ইসলামে যাদের সাথে বিয়ে হারাম!!
লিখেছেন লিখেছেন একজন বীর ৩১ আগস্ট, ২০১৪, ১১:০৩:০০ সকাল
বিয়ে মহান আল্লাহ তায়ালার একটি বড় নেয়ামত। এর মধ্যে নিহত আছে মানুষের জীবনের বিরাট কল্যান। এর দ্বারা মানুষ অনেক মারাত্বক গুনাহ থেকে রক্ষা পায়। এর দ্বারা মানুষ যেমন দুনিয়াতে উপকৃত হয় তেমনি পরকালেও উপকৃত হয়।
কারন রাসূল (সঃ) বলেছেন,স্বামী-স্ত্রী যে সময় গোপন স্থানে বসে প্রেমালাপ বা হাসি ঠাট্টা করে তার সাওয়াব নফল নামাজের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
মাহ্রাম/ মুহাররামাঃ ইসলামে যাদের সাথে বৈবাহিক সম্পরক স্থাপন করা স্থায়ীভাবে হারাম তাদেরকে বলা হয় মাহ্রাম। আর নারীদের বলা হয় মাহ্রামা।
যাদের সাথে স্থায়ীভাবে বিবাহ হারামঃ মহান আল্লাহ তায়ালা সুরা নিসার ২৩ নং আয়াতে বলেছেন, "তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভাতৃ কন্যা, ভাগিনী, তোমাদের সে মাতা যারা তোমাদের স্তন্যপান করিয়েছেন, তোমাদের দুধ বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সেসব স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক তবে এ বিবাহে কোন গুনাহ নেই। তোমাদের ঐরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা। কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চই আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
এ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বিবাহের একটি সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এসব ছাড়াও মোট ১৩ শ্রেনীর নারীকে বিবাহ হারাম করেছে তারা হলেনঃ-
১।মা ২। দাদি (দূর সম্পরকের দাদী এ আওতায় পড়বেনা) ৩। নানী ( দূর সম্পরকের নানি এর আওতায় পড়বেনা) ৪। নাতনী ( দূর সম্পরকের নাতনি ছাড়া) ৫। পূত্র বধু ৬। নিজের মেয়ে ৭। ফুফু ( দূর সম্পরকের ছাড়া) ৮। খালা (দূর সম্পরকের ছাড়া) ৮। ভাতিজী (দূর সম্প্রক ছাড়া) ১০। ভাগিনী (পিতার দিক থেকেই হোক কিংবা মাতার দিক থেকেই হোক) ১১। দুধ-মাতা ১২। দুধ বোন ১৩। শাশুড়ি।
এগুলো হচ্ছে আল্লাহ তায়ালা নির্ধারিত সীমারেখা। এসব লংঘন করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৬৬২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন