রাজনীতিতে আবেগ ভালোবাসার কোন দাম নেই।
লিখেছেন লিখেছেন কাওছার জামাল ০৭ জুলাই, ২০১৪, ১১:৩৫:২৫ রাত
রাজনীতিতে আবেগ ভালোবাসার কোন দাম নেই। ত্যাগের বিনিময়ে পাবেন একরাশ ঠাট্রা বিদ্রুপ, অনেক সময় তামাশার পাত্র হয়ে উঠার আশংকা থাকে। নীতি ধরে রাখতে গিয়ে অনেকে জীবন বাজি রাখে বিনিময়ে নীতি তো যায় ই যায় সঙ্গে জীবনও যায়। ভাগ্যক্রমে কিছু কিছু মানুষ বোনাস জীবন পায়। যে জীবন পাওয়ার চেয়ে হারানোটাই বরং ভালো।
প্রসঙ্গ: ছাত্রলীগ নেতা অসীম কান্তি কর, যে বেশ কিছুদিন আগে রাজনৈতিক নির্মম প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ধুকে ধুকে মরছে। তার এই ধুকে ধুকে মরার চেয়ে ঐ সময়ে মরে যাওয়াটাই মনে হয় ভালো ছিলো। কিন্তু জীবন এবং মরন কারো চাওয়া পাওয়ার উপর নির্ভর করে চলেনা, সে তার আপন গতিতে চলে কারো ধার ধারেনা। অসীম কান্তি কর ছাত্র্লীগকে খুব বেশি কিছু দিতে পারেনি কিন্তু তার বয়সের তুলনায় ছাত্রলীগের জন্য কিন্তু সে কমও করেনি। দুর্বত্তের ধারালো ছুরির আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত তার দেহ, রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি। পঙ্গুত্ব কে বরন করে নিয়েছে। অবসরে একের পর এক দায়ের কুপের সেই নির্মম দৃশ্যগুলি তার দু’চোখে এখনও ভেসে উঠে। প্রতিদিনি এনিয়ে বিনিয়ে কাকুতি মিনতি করে নিজের মনে জমে থাকা ক্ষোভ দুঃখগুলিকে সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে শেয়ার করে। এই আঘাত, এই ক্ষত-বিক্ষত দেহ, এই পঙ্গুত্বকে সে বরন করেছে কার জন্য? এই ছাত্রলীগের জন্যই তো নাকি? বিনিময়ে এই ছাত্রলীগ তার জন্যে কি করলো? দুর্বিৃত্তদের ইয়ে তো ছিড়তে পারলোই না, অসীম কান্তি করের জন্যও কোন কিছু আটা বানতে পারলো না। কাজের কাজ যা করছে আমাদের মতো উন্নত মানের ভদ্র লোকদের মূখ খারাপ করাইতে পারছে।
আমার লজ্জা হয় যখন দেখি চিকৎসা বাবত সাহায্য নিতে অসীমরা প্রধানমন্ত্রী কার্য়্যালয় পর্য়ন্ত পৌছেও কোন সাড়া পায়না। কি লজ্জার বিষয়, সিলেট জেলা- মহানগর আওয়ামীলীগ, যু্বলীগ, ছাত্রলীগ, হুমালীগ, বেসেবালীগ, বহিস্কৃতলীগ ও বিলুপ্তলীগের সবাই কি ফকিন্নির পূত হয়ে গেল নাকি? জানি ফকিন্নির পূত বলায় অনেকের কলিজায় ঘুর্নি ঝড়ের মতো আঘাত লাগবে, আই ডোন্ট কেয়ার। আমার কি আছে আর কি যাইবো? অবাক হই যেখানে এক অসীমের চিকিৎসার ব্যায় ভার বহন করতে পারেনা সেখানে সারা দেশের দ্বায়িত্ব নিয়ে নেয়। এদের নূন্যতম জ্ঞান বুদ্ধি ও দেখি নাই। কতটাকা লাগবে তার চিকিৎসার জন্য? ১০ লাখ? বিশ লাখ? খুব বেশি হলে ৩০ লাখ! না তার চেয়েও আরো বেশি? টেন্ডারবাজি চাঁদাবাজি করে তো এর চেয়ে তিনগুন টাকা কামাইতেছো আর অসীমের বেলায় মাথায় হাত। যারা দলের একজন কর্মীর প্রতি প্রেম দরদ দেখাতে পারেনা তারা আবার দেশপ্রেম দশপ্রেমের বুলি ছড়ায়। হায়রে আমার প্রেমিকের দলরে!!!! বিদেশী দেশপ্রেমিকরা আরো এক চামুচ বাইড়া আছে, সভাপতি হইতে ১০ লাখ টাকা খরছ করতে পারবে কিন্তু কাউকে সাহয্য করার সময় এমনভাব ধরবে যেন মর্গেজ বিল না দেওয়ার অপরাধে শীঘ্রই ফরেন পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যাবে।
এই শুন তোমাদের নেতা নেত্রীরা তো জীবনে কাউকে প্লীজ বলেনা সড়ি ফড়ি বলা তো অনেক দূরের কথা আর অপারগতা প্রকাশ করার তো প্রশ্নই উঠেনা। এক কাজ করো সবাই মিলে সড়ি বলো এবং অপারগতা প্রকাশ করো, দেখি আমরা কিছু করতে পারি কি না।
উপসংহার: আমার কথায় যদি কারো দিলে চোট লাগে আমি সড়ি আছি, দোহাই লাগে দা ছুরি নিয়া আমারে টার্গেট করিসনা, আমারে অসীম বানাইছ না।
বিষয়: বিবিধ
১২৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন