এ কোন সভ্যতার বর্ণময় পৃথিবী

লিখেছেন লিখেছেন ভোরের শিশির ০২ মে, ২০১৪, ০২:২২:৩৩ রাত



ফুলের মত জম্ম হয়েছিল এই নবজাতক শিশুরা। দুচোখ মেলে দেখেছিল এই সুন্দর পৃথিবী। সুপ্রিয় পাঠক দেখুন আজ তারা কোথাই! খরঘোশের যেমন আছে একটি গর্ত পাখির আছে তেমন একটি বাসা । কিন্তু এ অবহেলিত মানব সন্তানদের কি আছে? কিছুই নেই। ওরাই এই স্বাধীন বাংলাদেশের অবহেলিত মানব সন্তান। যে বয়সে ছেলেমেয়েরা বই-খাতা, কলম নিয়ে স্কুলে যাবে, যে বয়্সে ওরা বাবা-মার পরম স্নেহ থেকে নিরাপত্তা অনুভব করবে ঠিক সেই বয়সে আমি তাদেরকে দেখেছি য্ন্ত্রনাময় কাটাপথে। গোধূলীর শেষ রংটুকু মুছে গিয়ে নেমে আসে সন্ধা, তেমনি এক গোধূলী লগ্নে আমি ঘুরে ঘুরে দেখেছি কতদিন কতরাত এই যন্ত্রনার কাটাপথে অসক্ষ মানব সন্তান অসক্ষ ক্ষুধার মুখ পরে আছে পুত্পাতে,বাসটার্মিনালে আর এই স্বাধীন বাংলাদেশের ডাসভীনে। অন্তবিহীন কালো আকাশতলে দাডিয়ে আমি সেদিন চিত্কার করে বলেছিলাম "এ কোন সভ্যতার বর্ণময় পৃথিবী"

আজো কেন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে মায়েদের চোখে জল!! আজো শুনা যায় অভূক্ত মানুষদের আর্তনাৎ চিত্কার!!! সৃতির বেদনার চাঁদ ডোভে যায় নীল আকাশে, সৃতি তবু বেচে থাকে স্বাসত কান্নায় জীবনের শেষ প্রান্তে। তাইতো এই স্বাধীন বাংলাদেশের অবহেলীত মানব সন্তানেরা সৃতির প্রদিপ জেলে জেগে আছে অতন্দ্র পহরীর মত। তবুও তারা এক টুকরো রুটি পাওয়ার আশা নিয়ে সংগ্রাম করে যাচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন মাটিতে। জীবন যাদের কাছে প্রতিনিয়ত স্ংগ্রাম। যাদের জীবন কাটে খোলা আকাশের নিছে, এই স্বাধীন বাংলাদেশের ডাসভীনে। আমি সেই সব স্ংগ্রামী ছেলে মেয়েদের কথাই বলছি। জীবন মানে স্ংগ্রাম হলে আর সে স্ংগ্রাম যদি হয় একমাত্র বেচে থাকার স্ংগ্রাম, হওকনা সেই সংগ্রাম য্ত নিষ্ঠুর, কুৎছিৎ ও ঘৃণার। সে জীবন ও ত জীবন।তবু স্বপ্ন তবু বেচে থাকা। ওরা স্বপ্ন দেখে। ওরা বাচতে চাই। আশায় বুক বাধে। স্বপ্ন দেখে আগামী দিনের, কবে শেষ হবে গ্লানিময় জীবন? এদেশের মানুষ জীবন বাজী রেখে এনেছিল প্রিয় স্বাধীনতা। জীবন দেখবে এক নতুন দিগন্ত। কিন্তু না! থমকে গেল কালের চাকা। পূর্বের নানা ঊক্ষতান পতনের ইতিহাসকে বাদ দিয়েও এতগুলো বছর কেটে গেল,

[u]আজো পরাধীনতার শৃঙ্গলে বাধা স্বাধীন এই বাংলাদেশের মানুষ। আজো এ দেশের মানুষ গুম হওয়ার আতক্ষ নিয়ে রাত্রি জাগে। আজো প্রতিদিন শত শত মানব সন্তানের রক্তে সিক্ত হয় এ স্বাধীন বাংলার জমিন।[/u]

আজো ক্ষুধার রাজ্যে গদ্যময় পৃথিবীতে এক টুকরো শুকনো রুটি পাওয়ার আশা নিয়ে সংগ্রাম করে যাচ্ছে অবহেলীত এই মানব সন্তানেরা। আজ স্বাধীনতা প্রশ্নবৃদ্ধ। স্বাধীনতা কাদের জন্য? দেশের সাধারণ মানুষ যাদের দেশের রক্ষক বানিয়েছে তারাই আজ বক্ষকের ভূমিকায়। তাহলে স্বাধীনতা কি লুটেরাদের লুন্ঠিত সম্পদ?

বিষয়: বিবিধ

৪১৭৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

216652
০২ মে ২০১৪ রাত ০৯:২৪
আফরা লিখেছেন : আপনার আবেগ দিয়ে সুন্দর একটা লেখা আমিও চেয়েছিলাম সুন্দর একটা কমেন্ট করতে কিন্তু আমার ভাষাগত দূর্বলতার কারনে পারলাম না ভাইয়া ।
০২ মে ২০১৪ রাত ১১:২১
164865
ভোরের শিশির লিখেছেন : আবেগ দিয়ে কল্পনার রাজ্যে বিবরণ করা যায় কিন্তু বাস্তবতা অনেক কঠিন।
আমি বিবেকের দায়বদ্ধতায় এই কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরার চেষ্ঠা করেছি মাত্র।
216839
০৩ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
আমি মুসাফির লিখেছেন : আমি মনে করি সমাজে বৈষম্য দুর করতে হলে জাকাত চালু করতে হেব আর জাকাত চালু করতে হলে ইসলামী জীবন ব্যবস্থা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে তাহলেই গরীবদের এমন অবস্থা থেকে মুক্ত করা যাবে।
০৩ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৪২
165096
ভোরের শিশির লিখেছেন : ঠিক বলেছেন ভাইয়া। একমাত্র যাকাত ভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যাবস্থাই এই স্বাধীন বাংলাদেশের অবহেলিত মানব সম্তানদের মুক্তির পথ সুগম কর্তে পারে।
218196
০৬ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১২
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : সমাজের কষ্টে আমরা কষ্ট পাই কিন্তু কষ্টের কারণ কয় জনে জানতে চাই ?
অনেক বলেও লিখেছেন
০৮ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৫১
166909
ভোরের শিশির লিখেছেন : এর কারন হচ্ছে প্রতিহিংসার রাজনীতি। আর পার্শবর্তিদের পা চাটা শাসক। আজ এ দেশ আর দেশের মানুষ দুষ্ট রাজনীতির শিকার।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File