"হ্যা" কে না আর "না" কে হ্যা, কেন? কেন? কেন???
লিখেছেন লিখেছেন কাওছার জামাল ১৪ জুন, ২০১৪, ০৩:২৬:০৯ রাত
যে জিনিস আমাদের দলগতভাবে করার কথা বলা হয়েছে সেই জিনিস আমরা একাকী করি আর যে জিনিস আমাদের একাকী করতে বলা হয়েছে সেই জিনিস আমরা দলগতভাবে করি। ইদানিং কেন জানি মনে হচ্ছে উল্টাপাল্টা কাজ করাই বোধ হয় মানুষের ধর্ম। আর আমাদের সমাজে এম্নিতে ধর্মের অভাব নাই তার মধ্যে নতুন নতুন আরো ধর্ম আবিস্কার হচ্ছে। আর এই ধর্মগুলা একবার চালু হলেই হইছে, চলতে থাকে, কখনও থামেনা। এই স্রোতের উল্টা চলার ধর্মটাও বোধ চালু হয়ে গেছে।
সৃষ্টিকর্তা হযরত জিবরাইলের মাধ্যমে নবী মোহাম্মদ (সঃ) কে বলিলেন হে বন্ধু তুমি আমার বান্দাদের বলে দাও তারা যেন আজান শুনার সাথে মসজিদে গিয়ে সমবেত হয়। এবং তারা যেন একত্রিত হয়ে দলগতভাবে নামাজ আদায় করে। নিশ্চয় একাকি নামাজ আদায়ের চেয়ে দলগতভাবে নামাজ আদায় করা অনেক উত্তম। আজকের বাস্তবতা সম্পূর্ন ভিন্ন। কিছু সংখ্যক মুসলিম ছাড়া বেশির ভাগই একাকী নামাজ আদায় করে, অনেকেই তো নামাজ বলতে যে একটা ফরয কাজ আমাদের বাধ্যতামূলক আদায় করতে হবে সেই খবরও রাখেনা। জরিপ করলে দেখা যাবে ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জনই নামাজের সময় সীমা সম্বন্ধেও জানেনা। এই বেখবরদের মধ্যে বেশির ভাগ হলেন সাপ্তাহিক মুসলমান অর্থাৎ শুধু জুম্মার নামাজ আদায়কারীরা। কেউ কেউ সিজনাল মুসলমান যেমন শবে বরাত, শবে কদর, মেহরাজ, রমজান মাস সহ বিভিন্ন সময়গুলিতে নামাজ আদায় করেন। বাদ বাকী হলেন বাৎসরিক মুসলমান, ইনারা আর কোন নামাজ পড়েন বা না পড়েন দুই ঈদের নামাজ অবশ্যই পড়েন। বিষয়-১
বিষয়-২ হইলো সৃষ্টিকর্তা জিবরাইলের মাধ্যমে নবী মোহাম্মদ (সঃ) কে বললেন হে আমার দূত তুমি তোমার উম্মতগনদের বলো তারা যখন নফল ইবাতদ (যেমন ফরয ছাড়া অন্যান্য নামাজগুলি, জিকির, দুরুদ ইত্যাদি) করে তখন তারা যেন একাকি নীরবে নিবৃতে করে। নিশ্চয়ই তোমার সৃষ্টিকর্তা লোক দেখানো ইবাদত পছন্দ করেন না। এমনকি হাদিসে আছে তুমি এমনভাবে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করো যেন তোমার সঙ্গীনিও টের না পায় অথচ আজকের সমাজে তাহাজ্জুদ নামাজীরা তাহাজ্জুদ নামাজ যে পড়ে তা ভাষনের মাধ্যমে জাতির জানান দেয়। লক্ষ করে দেখলাম মানুষ দল বেধে নফল ইবাদত করছে। শহরে ঘুরে এসে আমার কাছে মনে হলো যেন আগরবাতি, মোমবাতি, আতর ও গোলাপজলের মেলা বসেছে। পহেলা বৈশাখ আসলে যেমন রমনীরা পেট পিঠ খোলা রেখে শাড়ী পড়ে রাস্তা ঘাট পার্কে ঘুরাঘুরি করে, শবে বরাত শবে কদর আসলেও পুরুষেরা পাঞ্জাবী পায়জামা পড়ে টুপি দিয়ে মাথা ঢেকে রাস্তা ঘাট আর মাজারে মাজারে ঘুরে। বৈশাখে যেমন মানুষ একদিনে ১০০% ফ্রুটিকা টাইপ পিউর বাঙ্গালী হয়ে যেতে চায় শবে বরাত আসলেও মানুষ একদিনে সাচ্চা মুসলমান, খাটি ইমনদার হয়ে যেতে চায়। প্রিয় ভাই ও বোনেরা পহেলা বৈশাখ আর শবে বরাতকে গোলাইয়া মিশাইয়া এক চোখে দেখছি বলে আপনারা অনেকেই আমারে নাফরমান ট্যাগ দিতে পারেন, মনে মনে নাউযুবিল্লাহ পড়তে পারেন কিন্তু দেমাগরে একটু সঠিকভাবে ইসতেমাল করলে দেখবেন আসলেই এটাই বাস্তবতা। এই গভীর রাইতে চার নালা মাইক দিয়া আল্লাহ রে ডাকাডাকি করে করে কতটুকু সোওয়াব হাসিল করবেন জানিনা, তবে মানুষকে যে প্রচন্ড বিরক্ত করছেন এটা জানি। মাইক লাগাইয়া আযান দেওয়ার কথা জানি কিন্তু মানুষকে বিরক্ত করে আর আল্লাহ কে খুশি করতে গিয়া মাইক লাগাইয়া ডাকাডাকি করার কোন দরকার আছে বলে আমি মনে করিনা। আপনাদের এই হাউমাউ শুনে সৃষ্টিকর্তা খুশি হচ্ছেন বলে আমার মনে হয়না।
আরো অনেক কিছু বলার আছে লিখার আছে ধীরে ধীরে লিখবো, ভুলত্রুটি করলে আশা করি শুধরাইয়া দিবেন।
বিষয়: বিবিধ
১২৩১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন