নাস্তিকতা বা এথিজমও একধরনের জটিল ভাইরাস
লিখেছেন লিখেছেন কাওছার জামাল ০৪ অক্টোবর, ২০১৪, ১২:৪৮:০২ দুপুর
মানুষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। প্রত্যেকটি ভাইরাসের প্রতিক্রিয়া আলাদা আলাদা থাকে। যেমন মানুষ যখন এলার্জি ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তখন সারাক্ষন চুলকাইতে থাকে। পথে ঘাটে মাঠে এমনকি জনসম্মুখে লাজ লজ্জা ভুলে সম্পূর্ন ঘরোয়া পরিবেশে চুলকাইতে থাকে। জ্বরে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের মাথায় একবার এক জিনিস ঢুকে গেলে জ্বর না কমা পর্য়ন্ত একি জিনিস বার বার মাথায় ঘুরতে থাকে। নাস্তিকতা বা এথিজমও একধরনের জটিল ভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা সাধারনত স্রষ্টার অস্তিত্বহীনতায় ভুগে। নাস্তিক মানেই কাফের। কারণ কাফের হওয়ার জন্য দ্বীনে ইসলামের যে কোন একটি আবশ্যকীয় বিষয় অস্বিকার করলেই হয়। আর সেখানে নাস্তিক সেতো কোন কিছুই মানে না, তাই সে যে কাফের এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কোটি কোটি মানুষের ভীড়ে নাস্তিকের সংখ্যা খুবি অল্প। এই অল্প সংখ্যক নাস্তিক নিজেদের জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান মনে করে তাদের ধারনা তারা ব্যাতীত বাকী সব মানুষ বেকুব অসুস্থ অজ্ঞান। অথচ তারা নিজেরাই যে গুরত্বর অসুস্থ তা কখনও টেরই পায় না। জগৎ সৃষ্টি সম্বন্ধে নাস্তিকরা যে যুক্তি দেখায় রীতিমতো তা হাস্যকর। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী এক মহা বিস্ফোরনের মাধ্যমে পৃথিবী, সৌরজগত ও নভোমন্ডলের সৃষ্টি হয়েছে। কত্তবড় বেকুব চিন্তা করেন, বিস্ফোরন ঘটলে সাধারনত কোন কিছুরই অস্থিত্ব থাকার কথা না সেখানে তারা সৃষ্টির সংজ্ঞা দিচ্ছে। প্রান সৃষ্টির রহস্যের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে জাপানের একদল নাস্তিক বিজ্ঞানীরা বললো সমুদ্রের ক্ষুদ্র কীট পতঙ্গ থেকে নাকি মানুষের প্রান সৃষ্টি হয়েছে। আমার বিশ্বাস এরা যদি কোন অবস্থায় আসমানের ধারে কাছে যেতে পারে তাহলে প্রান সৃষ্টির পুরো সংজ্ঞাটাই পরিবর্তন করে দিবে, সেখানে আর কোন থেকে কোন পতঙ্গ দেখবে, দেখেই সেই পতঙ্গ থেকে প্রান সৃষ্টি হইছে ঘোষনা দিবে। তাদেরকে যদি প্রশ্ন করেন ভাই বট গাছ কিভাবে সৃষ্টি হইছে? মাথা চুলকাই হয়তো এইভাবে বলবে প্রথমে এটি একটি ভিন্না ঘাস ছিলো তারপর ধীরে ধীরে সুপারি গাছে পরিনত হয়েছে অতপর তাল গাছ, তাল গাছ থেকে একসময় বট গাছ হইছে। পুরাই অস্থির অবস্থা।
আমার সবচেয়ে হাসি পায় বান্দর পার্টির থিয়োরি পড়লে। তাদের মতে মানুষ এক সময় বানর ছিলো। কালের বিবর্তনে ধীরে ধীরে বানরগুলি মানুষে পরিনত হয়েছে। ওকে ফাইন মেনে নিলাম, তয় পৃথিবীতে এখনও কেন হাজার হাজার বানর আছে? এইগুলান মানুষ হবে কবে? এখন তো প্রযুক্তিও আরো উন্নত হইছে হালকা কাটা ছিড়া করা লাগলেও তো করতে পারে। নাকি এখন আগের মতো কালের বিবর্তন হয়না? বিবর্তন কি থমকে গেছে? ঐ বান্দর পার্টি জবাব দে.....
আরো কথা আছে মানুষ যদি এক সময় বানর ছিলো তাহলে ব্রিটিশ আকেরিকান সাদা ভুতনিরা তাদের পূর্বভর্তি জাতিরে বাদ দিয়া ইদানিং কেন কুত্তা বিলাই এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে? ঐ জ্ঞানী পার্টি আওয়াজ দে......
আমি নিশ্চিত বান্দর পার্টিকে যদি জিঙ্গেস করা হয় ভাই বাঘ কেমনে কেমনে হইছে? বান্দর পার্টি কইবো শুরুতে এরা কুত্তা ছিলো, এর মধ্যে যেইগুলান একটু ডেন্জারেস টাইপ ছিলো অর্থাৎ ঘেউ ঘেউ কম করতো কিন্তু সুযোগ পাইলে লাফ দিয়ে ঘাড়ে উঠে পড়তো সেইগুলান বনে ঢুকে বট গাছের বিবর্তনে বাঘ হইয়া গেছে।
মূল কথা হলো পৃথিবীতে শুরু করে আসমান, জমিন, গ্রহ-তারা, কীট পতঙ্গ সবই স্রষ্টার সৃষ্টি এবং একমাত্র তিনি ই সকল সৃষ্টির রহস্য সম্বন্ধে অবগত। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন তোমরা ঘন্টার পর ঘন্টা আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখো আমি কোন প্রকার স্থম্ভ ছাড়াই আকাশ সৃষ্টি করেছি বছরে পর বছর তাকিয়ে থাকলেও বিন্দু পরিমান ফাটলও তোমরা খুজে বের করতে পারবেনা। সমুদ্রের দিকে চেয়ে দেখো আমি আমার অদৃশ্য শক্তি দিয়ে লোনা পানি আর মিঠা পানিকে আলাদা করে রেখেছি আমার হুকুম ছাড়া পৃথিবীর কোন শক্তিও তাদের একত্রিত করতে পারবেনা। এছাড়াও কোটি নিদর্শন স্রষ্টা আমাদের জন্য সৃষ্টি করছেন সেইসব সৃষ্টির রহস্য খুঁজে বের করা কোন মানুষের জন্য সম্ভব না যে নিজের সৃষ্টির রহস্য সম্বন্ধে অবগত নয় সে অন্যান্য সৃষ্টি রহস্য কেমনে খুজে বের করবে?
বিষয়: বিবিধ
৯৭৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন