রাসুল বিদ্বেষী একজন নাস্তিক ব্লগার এবং আশেকে রাসুল এর পুরষ্কার কি হবে তার একটা ঝলক আল্লাহ্ দেখালেন !
লিখেছেন লিখেছেন জাহিদসোহাগ ২৫ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:১৯:৫৭ সকাল
প্রিয় পাঠক! এই প্রথম এই ব্লগে লিখতে বসলাম । শুরুতে এই ব্লগের সকল সম্মানিত সকল 'লেখক - পাঠক' বন্ধুদের সালাম জানাচ্ছি।ব্লগে এর আগে কোনদিন লিখিনি, তাই যদি কোন ভুল হয়ে যায়- প্লীজ,ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। বাকী আপনাদের কাছ হতে শিখার খুব শখ আছে।
ঘটনা আসলে আমাদের সকলেরই জানা আছে।'হক ও বাতিলের' পার্থক্য বুঝার জন্য,আমি শুধু আমার হৃদয়ের অনুভূতিটা আরেকবার আপনাদের সামনে সেয়ার করলাম।
প্রিয় রাসুল (সঃ) এবং ইসলাম বিদ্বেষী কুখ্যাত নাস্তিক 'রাজীব হায়দার শুভ ওরফে ‘থাবা বাবা’' ব্লগার এবং অপরদিকে,৫ মে শাপলা চত্বরের গণহত্যায় ১৩ ধপা আন্দোলনের পক্ষে নির্মম ভাবে নিহত হওয়া এক নবী প্রেমিক হলেন 'সাদ্দাম হোসেন ' ভাই ।
৫/৬ মে শাপলা চত্বরে- জালিমের বুলেটের আঘাতে অনেক মানুষ নিহত হয়েছিল। সেই নিহতদের একজন ছিল ফরিদপুর জেলার 'সাদ্দাম হোসেন'। জালিমের একটি বুলেট তার কপাল ছিদ্র করে ঘাড় দিয়ে বের হয়ে চলে যায় এবং অসংখ্য রাবার বুলেটের আঘাতে তার চেহারাও ঝাঝড়া হয়ে যায়।ফলে, সঠিক ভাবে তার চেহারা শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। যার কারণে- তার লাশ অনুমানের উপর চলে যায় কুমিল্লায়। কিন্তু, সেখানে ও কেউই তাকে সনাক্ত করতে পারে নি।
অবশেষে, ৬-৭ দিন পর, কুমিল্লা থেকে তার পরিবার নানা কষ্ট -আহাজারির মধ্য দিয়ে তাকে সনাক্ত করে লাশ ফরিদপুর শহরে নিয়ে যায়। সেদিন মানুষ দেখেছিল, ৬-৭ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও লাশ একটুও ফুলেনি, ফাটেনি, দূর্গন্ধও হয়নি ! মানুষ দেখেছিল, ৬-৭ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও শহীদের শরীর হতে তাজা রক্ত বের হতে !আরও, অনুভব করেছিল একটি স্বর্গীয় সুবাস ; যা তার রক্ত থেকে বের হচ্ছিল।লাশের এমন অবস্থা দেখে মানুষের ঈমানের মধ্যে যোশ এসে গেল। সেদিন তার জানাযায় শরীক হওয়া সকল মানুষ তার লাশ ছুয়ে শপথ করেছিল, 'সাদ্দামের' রক্তের বদলা একদিন এ বাংলার মাটিতে হবেই-' ইনশাআল্লাহ।
এটা ছিল নবী প্রেমিক এক শহীদের জন্য আল্লাহ্র পক্ষ হতে নগদ সামান্য পুরস্কার । আখিরাতে শহীদের জন্য কি পরিমাণ আছে ;তা হয়ত আমাদের 'আল্লাহ্' সবচেয়ে ভাল জানেন।
অপরদিকে, রাসুল বিদ্বেষী নাস্তিক, কুলাঙ্গার 'থাবা বাবা'- রাজীবের অবস্থা একটু খেয়াল করি ।
নিহত ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার শুভ ওরফে ‘থাবা বাবা’র ইসলামবিরোধী অপপ্রচারে দেশজুড়ে উঠেছিল নিন্দা ও ধিক্কারের ঝড়। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সা:, পবিত্র কুরআন, ইসলাম ধর্ম ও ইসলামের রীতিনীতি নিয়ে যেসব মিথ্যা, বানোয়াট, অশ্লীল ও উদ্ভট কল্পকাহিনী রাজীব তার ব্লগে তুলে ধরে দীর্ঘ দিন থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ট করার জঘন্য অপচেষ্টা সে চালিয়ে আসছিল। এরি প্রাথমিক সাজা হিসেবে গণজাগরণের আনন্দের এক রাতে নির্মম ভাবে এই কুলাঙ্গার নিহত হয় ।
তার নামাজের জানাজাটা ছিল অদ্ভুত এবং সে যে জাহান্নামের একটি কীট তা জানাছা ছিল একটি বাস্তব নিদর্শন। ‘সূর্যাস্তের সময় নামাজকে হারাম করা হয়েছে। কিন্তু রাজীবের জানাজা হয়েছে ঠিক তখনই। জানাজায় নারীদের অংশগ্রহণের বিধান না থাকলেও পুরুষদের কাতারে তাদের দাঁড়িয়ে জানাজা পড়তে দেখা যায়। নারীরা পবিত্র ছিল নাকি অপবিত্র ছিল এটাও ভাবার বিষয়। চত্বরে অবস্থানকারীদের একটি বড় অংশই অজু করারও সুযোগ পাননি। জানাজায় কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অংশ নিলেও এর পরপরই মাগরিবের আজান হয়। কিন্তু তাদের বেশির ভাগই মাগরিবের নামাজে না গিয়ে গানবাজনা ও স্লোগানে মাতোয়ারা হয়ে পড়েন। জানাজার আগে ও পরে দোয়াদুরুদ পড়ার বিধান থাকলেও ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে জানাজার নামাজ শুরু ও শেষ হয়েছে। জানাজা চার তাকবিরের সাথে হওয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়েছে তিন তাকবির। জানাজার আগে দেয়া হয়েছে রাজনৈতিক বক্তব্য।’ কিন্তু এসব নিয়ে কথা বলা এখন নিরাপদ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের দুজন মন্ত্রী বলেছেন রাজীব নবপ্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রথম শহীদ।
এই ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিককে 'শহীদ' পাইকারি হারে বলে মূলত সত্যিকারের শহীদদের অপমান করেছে ।
কিন্তু মজার -ব্যাপার হল , এখন আর তাকে শহীদ বলেনা ! নেই তার ব্যাপারে জাতীয় সেই শোক ! তার মৃত্যু যেমন এক লাঞ্ছনা , জানাজা আরও বড় লাঞ্ছনা এবং তার ব্যাপারে মানুষের অবস্থান -মনোভাবও এক লাঞ্ছনা ।
বিষয়: বিবিধ
৯৯৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন