কেন মা দিবস পালন হয়
লিখেছেন লিখেছেন পাহারা ১২ মে, ২০১৪, ০৬:৩৫:৩১ সন্ধ্যা
১) গত ২০০৮ সালে ক্রোয়েশিয়ায় এক মহিলার মৃত্যুর ৪২ বছর পর তার লাশ উদ্ধার হয়। হেডভিগা গোলিক নামক ঐ মহিলা (৪২) টিভি দেখার সময় মারা যায়। ঐ মহিলার মৃত্যুর প্রায় ৪২ বছর পর পুলিশ বাড়ির দরজা ভেঙ্গে টিভির সামনে সোফায় বসা অবস্থায় ঐ মহিলার কঙ্কাল উদ্ধার করে।
২) গত ২০০৬ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জয়সি নামক ৩৮ বছর বয়স্ক এক মহিলার কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। ঐ মহিলা ৩ বছর আগে তার ফ্লাটে মারা যায়। এর মধ্যে কেউ তার লাশের খবর নেয় নি।
৩) গত ২০১৩ সালে আমেরিকার নিউ মেক্সিকোতে সেলিনাস নরম্যান (৭০) নামক এক বৃদ্ধা লেখিকার গলিত লাশ উদ্ধার হয়। ঐ মহিলা ১ বছর আগে তার ফ্ল্যাটে মারা যায়, কিন্তু এর মধ্যে কেউ তার খবর জানত না। মারা যাওয়ার এক বছর পর তার লেখালেখির সময় পরিচিত কিছু লোক নিতে গেলে তার লাশের সন্ধান পায়।
৪) ২০১২ সালে ব্রিটেনের ব্রিংটনে সিমন এলেন (৫০) নামক ব্যক্তির বাসা থেকে তার কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। ঐ ব্যক্তি মৃত্যুর ২ বছর ধরে তার ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় পড়ে ছিলো। ২ বছর পর এক ঝাড়ুদার ঝাড়ু দিতে এসে তার লাশের সন্ধান পায়।
৫) ২০১৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লোরিডাতে জেনেভা চ্যাম্বারস (৬৮) নামক এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার হয়। ঐ মহিলা তার বাসায় ৩ বছর আগে মারা যায়।
৬) ২০১২ সালে আমেরিকার উইসকোনসিন অঙ্গরাজ্যে এক ফ্লাটে ডেভিড কার্টার (৪৫) নামক এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার হয়। ঐ ব্যক্তি ৩ বছর আগে তার ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করে, এই তিন বছর কেউ তার কোন খবর নেয় নি।
৭) ২০১২ সালে ফ্রান্স পুলিশ এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে, সে বৃদ্ধ বয়সে তার বাসায় ১৫ বছর আগে মারা যায়। এই ১৫ বছর কেউ তার কোন খবর নেয়নি।
৮) ২০০৭ সাল জার্মানিতে এক বৃদ্ধর কঙ্কাল উদ্ধার হয়, যে তার বাসায় ৭ বছর ধরে মৃত অবস্থায় পড়েছিলো।
৯) ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনীতে এক বৃদ্ধার (৮৭) লাশ উদ্ধার হয়, যে তার বাসায় ৮ বছর ধরে মৃত অবস্থায় পড়েছিলো।
উপরের খবরগুলো দেখলে বুঝা যায়, কাফির রাষ্ট্রগুলোতে কেন বাবা দিবস কিংবা মা দিবসের প্রয়োজন আছে। কারণ ঐ দিবসগুলোতে ছেলে-মেয়েরা হয়ত এক দিনের জন্য হলেও তাদের বাবা-মা’র খবর নিবে, হয়ত একটা কার্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানাবে। ঐদিন হয়ত খবর নিতে গিয়ে জানতে পারবে তার বাবা-মা ইতিমধ্যে মারা গেছে।
কিন্তু মুসলমান দেশগুলোতে এই বাবা দিবস কিংবা মা দিবসের কোন প্রয়োজন নাই। কারণ মুসলমানদের জন্য একদিন নয় বরং প্রতি মুহুর্তই বাবা-মা দিবস। মুসলমানরা প্রতিনিয়ত তার বাবা-মা’র খবর নেয়, প্রত্যেক ওয়াক্তে বাবা-মা জন্য দুয়া করে এবং সর্বদা বাবা-মা’র খিদমত করা জীবনের পাথেয় বলে মনে করে। মূলত এটাই পবিত্র ইসলাম ধর্মের দিক-নিদের্শনা।
#সংগৃহীত
বিষয়: বিবিধ
১৩৫১ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মানুষ মরে কন্কাল হয়ে যায় কেউ খোঁজ খবর নেয় না ! এমন কি আপনজনও না । থাকলে তো নিবে !
মন্তব্য করতে লগইন করুন