খুনির সমবেদনা!!
লিখেছেন লিখেছেন একজন বীর ২২ মে, ২০১৪, ১১:২৭:১২ রাত
খুন করে আদালতে খুনের দায় স্বীকার করেছে, এমন ঘটনা মনে হয় পৃথিবীর ইতিহাসে খুবই কম। সব খুনীই সবসময় নিজেকে আদালতে দাড়িয়ে নির্দোষ দাবী করে। আর সে খুনি যদি আওয়ামীলীগ সমর্থিত বা ম্যান্ডেট প্রাপ্ত হয় তাহলেতা কোন কথাই নেই।
ব্যাবকে একটি খুনি বাহিনী হিসেবে বাংলাদেশের মানুষই নয় সারা বিশ্ববাসী জানে। তাদের দ্বারা বিগত কয়েক বছর যে পরিমান গুম খুনের স্বীকার হয়েছে তা মনে হয় হিসেব করা বড়ই কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। কত শত শত মায়ের বুক খালি হয়েছে এ র্যাবের দ্বারা! কত জনপদ আজ সিক্ত হয়েছে তাদের বুলেটের আঘাতে! কত জনপদে তারা কান্নার রোল বইয়েছে তা হয়তো কান পেতে শুনার দাবী রাখে।
র্যাবের সেই কিলিং মিশনের অন্যত নায়ক লেপ্টেনেন্ট কর্নেল তারিক সাঈদ আদালতে দাড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবী করেছে। কোন হত্যা কান্ডের সাথে নাকি তার কোন সম্পর্ক নেই। অথচ আমি সহ বাংলার মানুষ সাক্ষী তার নেতৃত্বেই ঘটেছে অসং্খ্য হত্যাযজ্ঞ।
সে নাকি আদালতে দাড়িয়ে নিহত পরিবার গুলোর মধ্যে সমবেদনা জানিয়েছে! অথচ আশ্চার্য হই যখন শুনেছি তার নেতৃত্বে লক্ষ্মীপুরের যুবদল নেতা ইকবাল মাহ্মুদ জুয়েলকে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন করে তার লাশ গুম করা হয়েছে। আজও তার পরিবার অপেক্ষা করছে জুয়েলের লাশের। তার ছোট ছেলে জানেইনা তার বাবা কখনোই ফিরে আসবেনা তাদের মাঝে। কিন্তু তখন কোথায় ছিল এই খুনির সমবেদনা?
তার নেতৃত্বেই হত্যা করা হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের গনমানুষের প্রিয় নেতা শহীদ জেলা জায়াতের নায়েবে আমীর ডা. ফয়েজ আহমদক। তার জানাজায় উপস্থিত হয়ে সাধারন জনতার মধ্যে অতংক ছড়িয়েছিল এই খুনির নেতৃত্বে। তখন কোথায় ছিল তার সে সমবেদনা?
আজ অসং্খ্য মজলুম সন্তানহারা মায়ের আর্তনাদ, পিতাহারা পুত্রের আর্তনাদ কি সমবেদনা জানিয়ে মুছে ফেলা যাবে? তাদের হৃদয়ের সে ক্ষতচিহ্ন কি শুকবে কখনো? আজ তাদের মত খুনিদের ফাসীই পারে শহীদ পরিবার গুলোর জন্য শান্তনা।
বিষয়: বিবিধ
১৩০৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কথা হল- এই কুঠারটা কে ব্যবহার করছে ।
তারেক সাঈদরা এরকম কথাই বলবে তাদের খুঁটির জোর আছে বলেই ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন