কাইয়ুম চৌধুরীর চলে যাওয়া ও প্রথম আলোর ডিফেন্স
লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নচারী মাঝি ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৪:১০:৫২ বিকাল
সদ্য প্রয়াত প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী কাইয়ূম চৌধুরীর চলে যাওয়া নিয়ে যখন মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবি মহলে তোলপাড়। যখন এই গুণী শিল্পীর চলে যাওয়ার পরও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়া নিয়ে সর্বমহলে উঠেছে নিন্দার ঝড়। ঠিক সে সময়েই আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানের বুর্জোয়া আয়োজকদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে দেশের প্রথম শ্রেণির একটি দালাল দৈনিক পত্রিকা। আর পাঠকের হয়তো বঝতে বাকি নেই যে, কোন পত্রিকাটির কথা বলছি? “সব সুরেই বেদনার আঁচড়” শিরোনামে রিপোর্টটি করেছে যৌথভাবে আশীষ-উর-রহমান ও হারুন আল রশিদ। রিপোর্টটিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ডিফেন্স দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে কেন কাইয়ূম চৌধুরীর মুত্যু সংবাদ সেখানে পৌছানোর পরও কেন চালিয়ে যাওয়া হয়েছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের এই অনুষ্ঠান?
রিপোর্টে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এর বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘কাইয়ুম চৌধুরী আর আমাদের মাঝে নেই। জীবন কখনো থেমে থাকে না। আমরা অনুষ্ঠান চালিয়ে যাব। কারণ, কাইয়ুম চাইতেন না যে এই অনুষ্ঠান থেমে যাক।’ এইতো সাধের দুনিয়া। যে কাইয়ুম এক মূহূর্ত আগে ছিলেন ওই অনুষ্ঠানের একজন সম্মানিত অতিথি। মারা যাওয়ার পরে তার সম্মানার্থে বন্ধ করা গেল না উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের সেই অনুষ্ঠান..! সেক্যুলারদের জন্য এরচেয়ে বড় শিক্ষা আর কি হতে পারে। এ যেন মরদেহ পাশে রেখে সঙ্গীত চর্চা। ব্যাপারটি দেশের সকল বিবেকবান মানুষের বিবেকে নাড়া দিলেও, ব্যপারটি মোটেই নাড়া দেয়নি ‘দালাল আলো’ পরিবারকে। আর তাই নির্লজ্জভাবে প্রমান করতে চেয়েছে যে, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত গাওয়ার মাধ্যমেই শোক প্রকাশ করা হয়েছে কাইয়ূম চৌধুরীর বিদেহী আত্মার প্রতি।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, প্রথম আলো সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার দ্বয় মারা গেলে আমাদের কি করনীয় তা ভেবে দেখার দরকার। আমরা তো জাতিগতভাবে আমাদের পিতা-মাতা বা কোন স্বজনের বিয়োগ কালে বা বিয়োগ পরবর্তী সময়ে দোয়া অনুষ্ঠান, কুরআন খানি কিংবা জানাযা ও মিলাদ মাহফিলের কথা চিন্তা করি ও এসবের আয়োজন করে মরহুম ব্যক্তির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
কিন্তু এই দালালদের জন্য একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে সমগ্র জাতির নিকট আমার কয়েকটি দাবীঃ
# এরা (যেখানে যে অবস্থাতেই মারা যাক) মারা গেলে কন্ঠশিল্পী মমতাজ বা রক স্টার মিলাকে সেখানে এনে মৃতের স্মরণে ওপেন কনসার্টের আয়োজন নিশ্চিত করা হোক।
# পরের বছর ঐ একই কনসার্টে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ আলী আকবর খান, ভীমসেন যোশী, গিরিজা দেবী, আমজাদ আলী খানসহ আরও অনেকই দক্ষিণের লালগুড়ি জয়রামন, টি এন কৃষ্ণান, বালমুরালি কৃষ্ণান, এল শুভ্রামানিয়ামদের এনে সেই অনুষ্ঠান তাদের নামে উৎসর্গ করা হোক।
# মৃত্যুর পর তাদের কবরে তবলা-লহরা, বাঁশি, হারমনিয়াম, সেতার, তাম্পুরা, সারিন্দা সহ সকল প্রকার বাদ্যযন্ত্র দিয়ে দেয়া হোক।
# আর এ আয়োজন সফল করতে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনকে আজীবন আয়োজক ঘোষণা করা হোক।
বিষয়: বিবিধ
১২৩৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন