আমাদের দেশে আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রদের মানায়, শিক্ষকদের নাহ!
লিখেছেন লিখেছেন কাওছার জামাল ৩১ আগস্ট, ২০১৫, ১১:৫২:৪৬ রাত
বাংলাদেশের সবচেয়ে নিরীহ শিক্ষকদের রাস্তায় ফেলে পেটানোর দৃশ্য আমরা দেখেছি। শুধু পেটানো নয় বুটের লাতি থেকে শুরু লাঠির গুতো কোনটাই বাদ পড়েনি। আজকে যারা শিক্ষকদের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার বুলি তুলে সকল ভুল ভ্রান্তিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, তাদের বলছি, সেইসব শিক্ষকরা কিন্তু কোন ধরনের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। তারা কলেজ ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের মতো গুন্ডা পান্ডাদের আশ্রয় পশ্রয়ও দিতেন না। যারা রাজনৈতিক কোন দলের হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেননা। সেই তারা যেখানে প্রকাশ্যে দিবালোকে জনস্মুখে লাঞ্চিত অপমানিত হয়েছেন সেখানে কলেজ ইউনিভার্সিটির দলীয় ক্যাডার সমতূল্য শিক্ষকরা অপমানিত হওয়াতে এইসব লোকেদেরও এতো বিস্তৃতভাবে বিস্মিত হওয়ার কোন কারন দেখিনা।
তবে হ্যা, অপমানের ক্যাটাগরি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। যে এখানে ছাত্র কতৃক শিক্ষকরা অপমানিত হয়েছেন আর ঐখানে প্রশাসন কতৃক। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া যুবকরা আক্রমন করেছে আর ঐখানে আক্রমনে ছিলো ৮ম/৯ম শ্রেনী পাশ করা হাবিলদাররা। যেকোন ক্যাটাগরিতে বিচার বিবেচনা করেননা কেন দুইটাই কিন্তু আমাদের জন্য অসম্মানজনক।
মূলত এই অসম্মানজনক কাজের জন্য ছাত্র-শিক্ষক উভয় ই দ্বায়ী। তবে আমার দৃষ্টিতে শিক্ষকরা একটু বেশি দ্বায়ী। কারন একজন শিক্ষকের কাজ হলো ছাত্রছাত্রীকে সু-শিক্ষা দেওয়া, মেধাবী যাচাই বাচাই করা, দেশ ও জাতি তথা মানব কল্যানের জন্য কাজ করা। কে ভিসি হবে আর কে ডিসি হবে তা নিয়ে আন্দোলনের নামে হট্রগোল সৃষ্টি করা কোন শিক্ষক-শিক্ষিকার কাজ না। আমাদের দেশে আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রদের মানায়, শিক্ষকদের নাহ! শিক্ষকরা তো নেতৃত্ব দিবেন। দিক নির্দেশনা দিবেন, শাসন করবেন বারন করবেন। যে কাজটি ছাত্রছাত্রীরা করার কথা সেই কাজটি কেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা করবেন? কর্ম যখন উলট পালট হয় তখন ফলাফল শুভ হয়না। অতএব আমাদের সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলীরা যেমন কর্ম করেছেন তেমন ফলাফল ভোগ করছেন, ব্যাপার না। কয়েকদিন চলে গেলে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বিষয়: বিবিধ
১২৭৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হলে ছাত্রদের টেন্ডারবাজী থেকে দূরে রাখতে হবে । ফলে আর কোন ছাত্রকে হাতি দিয়ে টেনেও ছাত্র রাজনীতিতে আনা যাবে না । ছাত্র রাজনীতি না থাকলে শিক্ষকদের দলবাজীও আপনাআপনিই বন্ধ হতে বাধ্য ।
ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হলে ছাত্রদের টেন্ডারবাজী থেকে দূরে রাখতে হবে। ফলে আর কোন ছাত্রকে হাতি দিয়ে টেনেও ছাত্র রাজনীতিতে আনা যাবে না। ছাত্র রাজনীতি না থাকলে শিক্ষকদের দলবাজীও আপনাআপনিই বন্ধ হতে বাধ্য।
কোন সন্দেহ নাই, অর্থ কড়ির লোভে ছাত্র-শিক্ষক সবাই রাজনীতিতে ঢুকে পড়েছে অন্যকথায় রাজনীতি তাদের চরিত্রে ঢুকে বসেছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন