যুগান্তকারী পদক্ষেপ!!

লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নচারী মাঝি ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১০:১৮:১৯ রাত



শিক্ষামন্ত্রনালয়ের এক নির্দেশনায় দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় ছাত্রীসংস্থার কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশনা পড়িয়া পুলকিত হইলাম। ভাবিতেছি দেশ আর কতদূর আগাইয়া যাইবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় লেখাপড়ার সুযোগ হইবার সুবাদে বিভিন্ন সংগঠনের আপুদের দেখিবার সুযোগ আমার হইয়াছে। কিন্তু সেই নারীদের সংগঠন কিংবা নারীবাদী সংগঠনের মধ্যে সবচেয়ে ইসলামী ছাত্রীসংস্থাকেই আমার অনেক বেশি পরিপাটি, দায়িত্বশীল ও জীবন সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি সচেতন মনে হইয়াছে। এটি আমার পর্যবেক্ষণ মাত্র। কাহারো ইহাতে দ্বিমত থাকিতেই পারে।

শিক্ষামন্ত্রনালয়ের নির্দেশনায় অভিযোগের সূরে বলা হইয়াছে, গোয়েন্দা মারফত তাহারা তথ্য পাইয়াছেন যে, ছাত্রীসংস্থা নামক সংগঠন নাকি বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জিহাদী কার্যক্রম চালাইতেছে। প্রচলিত সংবিধানের বাইরে সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করিতেছে। এসবের কারণে নাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অরাজক পরিস্থিতির উদ্ভব হইতে পারে!



কি সাংঘাতিক ব্যাপার!!

১৯৭৮ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত এতদিন দেশের শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রীসংস্থা কাজ করিয়া আসিলেও এই প্রথম তাহাদের নামে এহেন ফালতু অভিযোগ খোদ সরকারের পক্ষ থেকে করা হইল। অবশ্য এই সরকারের জন্ম লইয়াই দেশে প্রশ্ন রহিয়াছে। কেন যেন পিতা ছাড়া সন্তান আর ভোটছাড়া সরকারকে আলাদা করিয়া দেখিবার আমি কোন যুক্তি খুঁজিয়া পাই না।

ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, লুন্ঠন, দখলদারিত্বের খবরে প্রতিদিনের পত্রিকার পাতা ভারী হইয়া গেলেও তাহাতে দিনকানা শিক্ষামন্ত্রনালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অরাজক পরিস্থিতি উদ্ভব হওয়ার কোনই আশঙ্কাবোধ করে না। কোন গোয়েন্দা সংস্থা রিপোর্ট করিবার দুঃসাহসও দেখাইতে চাহে না। দালান্ধ দালাল মিডিয়াও মুখে কুলুপ আঁটিয়া থাকে। যাহাতে অন্তত সোনার ছেলেদের আক্রোশ হইতে রক্ষা মেলে।

যাইহোক, ক্যাম্পাসগুলোতে যদি ছাত্রীসংস্থা কার্যক্রম পরিচালনা না করিয়া থাকে তাহলে সোনার ছেলেদের দেহবাণিজ্য আরও অনেকগুনে প্রসার লাভ করিবে ইহাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নাই। ইডেন কলেজের ঘটনা আজও ভুলিতে পারি নাই। তাই অভিভাবকরাও মানসিক প্রস্ততি গ্রহণ করিতে পারেন, উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত আপনার কন্যা সন্তানকে কোন চাঞ্চল্যকর খবরের শিরোনাম হিসেবে দেখিবার জন্য।

বলা তো যায় না, শয়তান আপনার কন্যাকে পথভ্রষ্ট করিবে কি না! বুঝেন তো দেশে এখন আর কোন আইন আদালতের প্রয়োজন হয় না। নির্বাহী আদেশে মৃত্যুদণ্ড হইতে শুরু করিয়া দল নিষিদ্ধ পর্যন্ত হইতেছে। দেখা যাক দেশটা কতদূর এভাবে আগাইয়া যাইতে পারে।

বিষয়: রাজনীতি

১৮৮১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

377816
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ১১:২০
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : ক্যাম্পাসগুলোতে যদি ছাত্রীসংস্থা কার্যক্রম পরিচালনা না করিয়া থাকে তাহলে সোনার ছেলেদের দেহবাণিজ্য আরও অনেকগুনে প্রসার লাভ করিবে ইহাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নাই। ইডেন কলেজের ঘটনা আজও ভুলিতে পারি নাই। তাই অভিভাবকরাও মানসিক প্রস্ততি গ্রহণ করিতে পারেন, উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত আপনার কন্যা সন্তানকে কোন চাঞ্চল্যকর খবরের শিরোনাম হিসেবে দেখিবার জন্য।
377821
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ১২:১৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : গার্হস্ত অর্থনিতি কলেজে নাকি ছেলে ভর্তির দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে। ছাত্রিসংস্থা নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে নারিপুরুষ সমান করা হবে!!!
377832
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ০২:৪০
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয় ভাইয়া।

বর্তমান দেশের প্রেক্ষাপটে হেন কোন গর্হিত কাজ নেই যা পুরুস্কৃত হচ্ছে না আর ইসলাম সংশ্লিষ্ট কর্মগুলোকে তিরস্কৃত করা কিংবা ভয়াবহ এক পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দেয়া হচ্ছে না। ছাত্রী সংস্থা বন্ধ করে জোর করে তারা ইসলামকে মুছে দিতে চায়। কিন্তু তাদের জানা নেই যারা ইসলামের স্বাদ পেয়েছে তারা সবকিছুর জন্যই প্রস্তুত। কারন তারা জানে গাজী এবং শহীদের মূল্য কি।

জাজাকাল্লাহু খাইর।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File