উম্মুল ফাদল বিনত আল-হারিছ (রা)

লিখেছেন লিখেছেন পাহারা ৩০ এপ্রিল, ২০১৪, ০৩:২৪:৫৭ রাত

উম্মুল ফাদল লুবাবা আল-কুবরা, যিনি শুধু উম্মুল ফাদল নামেই পরিচিত।তাঁর পিতা আল-হারিছ ইবন হুযন আল-হিলালী এবং মাতা হিন্দ বিত ‘আওফ আল-কিনানিয়্যা।

রাসূলুল্লাহর (সা) মুহতারাম চাচা হযরত ‘আব্বাস ইবন ‘আবদিল মুত্তালিব (রা) তাঁকে বিয়ে করেন। সুতরাং উম্মুল ফাদল রাসূলুল্লাহর (সা) একজন গর্বিত চাচী। তিনি হযরত আব্বাসের (রা) ছয়জন মহান পুত্রের জননী’।তিনি মক্কায় ইসলামী দা‘ওয়াতের প্রথম ভাগে মুসলমান হন। বর্ণিত হয়েছে, তিনি মক্কার প্রথম মহিলা যিনি হযরত খাদীজার (রা) পরে ইসলাম গ্রহণ করেন।রাসূলুল্লাহর (সা) জীবনের কিছু কিছু ঘটনা দ্বারা জানা যায়, তিনি চাচী উম্মুল ফাদলকে যেমন ভালোবাসতেন, তেমনি গুরুত্বও দিতেন। চাচীও তাঁকে খুবই আদর করতেন। রাসূল (সা) প্রায়ই চাচীকে দেখার জন্যে তাঁর গৃহে যেতেন এবং দুপুরে কিছুক্ষণ সেখানে বিশ্রাম নিতেন।আল-আজলাহ যায়দ ইবন আলী ইবন হুসায়নের সূত্রে বর্ণনা করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সা) নবুওয়াত লাভের পর একমাত্র উম্মুল ফাদল ছাড়া অন্য কোন মহিলার কোলে মাথা রাখেননি এবং তা রাখা তাঁর জন্যে বৈধও ছিল না। উম্মুল ফাদল রাসূলুল্লাহর (সা) মাথা নিজের কোলের উপর রেখে সাফ করে দিতেন এবং চোখে সুরমা লাগিয়ে দিতেন। একদিন তিনি যখন সুরমা লাগাচ্ছেন, তখন হঠাৎ তাঁর চোখ থেকে এক ফোঁটা পানি রাসূলুল্লাহর (সা) গণ্ডে পড়ে। তিনি মাথা উঁচু করে জিজ্ঞেস সরেন : কি হয়েছে? উম্মুল ফাদল বলেন : আল্লাহ আপনাকে মৃত্যু দান করবেন। যদি এ নেতৃত্ব ও ক্ষমতা আমাদের মধ্যে থাকে অথবা অন্যদের হাতে চলে যায় তাহলে আমাদের মধ্যে কে আপনার স্থলাভিষিক্ত হবে তা যদি বলে যেতেন। রাসূল (সা) বললেন : আমার পরে তোমরা হবে ক্ষমতাহীন, দুর্বল।বিদায় হজ্জে রাসূলুল্লাহর (সা) সাথে উম্মুল ফাদলও হজ্জ করেন। আরাফাতে অবস্থানের দিন রাসূলুল্লাহ (সা) রোযা অবস্থায় আছেন কিনা, সে ব্যাপারে সাহাবীরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে ছিলেন্ এক পর্যায়ে তাঁরা তাঁদের সে দ্বিধার কথা উম্মুল ফাদলের নিকট প্রকাশ করেন। উম্মুল ফাদল বিষয়টি নিশ্চিত হবার জন্য এক পেয়ালা ‍দুধ রাসূলুল্লাহর (সা) সামনে পেশ করেন এবং তিনি তা পান করেন। এভাবে তাঁদের সব দ্বিধা-সঙশয় দূর হয়ে যায়।[হযরত উম্মুল ফাদল একজন উঁচু স্তরের ‘আবিদ এবং দুনিয়ার প্রতি নির্মোহ মহিলা ছিলেন। প্রতি সোম ও বুধবার রোযা রাখা তাঁর অভ্যাস ছিল। একথা তাঁর সুযোগ্য ছেলে মহান সাহাবী হযরত ‘আবদুল্লাহ ইবন ‘আব্বাস (রা) বলেছেন।[তাবাকাত -৮/২৭৮; সিয়ারু সাহাবিয়াত-১১৭] তৃতীয় খলীফা হযরত ‘উছমানের (রা) খিলাফতকালে তিনি ইনতিকাল করেন। তখন তাঁর স্বামী হযরত আব্বাস (রা) জীবিত ছিলেন। হযরত ‘উছমান (রা) জানাযার নামায পড়ান |

বিষয়: বিবিধ

১০৮৬ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

215185
৩০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৪:২৮
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ
215236
৩০ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:৫৮
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ
215249
৩০ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৪১
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : রাসূলুল্লাহ (সা) নবুওয়াত লাভের পর একমাত্র উম্মুল ফাদল ছাড়া অন্য কোন মহিলার কোলে মাথা রাখেননি এবং তা রাখা তাঁর জন্যে বৈধও ছিল না। উম্মুল ফাদল রাসূলুল্লাহর (সা) মাথা নিজের কোলের উপর রেখে সাফ করে দিতেন এবং চোখে সুরমা লাগিয়ে দিতেন।
এ বিষয়টা কোন বিশুদ্ধ হাদীস গ্রন্থে আছে কি না? জানালে উপকৃত হবো।
215270
৩০ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:০২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
216208
০১ মে ২০১৪ রাত ০৯:৪৮
পাহারা লিখেছেন : আসহাবে রাসূলেল জীবনকথা

[ষষ্ঠ খণ্ড]

[মহিলা সাহাবী]

ড. মুহাম্মদ আবদুল মাবুদ
216654
০২ মে ২০১৪ রাত ০৯:৩৩
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে।
216725
০৩ মে ২০১৪ রাত ০১:৩৫
পাহারা লিখেছেন : জাঝাকুমুল্লাহ ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File