আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রাখার বিষয়টি বাদ দিলে ইমান থাকে কিনা?

লিখেছেন লিখেছেন খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ০৮ মার্চ, ২০১৬, ১০:৪৭:১৯ রাত



আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রাখার বিষয়টি বাদ দিয়েছিল যারা এবং যারা এই বাদ দেয়াকে সমর্থন করেছে তাদের ঈমান আছে কিনা?

কেও বলবেন নাই। আবার কেও বলবেন আছে। যারা বলবেন আছে তারা বলতে চাইবেন যে সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা রাখার বিষয়টি বাদ দিলেও আমাদের অন্তরে ঠিকই আল্লাহর উপর আস্থা আছে। তাদের কাছে প্রথম প্রশ্ন, অন্তরে যা আছে তা সংবিধানে থাকলে সমস্যা কী?

তারা বলবেন এই দেশে হিন্দুও আছে। তারা কি আল্লাহর উপর আস্থা রাখতে বাধ্য?

উত্তরে বলব, না। তারা আল্লাহর উপর আস্থা রাখতে বাধ্য নয় এবং যত দিন সংবিধানে আল্লাহর উপর আস্থা রাখার বিষয়টি যুক্ত ছিল তত দিন কোনো হিন্দুকে কেও আল্লাহর উপর আস্থা রাখতে জোর করেনি। তাদের বিয়ে-শাদী থেকে শুরু করে সম্পদ বণ্টন পর্যন্ত সব কিছুই তাদের ধর্ম মতেই হচ্ছিল। এবং সংবিধানে তাদের পূর্ণ অধিকারের কথাও বলা হয়েছিল। তবুও হঠাৎ আল্লাহর উপর আস্থা রাখার বিষয়টি বাদ দিতে হল কেন?

আর যদি সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতই গণতন্ত্রের মূল নীতি হয়, তাহলে এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কি আল্লাহর উপর আস্থা রাখে না?

তবুও যদি মনে করেন যে সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা রাখার বিষয়টি বাদ দিলে কোনো সমস্যা নাই। তাহলে সেখানে কী লেখা ছিল তা আরও একবার পড়ে দেখুন। তারপরে বলুন তা বাদ দেয়া হলে ইমান থাকবে কিনা? সেখানে বলা ছিল ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসই হইবে যাবতীয় কার্যাবলীর ভিত্তি' এখানে আস্থা মানে তাওয়াককুল বা ভরসা। সমস্ত মুসলমান আল্লাহর উপরই ভরসা করেন। এতে কোনো সন্দেহ নাই। আর বিশ্বাস মানে ইমান। আল্লাহর উপরই সমস্ত মুসলমান ইমান রাখেন। সমস্ত কাজ আল্লাহর উপর ভরসা করে এবং আল্লাহর উপর ইমানের সাথেই করা হবে। এই কথা বাদ দিলে কী দাঁড়ায়? কোনো কাজ আল্লাহর উপর ভরসা করেও করা হবে না এবং আল্লাহর উপর ইমান রেখেও করা হবে না। এই কথার উপর যদি আপনি সমর্থন দেন তখন আপনার ইমান আছে কিনা তা আপনিই চিন্তা করে দেখুন।

আমাদের কাজ বলে দেয়া। সেটা বলে দিলাম। এবার সিদ্ধান্ত আপনার।

বিষয়: বিবিধ

১৫০৬ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

361867
০৮ মার্চ ২০১৬ রাত ১১:২৯
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু সুহৃদ ভাইয়া। গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় উপস্থাপন করার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
০৮ মার্চ ২০১৬ রাত ১১:৩৭
299884
খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : ওয়ালাইকুমুস সালাম। ইদানীং আবার নাকি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার ব্যবস্থা করছে। তারা ইসলাম আর মুসলমানদের সাথে এত শত্রুতা করছে যে তাদেরকে উচিত জবাব না দিলে কোনো মুসলমানকেই তারা দেশে রাখবে না মনে হয়।
ব্লগের অবস্থাও আগের চেয়ে খারাপ। সেই ব্লগের ভিজিটর বাড়ানোর অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে কিন্তু কাজ হচ্ছে না। আসলে তেমন বেশি কিছু করাও হচ্ছে না। এদিকে লীগের আক্রমন চলছেই কিছু দিন পর পর। তো যাইহোক ছোট আপু কেমন আছেন?
361869
০৮ মার্চ ২০১৬ রাত ১১:৩৭
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ পিলাচ
০৮ মার্চ ২০১৬ রাত ১১:৩৮
299885
খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
ব্লগের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য আপনার পরামর্শ কী?
আমি কিন্তু মডারেটর নই। তবুও জিজ্ঞেস করলাম। হয়ত আমাদের আলাপ থেকে তারা কিছু পেতেও পারেন।
361873
০৮ মার্চ ২০১৬ রাত ১১:৪১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ। আসলে আল্লাহ তে তাদের বিশ্বাস ই নাই।
০৮ মার্চ ২০১৬ রাত ১১:৪৫
299886
খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : হুম্ম। কাজে কর্মে তাই মনে হয়। কিন্তু মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য এরাই নিজেদেরকে হাজি আর নামাজি বলে প্রচার করছে। আবার ইসলামের সেবকও বলে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
361905
০৯ মার্চ ২০১৬ সকাল ০৫:০২
শেখের পোলা লিখেছেন : মিয়া ভাই,খারাপ না লাগলে বলি।-আমাদের সংবিধানে আললাহর উপর ভরসা রাখার কথা লিখে রাখা আর দাড়ি রেখে জোব্বা পরে জেনা করার মাঝে কি কোন পার্থক্য দেখেন৷ দেয়ালে লিখলেন,'পেসাব করা নিষেধ'মানুষ সেখানে যদি পায়খানা করে তবে ঐ লেখাটাকে কি অপমান করা হল না? তাই বলি সংবিধানে লিখে তার উল্টা কাজ করে লেখাটির অপমান না করে বরং মুছে দেওয়াই ভাল৷
আসুন শুধু লিখে নয়,কোন কাজই আল্লার আইনের বাইরে হবেনা বলি ও তা সংসদে বাস্তবায়ন করি৷ আল্লাহ বলেন,-'কাব্বিরহু তাকবীরা'৷ তার মর্যাদায় তাকে বড় কর৷ আমাদের সংসদ কিংবা সুপ্রীম কোর্ট যেটা বেশী বড় সেখানে আল্লাহকে বসাই৷ অর্থাৎ তার আইন বা কোরআনকে অগ্রাধিকার দেই৷ তবেই হবে প্রকৃত কাজ৷ ধন্যবাদ
১০ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০১:১৬
300004
খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : আপনার কথা ত ঠিক আছে। এখন ত জান বাঁচানো ফরজ হয়ে গেছে। রাষ্ট্রীয়ধর্ম ইসলাম তুলে দেয়ার পর নামজ পড়া ও কোরান পড়াকে অপরাধ হিসেবে গন্য করবে। যেমন তুরস্কে করেছিল। তাই
১০ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৫০
300045
শেখের পোলা লিখেছেন : আমরাতো মুসলীম হিসেবে নামাজ রোজা সহ আল্লাহর পথে থাকার কথা চিন্তা না করে স্বাধীনতা চেয়েছিলাম৷ আল্লাহ তা দিয়েছে৷ কিছু পেতে হলে কিছু দিতেতো হবেই৷ যারা ইসলামনিয়ে থাকতে চেয়ে ছিল একে একে তাদের ফাঁসী দিয়ে দেশকে আরও তুলসীপাতা বানাচ্ছি৷ছোটমুখে বড় কথা বলায় দুঃখিত৷
361940
০৯ মার্চ ২০১৬ দুপুর ১২:০৯
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই আসলে যারা এই আইন পাশ করতেছে তারা কি মুসলিম??? আমার তো মনে হয় তারা অমুসলিমের চেয়েও খারাপ!! যদিও তারা লোক দেখানো নামায পড়ে, হজ্ব করে! যুগে যুগে এই মুনাফিকেরাই ইসলামের সবচেয়ে বেশি লোকসান করেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে
১০ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০১:১৭
300005
খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও।
362093
১০ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০০
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : সংবিধানে আল্লাহ্‌র উপর আস্থার বিষয়টি থাকার পরেও এর প্রতি সুবিচার করতে পারছেনা, যার উপর ভরসা করতে পারেনা, করে অন্তাযদের উপর, তা থেকে লাভ কি, এই জন্য সরিয়ে ফেলা হচ্ছে!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File