোক আমরা তার ছেলেকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষন ও যত্নের সাথে চিকিৎসা ও সেবা দিতে লাগলাম ৷ এভাবে সাড়ে ছয় মাস অতিবাহিত হবার পর অবশেষে শিশুটিকে সেই রিকভারী ইউনিট থেকে বের করে আনা হলো ৷ নীরব-নিথর, মূক ও বধির ছেলেটির মুখে এমনকি নেই কোন অভিব্যক্তির চিহ্ন ৷ তার বক্ষদেশ উন্মুক্ত যার ভিতরে তাকালে দেখা যায় তার ছোট্ট হৃদয়ের ধুকপুকানি ৷ ছেলেটির মা প্রতিদিন তার ক্ষতস্থান যত্নসহকারে ড্রেসিং করেন ৷ তার ভিতরে নিরাশার কোন ছাপ কখনোই দেখা যায় না ৷

আপনি কি এর পরের ঘটনা অনুমান করতে পারেন? যে শিশুটির জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত এমন ভয়াবহ মরণব্যাধির আক্রমণে জর্জরিত, তার ব্যাপারে আপনি হলে কতটুকু আশাবাদী হতেন? শিশুটির মায়ের এই প্রতিনিয়ত উৎকন্ঠা ও দীর্ঘ যন্ত্রণাময় পথপরিক্রমাকে আপনার কাছে কি মনে হয়? আপনি হলে এক্ষেত্রে কতটা শক্ত থাকতে পারতেন? কত মজবুত আপনার ধৈর্য্যের বাঁধ? ছেলেটার মায়ের এ অবস্থায় তার রবের কাছে দুআ করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না ৷ আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, রবের কাছে দু'হাত তুলে দুআ করাটাকে তিনি "অগত্যা কি আর করা!" হিসেবে নেননি ৷ বরং অটল বিশ্বাস এবং সবরের সাথে, বিন্দুমাত্র নিরাশ না হয়ে অনবরত তার সন্তানের জন্য তিনি দুআ করেছেন ৷

আপনি কি জানেন এর আড়াই মাস পরে কি ঘটেছিল? ছেলেটার মায়ের এই অত্যাশ্চার্য্য গুণে আল্লাহ্ সুবহানা তা'য়ালা অবশেষে ছেলেটিকে সম্পূর্ণরূপে রোগমুক্ত করেন ৷

বাবুটা এখন তার মায়ের সাথে ছুটোছুটি করে, দৌড় প্রতিযোগিতা করে এমনভাবে যেন সে কখনোই অসুস্থ ছিল না ৷ ঘটনার এখানেই শেষ নয় ৷

যেটা আমার হৃদয়কে আলোড়িত করেছে, আমার বুক ভেঙে চৌচির করে দিয়েছে, যে কথা শুনে আমার হাউমাউ করে কাঁদতে ইচ্ছে হয়েছে সে ঘটনা এখন বলবোঃ

ছেলেটা দেড় বছর পর হাসপাতাল ত্যাগ করে ৷ অপারেশন ইউনিটের একজন ওয়ার্ডবয় আমাকে জানায় যে, একজন লোক তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আমার সাথে দেখা করতে এসেছেন ৷ তারা কে, জানতে চাইলে সে বলল চেনে না ৷ সুতরাং আমি তাদের সাথে দেখা করতে গেলাম এবং আমি দেখলাম এ তো সেই ছেলে যার অপারেশন আমি করেছি!

ছেলেটার বয়স এখন পাঁচ বছর এবং তাকে দেখতে মাশাআল্লাহ্ একটা ফুটফুটে ফুলের মত লাগে ৷ তাকে দেখে মনে হলো যেন তার জীবনে ওসব কিছু কখনোই ঘটেনি ৷ তার সাথে চার মাস বয়সী আরেকটি শিশু সন্তান ছিল ৷ আমি তাদেরকে সাদর সম্ভাষণ জানালাম এবং কৌতুকচ্ছলে ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করলাম যে এটা তার তের বা চৌদ্দতম সন্তান কি না?

তিনি একটু বিব্রত ভঙ্গিতে হাসলেন যেন তার কোন আচরণে আমাকে কষ্ট দিয়ে ফেলেছেন..... অতঃপর বিনীত ভঙ্গিতে বললেন,"এটি আমাদের দ্বিতীয় সন্তান এবং যার অপারেশন আপনি করেছেন সেই আমাদের প্রথম যার জন্ম হয় আমরা সতের বছর নিঃসন্তান থাকার পর ৷"

একথা শুনে আমি নিজেকে কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারলাম না, কান্নায় ভেঙে পড়লাম ৷ অতঃপর আমি তার হাত জড়িয়ে ধরে তাকে আমার রুমে এনে বসালাম এবং তার স্ত্রী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম,"কে এই মহিয়সী যিনি সতের বছর নিঃসন্তান থাকার পরেও তার প্রথম নবজাতকের একটার পর একটা জীবন-মরণ সংকটে শান্ত-অবিচল থেকেছেন? যে পরিস্থিতিতে কোন মানুষের, বিশেষতঃ কোন মহিলার চিৎকার-বিলাপ করে একাকার করার কথা, তিনি তখন আল্লাহ্'র প্রশংসা করেছেন আর সন্তানের আরোগ্য লাভের জন্য একমাত্র আল্লাহ্ র উপর আস্থা রেখে তাঁর নিকট দুআ করেছেন? এটা কিভাবে সম্ভব?

এর উত্তরে তিনি কি বললেন জানেন? মন দিয়ে শোনেন ভাই ও বোনেরা.... তিনি বললেন,"আমি ঊণিশ বছর আগে বিয়ে করি তাকে এবং এত বছরে কোনদিন তিনি তাহাজ্জুদের নামায বাদ দেননি (শুধুমাত্র নারীদের প্রকৃতিগত সমস্যা ছাড়া), আমি কখনো তাকে গীবত বা গসিপ করতে শুনিনি এবং কখনোই তিনি মিথ্যা বলেন না ৷ আমি ঘর থেকে বের হওয়া বা ঘরে ফেরার সময় প্রতিবার তিনি দরজা খুলে হাসিমুখে আমাকে বিদায় কিংবা স্বাগত জানান এবং আমার জন্য দোয়া করেন ৷ তিনি যা কিছু করেন- তার প্রতিটা কাজে থাকে পরম যত্ন, ভালবাসা, বিনয় ও নম্রতার প্রকাশ ৷ ডাক্তার সাহেব, আমি তার প্রতিটা আচরণে এত বেশি মুগ্ধ........সব সময় মনে হয় আমি তার যোগ্য নই ৷ সেজন্য তার চোখে চোখ তুলে তাকাতে খুব লজ্জা লাগে ৷"

আমি স্মিত হেসে নড করলাম, বললাম,"এমন গুণবতী নারীর ভাগ্যে আপনার মতই একজন স্বামী থাকা দরকার, এটা তিনি ডিজার্ভ করেন ৷"

বর্ণনা করেছেন ভাই মাহমুদুর রহমান।

বিষয়: বিবিধ

১৫১৫ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

214824
২৯ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৫০
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : সুবহানাল্লাহ! পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল, সবর আর ঈমানের এই দৃঢ়তা যেন আল্লাহ আমাদের সবাইকে দান করেন।
214832
২৯ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:১০
আবদুল আলিম লিখেছেন : সুবহানাল্লাহ!খুব ভালো লাগলো।
214835
২৯ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:১৩
বেদূঈন পথিক লিখেছেন : ভালো লাগলো
214874
২৯ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:০৭
গেরিলা লিখেছেন : ধন্যবাদ পিলাচ
214879
২৯ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:১৩
মুজিব সেনা লিখেছেন : সুবহানাল্লাহ!অনেক ভাল লাগ্ল,আরও বেশী করে লিখুন।
214918
২৯ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:১১
মহি১১মাসুম লিখেছেন : এমন গুনী মহিলা সমাজ সংসারে খুবই কম। ধন্যবাদ আপনাকে ও ঐ দম্পতিকে।
216722
০৩ মে ২০১৪ রাত ০১:২৪
বদরুল এ হারুন লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে ও মহি১১মাসুম।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File