ফলদাতা মহীরূহ!

লিখেছেন লিখেছেন ইনতিজামুল ইসলাম ৩০ মার্চ, ২০১৫, ০৫:০১:৩৪ বিকাল

মনের দুয়ার সবার জন্যে খোলা রাখা আর মন ছিনতাই বা চুরি হয়ে যাওয়া, এ দু’টি ফ্যাক্ট কি মিউচুয়ালি ইনক্লুসিভ? অর্থাৎ, মনে সবার ফ্রী এক্সেস থাকলেই যে তা কারো না কারো মাধ্যমে চুরি হবে, এমন কোন কথা আছে? যে মনে সবার ফ্রী এক্সেস থাকে সে মনের জন্যে নিচের কথাগুলি।

ধরুন, তপ্ত দুপুরে অনেক দীর্ঘ একটি পায়ে হাটার রাস্তা দিয়ে কোন পথিক হেটে যাচ্ছে। অনেক ক্লান্ত সে। পথে একটি বটগাছের দেখা মিলল। সে বটের ছায়ায় বিশ্রাম করল কিছুক্ষন, এবং মোটামোটি ক্লান্তি দূর করে পুনরায় হাটা শুরু করল।

অথবা বিশাল সুমিষ্ট ফলদায়ক এক বৃক্ষের দেখা মিলল, যেখান থেকে সে ক্লান্তি এবং ক্ষিদে দু’টোই দূর করল এবং পুনরায় গন্তব্যপানে ছুটে চলল।

অথবা দেখা মিলল পথের উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কিছু কাঁটা গুল্মের, যেগুলি পথিকের চলার পথে বারবার বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে। সেগুলিকে সরিয়ে বা মাড়িয়ে সেগুলির উপর একরাশ বিরক্তি ছড়িয়ে দিয়ে পথিক এগিয়ে চলল।

আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের একটি নিজস্ব পরিমণ্ডল আছে। একান্তই নিজস্ব। এই পরিমণ্ডলটাকে আমরা উপরোল্লিখিত তিনটি ফিকশনের যেকোন একটি হিসেবে ধরে নিতে পারি(উদাহরন হিসেবে)। প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে ক্লান্ত হয়ে অসংখ্য মানুষ(এর মধ্যে মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান, বন্ধু, শত্রু, সবাই অন্তর্ভুক্ত) আসে একটু বিশ্রাম বা পরিতৃপ্তির জন্যে। কেউ বটগাছ হয়ে ক্লান্তি দূর করে, কেউ বা পরিতৃপ্ত ও প্রফুল্ল করে দেয়, আর কেউ ক্লান্তি ও দুশ্চিন্তা আরো বাড়িয়ে দেয়।

মজার ব্যাপার হলো, প্রত্যকেই আমরা কোন কোন ক্ষেত্রে পথিক, আবার কখনো কখনো পথের পাশের সেই উপকারী বা অপকারী সঙ্গি। এই দুই অবস্থার বাইরে আমরা কখনোই থাকি না।

আজ থেকে সবাই যদি ক্লান্তি দূর করে পরিতৃপ্ত করার দায়িত্ব নিয়ে নেয়, তাইলে প্রাণচঞ্চল পথিকের দীপ্ত পদভারে কাঁটা-গুল্মগুলি ধীরে ধীরে নুয়ে পড়তে বাধ্য হবে। সেদিন দেখার প্রত্যাশা রাখি।

বিষয়: বিবিধ

১০৯৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

311854
৩০ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫০
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : বাহ, কি সুন্দর উপলব্দি!

আপনার মত ভাবার চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ সুন্দর লিখাটি শেয়ার করার জন্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File