বোমা দিয়ে কি ইফতার করা যায়?
লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নচারী মাঝি ০৩ জুলাই, ২০১৫, ০৬:৫৪:৪৭ সকাল
ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে যখন হিজাব নিষিদ্ধ হতো কিংবা হিজাব পরার জন্য যদি কোন নারীকে নিগ্রহের শিকার হওয়ার খবর যখন শুনতাম, তখন সত্যিই অনেক কষ্ট পেতাম। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হতো সেই নির্যাতিতার জন্য। কিন্তু, কখনো ভাবিনি যে এর চেয়েও মর্মপীড়াদায়ক ঘটনার জন্ম আমার দেশেই হতে পারে। কখনো ভাবিনি আমার প্রিয় এই দেশের নারীদেরও ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার কারণে ভোগ করতে হতে পারে সীমাহীন লাঞ্ছনা। কিন্তু বাস্তবতা আজ ওসব বিধর্মী রাষ্ট্রগুলোর চেয়েও ভয়ংকর। বিগত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মপ্রাণ ও পর্দানশীন নারীদের উপর সরকারের পেটোয়া বাহিনীর নির্মম আচরণ বারবারই মনের কোনে শঙ্কা জাগ্রত করেছে। প্রশ্নবিদ্ধ করেছে দেশের স্বাধীনতাকে, নাগরিকের স্বাধীনতাকে, সর্বোপরি নারী স্বাধীনতাকে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের দেশের যেসব নারীরা কপালে অতিকায় টিপ লাগিয়ে নারীর স্বাধীনতা ও অধিকারের কথা বলে থাকেন, তারাও রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ। কারণ, যেসব নারীদেরকে অন্যায়ভাবে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তারা ধর্মনিরপেক্ষ নয়, বরং ধর্মভীরু। তাদের কারো কপালে বৃহদাকার টিপ নেই, কিন্তু কারো কারো কপালে আছে সিজদার চিহ্ন। তারা কথিত ওইসব নারী নেত্রীদের মত অর্ধনগ্ন হয়ে চলাফেরা করে না বরং তারা প্রত্যেকেই শরীয়তের বিধান মেনে পর্দা করে চলে। আর তাই পর্দানশীন এসব নারী গ্রেফতার হওয়ায় নিন্দার ঝড় ওঠেনি। উপরন্তু তাদেরকে অবৈধ সরকারের পা-চাটা পুলিশ ককটেল নাটক সাজিয়ে জঙ্গি হিসেবে মিডিয়ার সামনে প্রচার করেছে। কি লজ্জার কথা! ইফতার মাহফিলে রোজাদার এসব নারী ককটেল বা হাতবোমা নিয়ে গিয়ে কি করবেন? ইফতারের কোন আইটেমের নাম ককটেল আছে বলে তো জীবনেও শুনিনি! মাতৃসম এসব সম্মানিত নারীদেরকে ককটেল দিয়ে কোর্টে চালান দিয়ে পুলিশ কি প্রমাণ করতে চায়? নাকি ওসি বিপ্লব কুমার নাথ আর হরেন্দ্রনাথ সরকার আর এদের দোসররা দেশকে কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দিকে উস্কে দিতে চায়?
এসব হরেন্দ্র মার্কা ‘র’ এর এজেন্টদের নষ্টামী আর দেখতে ইচ্ছে হয় না। প্রতিবাদের ভাষাগুলো অগ্নি হয়ে বের হয়ে আসতে চায়। মুষ্টিবদ্ধ হয়ে যায় দু’টি হাত। নতুন করে শপথ নিয়ে ভেঙ্গে দিতে ইচ্ছে হয় জালিমের মসনদ। বিদ্রোহের দাবানল বুকে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। নিজের অজান্তে মুখে উচ্চারিত হতে থাকে -
আমি উপাড়ি' ফেলিব অধীন বিশ্ব অবহেলে নব সৃষ্টির মহানন্দে।
মহা- বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত,
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল, আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না,
অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না -
বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি আমি সেই দিন হব শান্ত!
বিষয়: বিবিধ
১৮২১ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন