গাজা যুদ্ধ ও মুসলিমের শিক্ষা।
লিখেছেন লিখেছেন একজন বীর ০৫ আগস্ট, ২০১৪, ০১:০৮:৩৪ দুপুর
দীর্ঘ প্রায় ১ মাস নিঃসংশয়তা চলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়। নারী, শিশু সহ নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের রক্ত নিয়ে হোলিখেলায় মেতে উঠেছিল মধ্যপ্রাচ্যের বিষপোড়া খ্যাত অবৈধ যয়নবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল। যার পরিনততে গাযা উপত্যকা হয়ে উঠে ধংসস্তুপ আর লাসের নগরি।
কিন্তু গাজায় অসম যুদ্ধে আমরা যে অনেক কিছু হারিয়ে ফেলেছি তাও নয়। এখান থেকে কিছু অরজনীয় জিনিস আমাদের চোখের নজরের বাইরে রয়ে গেছে এখনো।
গাজায় এ অসম যুদ্ধ থেকে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য সরবপ্রথ যে শিক্ষাটি সেটি হচ্ছে, "ইহুদি জাতি যতবড় শক্তিশালী জাতি হোকনা কেন তারা প্রকৃতপক্ষে দূরবল।" তা না হলে গাজার মত কারাগারের কয়েদিদের হাতে ২৮ দিনের যুদ্ধ কেন ১ ঘন্টা যুদ্ধ চালিয়েও তারা ধংস করে দিত তারা। কিন্তু তা নাহয়ে তারা পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে।
গাজা যুদ্ধ থেকে দ্বিতীয় যে শিক্ষাটি সেটি হচ্ছে মুসলিমদের ঐক্যের পক্ষে বাধা কারা সেটা আজ প্রকাশ হয়ে গেছে।। প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের সকল মুসলিম দেশ যদি ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে ইসরাইলকে ধংস করে দিতে ২৪ ঘন্টারও কম সময় লাগবে। যা গাজা যুদ্ধ থেকে স্পষ্ট প্রমান হয়েছে। আর এখানেই বড় আশ্চর্য বিশয় যে মুসলি রাষ্ট্রগুলো ইসরাইলের ভয়ে ভিত হয়ে আছে।
একারনে বিশ্বখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ডঃ বিলাল ফিলিপস বলেছেন, "আমি মনে করতাম মধ্যপ্রাচ্যের শুধু গাজা উপত্যকা ইসরাইলের নিয়ত্রনে, কিন্তু আজ মনে হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র গাজাই ইসরাইলের নিয়ন্ত্রনের বাইরে।
গাজায় এ যুদ্ধ ইসরাল অর্থনৈতিক ভাবে চরম ধরাশায়ী হয়েছে। যার কারন বিশ্বব্যাপী ইসরাইলি পন্য বর্জন। ভবিশ্যতেও এভাবে ইসরাইলকে বর্জন করলে এ অবৈধ রাষ্ট্রটিকে পৃথিবীর মাটি থেকে ধংস করা সম্ভব!!
বিষয়: বিবিধ
১৬১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন