বিড়ম্বনার শহর!
লিখেছেন লিখেছেন একজন বীর ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০১:৪০:১৯ দুপুর
অনেক দিন যাবত ব্লগে আসা হয় না। ব্যাক্তিগত ব্যাস্ততা নিজেকে খুব জেকে বসেছে। আল্লাহর রহমতে আবার ফিরে আসলাম ব্লগে। আর এর মধ্যে মনের কোনায় জমে আছে আসংখ্য কথা, স্মৃতি-ব্যাথা। যাই হক আজ আমাদের আজব সহর ঢাকাতে কিছু বিড়ম্বনার কথা তুলে ধরব।
বেশ কিছুদিন আগে এলাকা থেকে বন্ধুরা এসেছে ঢাকায় বেড়াতে। বন্ধুদের ঢাকায় ঘুরানোর অনুরোধ এড়াতে পারলাম না।আমিও যে ঢাকার সবকিছু চিনি, তা নয়। তারপরেও তারা নতুন বলে দায়িত্বটা আমার উপরই পড়েছে। সবার ইচ্ছা আগে চিড়িয়াখানায় যাবে। তাদের দাবী অনুযায়ী নিয়ে গেলাম চিড়িয়াখানায়।
যথারীতি টিকেট কিনে আনন্দঘন পরিবেশে ঢুকলাম চিড়িয়াখানায়। ঘুরে দেখতে লাগলাম চিড়িয়াখানা। এরমধ্যে বিভিন্ন কথা হাসাহাসি, ফটোসেশন তো আছেই। হঠাত এক বন্ধুর ১ নাম্বার সারার প্রয়োজন হলো ঢুকলো একটা টয়লেটে। ১ নং সেরে বের হতেই এক লক কোথা থেকে উদয় হয়ে বলল ৬ জন ঘেছেন ৬০ টাকা দেন। আকাশ ভেঙ্গে পড়ল মাথায় ৬ জন গেছি ঠিক আছে কিন্তু কাজ সারলাম ২ জন। অনেক ঝামেলা করার পর ৫০ টাকা দিয়ে ছাড়া পেলাম। সেখান থেকে গিয়ে ঘুরে ফিরে বের হলাম লাঞ্চ আওয়ারে। ঢুকলাম লাঞ্চ করতে পাশের একটা রেস্তোরায়। খাবার মেনু এবং দাম দেখে বিরিয়ানির অড্রার দিলাম। ওয়েটার আমাদের জন্য কিছু বিদেশী সফট ড্রিংক নিয়ে এল। কিন্তু আমরা সেগুলো অরডার দেই নি। জিজ্ঞেস করলাম আমরা ত এগুলো অরডার দেই নি । তারা বলল চেয়ার প্যাকেজ। মেনে নিতে বাধ্য হলাম। আমি এসব এলকোহলিক ড্রিংক আগে থেকেই খাইনা। তারপরেও আমার বনহুরা অনেক কষ্টে খেল। খাবার পর বিল আসল ৪৪০০ টাকা। আবারো ভ্যব্যাচেকা হয়ে গেলাম। কি করবো বুঝতে পারছিলা্ম না। সবাই একটু ভয় পেয়ে গেল। তার পরেও সবাই সাহস করে জানতে চাইলাম কিভাবে হলো। অনেক কষ্টে সবাই ৩০০০ টাকা দিয়ে ছাড়া পেলাম।
এভাবেই আমাদের এই ঢাকায় প্রতিনিয়তই শ্মীকার হচ্ছি বিড়ম্বনার। এখানে মনে হচ্ছে সবাই বাটপার। আর এর ভিড়েই হাতিয়ে যায় সত মানুষ গুলো। আর প্রতিনিয়তই এর শ্মীকার হচ্ছে সহজ সরল অসহায় মানুষ গুলো।
আর এর মোকাবেলার একমাত্র পথ আমাদের সতর্কতা।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন