সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মুছে দিয়ে ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখা বোকাদের পক্ষেই সম্ভব
লিখেছেন লিখেছেন খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ২৬ মার্চ, ২০১৬, ১০:৫৪:৩৩ রাত
সংবিধানে রাষ্ট্রভাষা বাংলা থাকলে অন্যান্য ভাষাভাষীদের সমস্যা হয় না, কিন্তু রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকলে অন্য ধর্মাবলম্বীদের সমস্যা হবে কেন? যেখানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখার সাথে সাথে অন্যান্য ধর্মেরও সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে, সেখানে এরকম কাল্পনিক সমস্যার কথা তুলে আদালতে মামলা করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দেশে ইসলাম ধর্মকে আসামীর কাঠগড়ায় দাড় করানো কোন ধরণের গণতন্ত্রের মধ্যে পড়ে তা আমরা বুঝতে পারি না। এটা কি সংবিধান থেকে ধর্মের নাম-গন্ধও মুছে ফেলার আস্ফালনের বাস্তবায়ন? নাকি দেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য আর কোনো অজুহাত না পেয়ে সংবেদনশীল ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার পায়তারা?
বি এন পি জামাতের রাজনৈতিক মিটিং মিছিল দমানোর মত মুসলমানদেরকেও দমিয়ে ফেলবে বলে যদি সেক্যুলাররা মনে করে থাকে, তাহলে তাঁদের হিসাবে যে ভুল আছে তা শুক্রবারের বিক্ষোভে এক প্রকার প্রমাণিত হয়ে গেছে। তারপরেও যদি সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মুছে দেয়ার অপচেষ্টা করা হয়, তাহলে বুঝতে হবে দেশ ও জাতিকে নিশ্চিত ধ্বংসের দিকে ইচ্ছে করেই তারা ঠেলে দিচ্ছে। “এর দায় তাদেরকে নিতে হবে” ধরণের হালকা কথা আমি বলতে রাজি নই। কারণ এদেশে কেও দায় নেয় না। এখানে হাজার কোটি টাকা চুরি করেও বলে যে, এটা সামান্য। আমি শুধু এতটুকু আন্দাজ করতে পারছি যে, যে বিদেশীদেরকে খুশি করে ক্ষমতার চেয়ার রক্ষা করার জন্য যারাই এই কাজটি করবে, তারা নিজেদের পায়ে কুড়াল মারবে। ক্ষমতার চেয়ার উলটে তো যাবেই, তারা বিদেশের মাটিতেও শান্তিতে থাকতে পারবে বলে মনে হয় না। তাসলিমা নাসরিন এখনো দেশে আসার জন্য চিৎকার করে কাঁদছে। কিন্তু তাকে দেশে আসার অনুমতি দেয়ার সাহস পাচ্ছে সেই তারাই, যারা ইসলামের উপর আঘাত করে ক্ষমতায় থাকার দিবাস্বপ্ন দেখছে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এদেশের কোন আইনই ইসলামের আলোকে হয় না । মনুষ্য আইনেই এখানকার বিচার কার্য সাধিত হয় ।
তাই শুধু নামে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে রাখা আর ইসলামের কোন হুকুম আহকাম পালন না করা - ইসলামকে অবমাননা করারই শামিল ।
এর চেয়ে বরং উঠিয়ে দেওয়াই ভাল । ভোটের সময়েই দেখা যাবে আসলে আমাদের দেশের এই ৯০% মুসলমানেরা শুধুই কি নামে নাকি কাজে মুসলমান ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন