আগামী ৫০ বছর পরে কেমন হতে পারে প্রযুক্তির গতি-প্রগতি
লিখেছেন লিখেছেন খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ০২ মে, ২০১৬, ০৪:৫৮:৫২ বিকাল
আগামী ৫০ বছর পর তথ্যপ্রযুক্তি কতটা উন্নত হবে? কেমন হবে তখনকার যোগাযোগ ব্যবস্থা? এখনকার মোবাইল আর ইন্টারনেটের গতি-প্রকৃতি কেমন হবে?
এখন থেকে ৫০ বছর আগেও মানুষ ভাবতে পারেনি যে সবার হাতে হাতে মোবাইল থাকবে আর পৃথিবীর এক প্রান্তে বসে অন্য প্রান্তের মানুষের সাথে সরাসরি ভিডিও কলে কথা বলা যাবে। এরকম কোনো কথা তখন যদি কেও বলতো, তখন তাকে পাগলই বলা হতো নিশ্চয়। তবে সেটাই এখন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এরকম অনেক কিছুই হবে, যা ভাবেনি কেও আগে। এই তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির গতিও চক্রবৃদ্ধি আকারে বাড়ছে। এখন থেকে গত দশ বছর বাদ দিয়ে তার আগে একশত বছরে যা হয়নি তা গত দশ বছরে হয়ে গেছে। একইভাবে আগামী দশ বছরেও তাই হবে যা গত একশত বছরে হয়নি। আগামী ৫০ বছরে যা হবে বলে আমরা ধারণা করব, তা হয়ত বাস্তবে রূপ নেবে আগামী দশ বছরের মধ্যে। সাধারণ মানুষের চিন্তার চেয়েও বেশি দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে প্রযুক্তির অগ্রগতি।
আগামী ৫০ বছর পরে কেমন হতে পারে প্রযুক্তির গতি-প্রগতি? হতে পারে এরকম। মোবাইল, কম্পিউটার মানুষের হাতে হাতে থাকবে না। এখন মোবাইল ও কম্পিউটার দিয়ে আমরা যেসব কাজ করছি তার চেয়েও হাজার গুন বেশি কাজ আমরা করতে পারব হাতে বা পকেটে কোনো ডিভাইস বহন না করেই। যেমন আগামী ৫০ বছরের মধ্যে মানুষ তার সামনে পাওয়া যেকোনো বস্তুকেই তার প্রয়োজনে ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করবে। দেয়াল, গাড়ি, বেড-বিছানা, গাছ-পালা এমনকি নিজের হাত অথবা অন্যের পিট পর্যন্ত সে নিজের প্রয়োজনে ডিভাইসের মত ব্যবহার করবে। প্রথম দিকে মানুষ এর জন্য সামনের সেই বস্তুটিতে (যেমন দেয়াল) যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তাকে ব্যবহারোপযোগী করলেও পরে সেই সিস্টেম স্থায়ী হবে না। এর কিছু দিন পরেই মানুষ নিজের শরীরে এমন অদৃশ্য শক্তি ব্যবহার করবে যার দরুন তার সামনের যেকোনো জিনিসকেই সে প্রয়োজনে ডিভাইসের মত ব্যবহার করতে পারবে। সামনের দেয়াল, গাছপালা, গরু-ছাগল, নিজের হাত বা অন্যের পিট, এমনকি মাটিকে পর্যন্ত সে ব্যবহার করে নিজের কাজ সারবে। অর্থাৎ যেকোনো জিনিসের প্রতি সে দৃষ্টি বা মনোযোগ দেবে সাথে সাথে সেই জিনিস কম্পিউটার স্কিনের মত হয়ে যাবে। ভিডিও, দেখা কথা বলা, ভিডিও চ্যাট সব কিছুই সে তার সামনের যেকোনো জিনিসকে দিয়েই করে ফেলবে। এমনকি দূরের কোনো মানুষের গালে থাপ্পড় দেয়ার কাজটিও সে করে ফেলতে পারবে। তবে এর জন্য নিজের হাত ব্যবহার করতে হবে না। বরং মনোযোগের মাধ্যমে এমন আলোকরশ্মি সে ব্যবহার করবে যা দূরের সেই মানুষটি তার শরীরে থাপ্পড়ের মত অনুভব করবে। এমনকি এখনকার স্কিনটাস মোবাইলের মত আঙ্গুলও ব্যবহার করতে হবে না।
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৬ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন