সমাজে প্রচলিত হাদীসের নামে কিছু জাল হাদীস!
লিখেছেন লিখেছেন একজন বীর ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৭:৫৩:৫২ সন্ধ্যা
আমাদের সমাজে হাদীসের নামে কিছু বানোয়াট জাল হাদীস প্রচলিত আছে। যা আমরা সবাই হাদীস বলে জানি। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এগুলো কোন হাদীস নয়। এগুলো বিভিন্ন ভাবে আমাদের বিভিন্ন হাদীস গ্রন্থে প্রবেশ করেছে। পরবর্তী কালে মুহাদ্দিস এবং হাদীস বিশারদগন বিভিন্ন গবেষনার মাধ্যমে এগুলোকে জ্বাল হাদীস হিসেবে চিনহিত করেছেন।
হাদীসের নামে প্রচলিত কিছু জ্বাল হাদীসঃ-
১। মুমিন হৃদয় আল্লাহর আরশ।
২। আল্লাহ সর্বপ্রথম আমার নূর সৃষ্টি করেছেন।
৩। আদম যখন পানি ও মাটির মধ্যে ছিলেন তখন আমি নবী ছিলাম।
৪। আমি জ্ঞানের শহর এবং আলী তার দরজা।
৫। আমার সাহাবীগণ নক্ষত্র তুল্য, তাদের যে কাউকে অনুসরণ করলেই তোমরা সুপথ প্রাপ্ত হবে।
৬। আমার উম্মতের ইখতিলাফ (মতবিরোধ) রহমত স্ব্রুপ।
৭। ওলীগণের কেরামত সত্য।
৮। সবচেয়ে কঠিন জিহাদ প্রবৃত্তির বিরোদ্ধে জিহাদ।
১০। মূরখের ইবাদতের চেয়ে আলিমের ঘুম উত্তম।
১১। চীন দেশে হলেও জ্ঞানের অন্বেশন কর।
১২। দেশপ্রেম ঈমানের অংগ।
১৩। নামাজ মুমিনের মিরাজস্বরুপ।
১৪। খাদ্য গ্রহন কারীকে সালাম দেয়া যাবেনা।
১৫। দুনিয়া হল আখেরাতের শশ্যক্ষেত্র।
এ কথাগুলোকে আমরা হাদীস বলে জানি কিন্তু এগুলো হাদীস নয়। এরকম অংখ্য জ্বাল হাদীস আমাদের মাঝে প্রচলিত আছে। এখানে মাত্র কয়েকটি উল্লেখ করা হয়েছে।
[তথ্যসূত্রঃ হাদীসের নামে জালিয়াতি।]
বিষয়: বিবিধ
২১৭৭ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হাদীসটি আমাদের মধ্যে এত প্রসিদ্ধ যে, সাধারণ একজন মুসলিম স্বভাবতই চিন্তা করেন যে, হাদীসটি বুখারী, মুসলিমসহ সিহাহ সিত্তা ও সকল হাদীসগ্রন্থেই সংকলিত। অথচ প্রকৃত বিষয় হলো, সিহাহ সিত্তাহ তো দূরের কথা অন্য কোনো প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থে এ হাদীসটি নেই। যয়ীফ ও জালিয়াত রাবীগণের জীবনীগ্রন্থে, কয়েকটি ফিকহ গ্রন্থে ও অপ্রসিদ্ধ দুই একটি হাদীসের গ্রন্থে এই বাক্যটি এবং এ অর্থের একাধিক বাক্য একাধিক সনদে বর্ণিত হয়েছে। প্রত্যেক সনদেরই একাধিক রাবী জালিয়াত হিসেবে প্রসিদ্ধ অথবা অত্যন্ত দুর্বল ও মিথ্যা বলায় অভিযুক্ত। এজন্য আবূ বাকর বাযযার আহমদ ইবনু আমর(২৯২ হি), ইবনু হাযম জাহিরী আলী ইবনু আহমদ(৪৫৬ হি), যাহাবী মুহাম্মাদ ইবনু আহমদ(৭৪৮ হি) ও অন্যান্য মুহাদ্দিস এই হাদীসটিকে জাল ও ভিত্তিহীন বলে গণ্য করেছেন। (আবদ ইবনু হুমাইদ, আল মুসনাদ, পৃ. ২৫০; ইবনু হাযম, আল ইহকাম ৬/২৪৪; যাহাবী, মীযানুল ইতিদাল ২/১৪১-১৪২; সাখাবী, আল মাকাসিদ, পৃ. ৪৯-৫০)।
৬। আমার উম্মতের ইখতিলাফ (মতবিরোধ) রহমত স্ব্রুপ।
এদুটোর ক্ষেত্রে কোনভাবেই আপনার সাথে সহমত হতে পারছি না, কিভাবে আপনি দাবী করেন এ দুটি হাদীস জাল?
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-আমার সাহাবাগণ এমন তারকাতুল্য, যা পথ প্রদর্শন করে, সুতরাং তোমরা যার বক্তব্যকেই গ্রহণ কর তোমরা হেদায়েত পেয়ে যাবে। {মুসনাদে আব্দ বিন হুমাইদ, হাদীস নং-৭৮৩, মুসনাদুশ শিহাব, হাদীস নং-১৩৪৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-২৪৩৫৫}
উক্ত হাদীস সম্পর্কে কয়েকজন বিখ্যাত মুহাদ্দিসের বক্তব্য-
১-মুহাম্মদ বিন আহমাদ বিন সালেম আস সাফারিনী রহঃ বলেন-এর অনেক শাওয়াহেদ রয়েছে যা বর্ণনাটিকে শক্তিশালী করেছে। {শরহু কিতাবিস শিহাব-৫৮২}
২-ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ বলেন-এ হাদীসের অনেক শাওয়াহেদ রয়েছে। {আল আমালিউল মুতলাকা-৬০}
৩-ইমাম বায়হাকী রহঃ বলেন-এর সনদটি শক্তিশালী নয়। {আল ই’তিকাদ-৩৭১}
৪-আল্লামা বুসিরী রহঃ বলেন-এর সনদ দুর্বল। {ইতখাফুল খাইরাহ-৭/৩৩৬}
দুইজন তো এটিকে শাওয়াহেদ (দলীলযোগ্য) বলে মত দিলেন। তার মধ্যে একজন আবার হাদীস শাস্ত্রের দিকপাল ইবনে হাজার আসকালানী (রহ); তাহলে আবার জাল হলো কিভাবে!!!
হাদীসটি আমাদের মধ্যে এত প্রসিদ্ধ যে, সাধারণ একজন মুসলিম স্বভাবতই চিন্তা করেন যে, হাদীসটি বুখারী, মুসলিমসহ সিহাহ সিত্তা ও সকল হাদীসগ্রন্থেই সংকলিত। অথচ প্রকৃত বিষয় হলো, সিহাহ সিত্তাহ তো দূরের কথা অন্য কোনো প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থে এ হাদীসটি নেই। যয়ীফ ও জালিয়াত রাবীগণের জীবনীগ্রন্থে, কয়েকটি ফিকহ গ্রন্থে ও অপ্রসিদ্ধ দুই একটি হাদীসের গ্রন্থে এই বাক্যটি এবং এ অর্থের একাধিক বাক্য একাধিক সনদে বর্ণিত হয়েছে। প্রত্যেক সনদেরই একাধিক রাবী জালিয়াত হিসেবে প্রসিদ্ধ অথবা অত্যন্ত দুর্বল ও মিথ্যা বলায় অভিযুক্ত। এজন্য আবূ বাকর বাযযার আহমদ ইবনু আমর(২৯২ হি), ইবনু হাযম জাহিরী আলী ইবনু আহমদ(৪৫৬ হি), যাহাবী মুহাম্মাদ ইবনু আহমদ(৭৪৮ হি) ও অন্যান্য মুহাদ্দিস এই হাদীসটিকে জাল ও ভিত্তিহীন বলে গণ্য করেছেন। (আবদ ইবনু হুমাইদ, আল মুসনাদ, পৃ. ২৫০; ইবনু হাযম, আল ইহকাম ৬/২৪৪; যাহাবী, মীযানুল ইতিদাল ২/১৪১-১৪২; সাখাবী, আল মাকাসিদ, পৃ. ৪৯-৫০)।
্ কখনো কখনো বলা হয়ঃ “আলেমদের এখতেলাফ বা মতবিরোধ রহমত।” এবং কেউ বলেন, “আমার সাহাবীগণের এখতেলাফ রহমত।”
মুহাদ্দিসগণ ঘোষণা করছেন যে, এই বাক্যটি রহমত হিসেবে সমাজে বহুমুখে প্রচলিত হলেও কোনো হাদীসের গ্রন্থে এই হাদীসটি সনদসহ পাওয়া যায় না। কোনো সহীহ, যয়ীফ এমনকি জাল সনদেও তা বর্ণিত হয় নি। সনদবিহীনভাবে অনেকেই বিভিন্ন গ্রন্থে এই বাক্যটি হাদীস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আল্লামা সুবকী বলেছেনঃ “মুহাদ্দিসগণের নিকট এটি হাদীস বলে পরিচিত নয়। আমি এই হাদীসের কোনো সনদই পাই নি, সহীহ, যয়ীফ বা বানোয়াট কোনো রকম সনদই এই হাদীসের নেই।”(মোল্লা কারী, আল আসরার, ৫১পৃ.; সুয়ূতী, আল-জামি আস সগীর ১/১৩, আলবানী, যায়ীফাহ ১/১৪১)।
ইখতিলাফ বা মতভেদ মূলত নিন্দনীয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা অনুমোদিত বা প্রশংসিতও হতে পারে। আমরা ইখতিলাফের প্রশংসায় বা নিন্দায় অনেক কিছুই বলতে পারি। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই রাসূলুল্লাহ(সা) এর নামে এই কথাটি বলতে পারি না, কারণ তা সনদবিহীন ভিত্তিহীন কথা।
ওখানে বলা হয়েছে "সিহাহ সিত্তাহ তো দূরের কথা অন্য কোনো প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থে এ হাদীসটি নেই"। উক্ত হাদীসটি পাওয়া গেছে মুসনাদে আব্দ বিন হুমাইদ, মুসনাদুশ শিহাব, জামেউল আহাদীস গ্রন্থে। এর মধ্যে জামেউল আহাদীস ও মুসনাদুশ শিহাব এ গ্রন্থ দুটি চেনে না এমন কোন হাদীসের ছাত্র আমার জানা মতে নেই। তথাপি ইমাম বায়হাকীর (রহ.)"আল মাদখাল" এবং আবু নসর আস সাজযীর (রহ.) "আল ইবানাহ" গ্রন্থ দুটিতেও হাদীসটি উল্লেখ আছে, এ গ্রন্থদুটো ঐরূপ প্রসিদ্ধ না হলেও একেবারেই কি অপরিচিত!!?? হাদীসের শুদ্ধতার জন্য কি জরুরী যে হাদীসটা অবশ্যই মাশহূর কোন কিতাবে উল্লেখ থাকতেই হবে? কোন উসূলে এটা আছে?
তবে হ্যাঁ, পরিচিতর দিক থেকে উসূলে হাদীসের পরিভাষায় এটিকে গঈরে মাশহুৃর বলা হয়। গঈরে মাশহুর হাদীসের ২টি শ্রেনী হতে পারে, ১. আযীয, ২. গরীব। উক্ত হাদীসটি আযীয শ্রেণীভূক্ত। সুতরাং, এক মু'তাবের কারণে হাদীসটিকে একেবারে জাল বলা সম্ভব নয়, কারণ শায বা জালের মু'তাবে থাকে না।
সর্বোপরী, আমাদের আজকের জামানায় এসে অনেক হাদীসই কেমন করে যানি জাল, শায, যঈফ হয়ে যায় এবং প্রবক্তা মুহাক্কিক বা মুহাদ্দিসগন রাবীদের মাযহুল বলে বসেন। অথচ পরে সেই তথাকথিত মাযহুলের ১৪ পুরুষ পর্যন্ত খবর বের হয়ে যায়। তাই এখানে অবশ্যই ইবনে হাজার আসকালানীর (রহ.) কথাই সর্বাধিক প্রণিধান যোগ্য-"এ হাদীসের অনেক শাওয়াহেদ রয়েছে।" {আল আমালিউল মুতলাকা-৬০} এবং যে হাদীসের একাধিক শাওয়াহেদ থাকে, সেই হাদীস যঈফ বা দূর্বল হলেও এই শাওয়াহেদের কারণে দলীলযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়, যতক্ষন না বিপরীত হুকুম বোধক আরো শক্তিশালী কোন হাদীস আসে।
যাহাবী, সুয়ূতী, মোল্লা আলী কারী, সাখাবী প্রমুখ বিশ্বখ্যাত মুহাদ্দিসরা যখন জাল বলেন তখন সেটি নিয়ে আমাদের বিতর্ক না করাই উচিত। জাল হাদীসকে প্রচলন করার জন্য দলিলও তৈরি করেছে জালিয়াতরা। সুতরাং দলিল থাকলে সেটা জাল নয়- এটি বলার সুযোগ নেই।
এবং আমি দেখিয়েছি উক্ত হাদীসের একাধিক শাওয়াহেদ আছে। আমি বলেছি হাদীসটি গরীব এবং দূর্বল। কিন্তু হাদীস বটে।
এখানে জাল পেলেন কই একটু বুঝিয়ে বলবেন?
যে হাদীসগ্রন্থগুলি থেকে দলীল দেওয়া হয়েছে, তথাপি যেখানে ইবনে হাজার আসকালানী, ইবনে আহমাদ সাফরানীর (রহ.) মতো মুহাদ্দিসের পজেটিভ মন্তব্যের পরেও উপরোক্ত মন্তব্যের যে কি ভিত্তি হতে পারে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আমাদের দেশেই ‘মিলাদ ও কিয়াম’ নামক িএকটি বইতে মোস্তফা হামিদী নামক একজন মুহাদ্দিস আলেম নিজের মনগড়া একটি বক্তব্যকে হাদীস হিসাবে উল্লেখ করে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য রেফারেন্স দিয়েছেন সহীহ বুখারীর। সচেতন হতে হবে, চোখকান খোলা রাখতে হবে ব্রাদার।
হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, ৬নং হাদীসটি সম্পর্কে আমি কি বলেছি, আশা করি এতেই বোঝা যাবে আমি কিভাবে যাচাই বাছাই করি।
সহমত।
৫ নং হাদীসটি সুস্পষ্ট জাল।
হাদীসটি আমাদের মধ্যে এত প্রসিদ্ধ যে, সাধারণ একজন মুসলিম স্বভাবতই চিন্তা করেন যে, হাদীসটি বুখারী, মুসলিমসহ সিহাহ সিত্তা ও সকল হাদীসগ্রন্থেই সংকলিত। অথচ প্রকৃত বিষয় হলো, সিহাহ সিত্তাহ তো দূরের কথা অন্য কোনো প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থে এ হাদীসটি নেই। যয়ীফ ও জালিয়াত রাবীগণের জীবনীগ্রন্থে, কয়েকটি ফিকহ গ্রন্থে ও অপ্রসিদ্ধ দুই একটি হাদীসের গ্রন্থে এই বাক্যটি এবং এ অর্থের একাধিক বাক্য একাধিক সনদে বর্ণিত হয়েছে। প্রত্যেক সনদেরই একাধিক রাবী জালিয়াত হিসেবে প্রসিদ্ধ অথবা অত্যন্ত দুর্বল ও মিথ্যা বলায় অভিযুক্ত। এজন্য আবূ বাকর বাযযার আহমদ ইবনু আমর(২৯২ হি), ইবনু হাযম জাহিরী আলী ইবনু আহমদ(৪৫৬ হি), যাহাবী মুহাম্মাদ ইবনু আহমদ(৭৪৮ হি) ও অন্যান্য মুহাদ্দিস এই হাদীসটিকে জাল ও ভিত্তিহীন বলে গণ্য করেছেন। (আবদ ইবনু হুমাইদ, আল মুসনাদ, পৃ. ২৫০; ইবনু হাযম, আল ইহকাম ৬/২৪৪; যাহাবী, মীযানুল ইতিদাল ২/১৪১-১৪২; সাখাবী, আল মাকাসিদ, পৃ. ৪৯-৫০)।
৬ নং একটি অতি প্রচলিত ও প্রসিদ্ধ কিন্তু জাল হাদীসঃ “আমার উম্মতের ইখতিলাফ(মতভেদ) রহমত বা করুণা স্বরূপ।”্
্ কখনো কখনো বলা হয়ঃ “আলেমদের এখতেলাফ বা মতবিরোধ রহমত।” এবং কেউ বলেন, “আমার সাহাবীগণের এখতেলাফ রহমত।”
মুহাদ্দিসগণ ঘোষণা করছেন যে, এই বাক্যটি রহমত হিসেবে সমাজে বহুমুখে প্রচলিত হলেও কোনো হাদীসের গ্রন্থে এই হাদীসটি সনদসহ পাওয়া যায় না। কোনো সহীহ, যয়ীফ এমনকি জাল সনদেও তা বর্ণিত হয় নি। সনদবিহীনভাবে অনেকেই বিভিন্ন গ্রন্থে এই বাক্যটি হাদীস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আল্লামা সুবকী বলেছেনঃ “মুহাদ্দিসগণের নিকট এটি হাদীস বলে পরিচিত নয়। আমি এই হাদীসের কোনো সনদই পাই নি, সহীহ, যয়ীফ বা বানোয়াট কোনো রকম সনদই এই হাদীসের নেই।”(মোল্লা কারী, আল আসরার, ৫১পৃ.; সুয়ূতী, আল-জামি আস সগীর ১/১৩, আলবানী, যায়ীফাহ ১/১৪১)।
ইখতিলাফ বা মতভেদ মূলত নিন্দনীয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা অনুমোদিত বা প্রশংসিতও হতে পারে। আমরা ইখতিলাফের প্রশংসায় বা নিন্দায় অনেক কিছুই বলতে পারি। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই রাসূলুল্লাহ(সা) এর নামে এই কথাটি বলতে পারি না, কারণ তা সনদবিহীন ভিত্তিহীন কথা।
(আরো দ্রষ্টব্যঃ হাদীসের নামে জালিয়াতি ও প্রচলিত জাল হাদীসঃ ড. আনম আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর)।
এবং ঐ লেখক কোন মাযহাবের ?
এ হাদীসগুলি সব কটি জাল। কিন্তু আমাদের সমাজে এত বেশি প্রচলিত হয়ে গিয়েছে যে, আলেমরা হাদীস গ্রন্থ খুলে যাচাই করার প্রয়োজন ও মনে করেন না। যে দুটি নিয়ে আপত্তি েএসেছে সে দুটির দলিল দিয়েছি উপরে। বাকিগুলিও জাল।
মন্তব্যের জন্য সবাইকে অসং্খ্য ধন্যবাদ!
মন্তব্য করতে লগইন করুন