নেতারা সাধারনত চুকুম ভোদাই টাইপের কর্মীদের প্রেসিডন্ট সেক্রেটারী বানায়।
লিখেছেন লিখেছেন কাওছার জামাল ২৩ আগস্ট, ২০১৫, ০৮:৩০:২৮ সকাল
যারা সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী তাদের কখনও সভাপতি বা সাধারন সম্পাদক করা হয়না। মেধাবীরা স্থান পাওয়ার তো প্রশ্নই উঠেনা। যদিও পায় তাও লাখে একটা। যেসব কর্মী কয়েক শ কর্মীকে নিয়ন্ত্রন করা ক্ষমতা রাখে সেইসব কর্মীদের নেতারা মূল পদবি থেকে সরিয়ে রাখার জন্য জীবন বাজি রাখতে দ্বিধাবোধ করেনা। কেন জানেন?
কারন নেতাদের ধারনা এদের হাতে নেতৃত্ব দিলে এক সময় তারা পল্টি মারবে, নেতার নেতৃত্ব ধরে রাখা ভীষন দায় হয়ে পড়বে। তাই নেতারা সাধারনত চুকুম ভোদাই টাইপের কর্মীদের প্রেসিডন্ট সেক্রেটারী বানায়। অর্থাৎ কদু মধু নামে মাত্র নেতা হয়, মূল রিমোর্টটা নেতাদের বগলে রয়। কখন কি বলতে হবে কোথায় কি করতে হবে সবি রিমোট দ্বারা নিয়ন্ত্রন করা হয়। অবশ্য আমি ব্যাক্তিগতভাবে এক জরিপ চালিয়ে দেখেছি বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় চুকুম ভোদাইরা আরো আগে পল্টি মারে। এছাড়া দলের মূল পদগুলিতে সবচেয়ে বেশি প্রায়োরটি দেওয়া হয় নেতাদের পরিবারের লোকজনদের। নেতাদের পরিবারের কেউ যদি ফ্রন্ট লাইনে থাকে তাহলে সে কানা হোক আর লুলা হোক ডাজ নট ম্যাটার প্রথম পদটা তার ই। এই সিষ্টেম রাষ্ট্রের নায়ক নায়িকারে শুরু করছে সুতুরাং লোকাল নেতাদর দোষারুপ করে লাভ কি!
উন্নত বিশ্বে দেখবেন নবাগতদের সুযোগ দেওয়া হয় আর আমাদের দেশে ধাবাইয়া রাখা হয়। উন্নত দেশে মেধাবীদের মূল্যায়ন করা হয় আর আমাদের দেশের মেধাবীদের হাতে ফেনসিডিল ট্যাবলেট ইয়াবা দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়। উন্নত বিশ্বে উদীয়মানদের পিছে অর্থ ব্যয় করা হয় তাদের বিকাশের জন্যে আর আমাদের দেশে উদীয়মানদের পিছে অর্থ ব্যয় করা হয় তাদের ধ্বংস করেত। ক্ষেত্র বিশেষ লোকাল নেতারা উদীয়মানদের জনপ্রিয়তার জন্য তাদের চিরতরে সরিয়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করেনা। উন্নত বিশ্বের লোকেরা জন্মের পর শিক্ষা দীক্ষা অর্জন করে জীবনের শেষ দিকে রাজনীতিতে যোগ দেয় মানব সেবার জন্য। আর আমাদের দেশের লোকেরা নেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ভূমিষ্ট হয়। অতপর কৈশোরে নেতা যৌবনে নেতা বৃদ্ধকালেও নেতা এমনকি কবরে ঢুকার সময়ও নেতা হয়ে ঢুকতে চায়। আর সেবার মান তো কত নিম্ন মানের তা বলার রূচী নাই।
বিষয়: বিবিধ
১৩১০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন