জয় তাবলীগ...জয় হাম্বালীগ
লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নচারী মাঝি ২৭ অক্টোবর, ২০১৪, ০১:১০:৪৩ রাত
গতকাল নাস্তিক লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করে আইনের হাতে সোপর্দ করার দাবীতে হরতাল পালন করেছে সম্মিলিত ইসলামী দল সমূহ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে রসুল (স.), হজ্জ ও তাবলীগ জামাত নিয়ে কুরুচীপূর্ণ ও বেফাঁস মন্তব্য করেন লতিফ সিদ্দিকী। আর এ মন্তব্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার সাথ সাথে সারা বিশ্বের বাঙ্গালী মুসলমানেরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। আর এরই এক পর্যায়ে জনগণের আইওয়াশ করতে সরকার তাকে মন্ত্রীর পদ তেকে অব্যাহতি দেয়। কিন্তু অবাক হয়েছি তাবলীগের নামধারী মুসুল্লীদের রহস্যজনক নীরবতায়। তারা যে আল্লাহ ও তার রসুলের তুলনায় মুরুব্বীদের কথা ও কাজকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করে, তা আরও একবার প্রমাণিত হল। লতিফ সিদ্দিকী মিডিয়ার সামনে রসুল (স.), হজ্জ এবং তাবলীগের সরাসরি মুন্ডুপাত করলেও তাবলীগ জামাত যেন কিছুই শোনেনি। তাদের ভাবখানা এমন যেন দেশে কিছুই ঘটেনি। তাদের এ রহস্যজনক নিরবতা দেখে বারবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতার চরণ মনে পড়েছে। জাতীয় কবি বলেন:
“রাসুলের অপমানে যদি কাঁদে না তোর মন
মুসলিম নয় মুনাফেক তুই, রাসুলের দুশমন...”
তাবলীগ জামাতের হাজার হাজার অনুসারী মুসলমান, নাকি মুনাফিকের কাতারে পড়েন সে বিচারের দায় দায়িত্ব তাদের হাতেই ন্যস্ত করলাম। ইসলামের কথা বলবেন আর একই সাথে নাস্তিকদের গালি-গালাজের মৌন সম্মতি দিবেন(চুপ থাকা সম্মতির লক্ষণ) এটা হতে পারে না। ঈমান আমল আর ৬ উসূলের কথা বলবেন, আর ঘরের কোনে বসে ঈমান রক্ষার ফিকির করবেন, ইসলাম এই ফিকির শেখায় না। তাবলীগিদের এই অবস্থা দেখে ছোট বেলার একটা কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় আমার এক বন্ধু বলতেন, ছাত্র বয়সে ছাত্রলীগ, একটু বয়স বাড়লে যুবলীগ, পূর্ণ বয়সে আঃ লীগ, মাদ্রাসার বারান্দা বা তার আশেপাশে ঘুরে আসলে ওলামা লীগ আর বুড়ো বয়সে যখন সহজ উপায়ে জান্নাত লাভের খায়েশ হয় - তখন নাম হয় তাবলীগ। যদি তাই না হবে আঃ লীগের মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর এ বেফাঁস মন্তব্যে তাদের মধ্যে কেন কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়নি। হতে পারে তাবলীগের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে ওনারা উদারতার কারণে মনে কষ্ট নেন না। কিন্তু যেখানে সরাসরি আল্লাহর রাসূলকে কটাক্ষ করা হয়েছে, ইসলামের মৌলিক পাঁচটি স্তম্ভের একটি হজ্জ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে, সেখানে তাদের নীরবতা এটাই প্রমাণ করে মুখে ইসলামের কথা বললেও মূলতঃ তাবলীগ জামাত একটি মুনাফিকদের আখড়া। এখানে যারা আসে তারা সহজ উপায়ে, শর্টকাট মেথডে জান্নাত লাভ করতে চায়। অথচ আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেছেন:
“তোমরা কি এ কথা মনে করেছ যে, এমনিতেই তোমরা বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে,? অথচ এখনও তোমাদের উপর ঐ সব অবস্থা আসেনি, যা তোমাদের আগে যারা ঈমান এনেছিল তাদের উপর এসেছিল। তাদের উপর দিয়ে কঠিন অবস্থা গিয়েছে, বিপদ-আপদ এসেছে, তাদেরকে কাঁপিয়ে তুলেছে, এমনকি শেষ পর্যন্ত রাসুল (স.) নিজে এবং যারা তাঁর সাথে ঈমান এনেছিলেন, তারা চিৎকার করে বলে উঠেন যে, আল্লাহর সাহায্য কখন আসবে? তখন তাদেরকে সান্তনা দেয়া হয়েছে যে, আল্লাহর সাহায্য নিকটেই। (সূরা বাক্বারা: আয়াত- ২১৪)
বিষয়: রাজনীতি
১৬৫০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তোমরা কি মনে কর যে, তোমাদের ছেড়ে দেয়া হবে এমনি, যতক্ষণ না আল্লাহ জেনে নেবেন তোমাদের কে যুদ্ধ করেছে এবং কে আল্লাহ, তাঁর রসূল ও মুসলমানদের ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করা থেকে বিরত রয়েছে। আর তোমরা যা কর সে বিষয়ে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত (আত তাওবাহ-১৬)
তাবলীগ জামাত তো জিহাদকেই মানে না , অথছ জিহাদ ফর্য ,
তাহলে তাবলীগ কোন ইসলাম ?
কারো জানা থাকলে বলবেন , দয়া করে
আপনার আবেগ স্বাভাবিক,লেখনীতেও যুক্তি আছে। বর্তমান অবস্হায় দ্বীনের প্রয়োজনে তাদের কাজ কেও ফেলে দেয়া যায় না। তাবলীগের ৯০% দ্বীনের ব্যাপারে অশিক্ষিত মুর্খ,যারা আগে নামাজ তো দূরে'কালিমা তাইয়েবা'টাও জানতো না।তারাই অনেক বিষয় জানছে 'তাবলীগের' মাধ্যমে।
অপরের দোষ দেখার আগে নিজের টা দেখলে অনেক বিতর্ক এড়ানো যায়।
`রাসুলের অপমানে যদি কাঁদে না তোর মন
মুসলিম নয় মুনাফেক তুই, রাসুলের দুশমন...”
এই তাবলীগ সবসময় নীরবই ছিল এবং কেয়ামত পর্যন্ত নিরবই থাকবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন