হিজরী নববর্ষের শুভেচ্ছা, স্বাগতম ১৪৩৭ হিজরী

লিখেছেন লিখেছেন খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ১৫ অক্টোবর, ২০১৫, ১১:৩৪:৪০ সকাল



নববর্ষের শুভেচ্ছা

হিজরী ১৪৩৭ সালে পদার্পণ করলাম আমরা। মহাকালের গর্ভে হারিয়ে গেল আরও একটি বছর। আমাদের জীবনের নির্দিষ্ট সময় থেকে আরো একটি বছর ফুরিয়ে গেল। শত চেষ্টা করেও সেই বছরটাকে আর ফিরে পাওয়া যাবে না। কবি বলেছেন,

জমাট বাঁধা কষ্ট গুলো

অশ্রু হয়ে ঝরে

ফুরিয়ে যাওয়া দিন গুলোকে

শুধুই মনে পড়ে।

এত কিছু করেও তাকে

যায় না ফিরে পাওয়া

দিন ফুরালেই অতীত বিলীন

অকস্মাতই হাওয়া।

কবরের আরো কাছাকাছি এসে গেলাম আমরা। জীবনের ভুল-ত্রুটিগুলোর জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে মুহররমের নতুন চাঁদ। বিগত বছরে জেনে বা না জেনে আমরা আল্লাহর অনেক হুকুমের অবাধ্য হয়েছি। তবে সুখের খবর হলো আল্লাহ মেহেরবানী করে আমাদের জন্য তওবার পথ এখনো খোলা রেখেছেন। মৃত্যু একেবারে গলার কাছাকাছি চলে আসার আগ পর্যন্ত তওবার দরজা আল্লাহ খোলা রাখবেন। তবে কখন সেই মৃত্যুর সময়টা চলে আসে আমরা কেও জানি না। তাই তওবা এখনই করে নিতে হবে। আল্লাহ তওবাকারীর তওবা করুন করেন। তিনি বলেন,

এই আয়াতগুলোর প্রতি খেয়াল করলে আল্লাহর প্রতি আরো বেশি রহমতের আশা অন্তরে জাগবে।

نَبِّئْ عِبَادِي أَنِّي أَنَا الْغَفُورُ الرَّحِيمُ [١٥:٤٩]

আপনি আমার বান্দাদেরকে জানিয়ে দিন যে, আমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল দয়ালু।

قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَىٰ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ [٣٩:٥٣]

বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

وَالَّذِينَ عَمِلُوا السَّيِّئَاتِ ثُمَّ تَابُوا مِن بَعْدِهَا وَآمَنُوا إِنَّ رَبَّكَ مِن بَعْدِهَا لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ [٧:١٥٣]

আর যারা মন্দ কাজ করে, তারপরে তওবা করে নেয় এবং ঈমান নিয়ে আসে, তবে নিশ্চয়ই তোমার পরওয়ারদেগার তওবার পর অবশ্য ক্ষমাকারী, করুণাময়।

ثُمَّ إِنَّ رَبَّكَ لِلَّذِينَ عَمِلُوا السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ تَابُوا مِن بَعْدِ ذَٰلِكَ وَأَصْلَحُوا إِنَّ رَبَّكَ مِن بَعْدِهَا لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ [١٦:١١٩]

অনন্তর যারা অজ্ঞতাবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর তওবা করে এবং নিজেকে সংশোধন করে নেয়, আপনার পালনকর্তা এসবের পরে তাদের জন্যে অবশ্যই ক্ষমাশীল, দয়ালু।

أَفَلَا يَتُوبُونَ إِلَى اللَّهِ وَيَسْتَغْفِرُونَهُ ۚ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ [٥:٧٤]

তারা আল্লাহর কাছে তওবা করে না কেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে না কেন? আল্লাহ যে ক্ষমাশীল, দয়ালু।

ثُمَّ يَتُوبُ اللَّهُ مِن بَعْدِ ذَٰلِكَ عَلَىٰ مَن يَشَاءُ ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ [٩:٢٧]

এরপর আল্লাহ যাদের প্রতি ইচ্ছা তওবার তওফীক দেবেন, আর আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

إِلَّا الَّذِينَ تَابُوا مِن بَعْدِ ذَٰلِكَ وَأَصْلَحُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ [٢٤:٥]

কিন্তু যারা এরপর তওবা করে এবং সংশোধিত হয়, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম মেহেরবান।

وَمَن يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللَّهَ يَجِدِ اللَّهَ غَفُورًا رَّحِيمًا [٤:١١٠]

যে গোনাহ, করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময়

فَمَن تَابَ مِن بَعْدِ ظُلْمِهِ وَأَصْلَحَ فَإِنَّ اللَّهَ يَتُوبُ عَلَيْهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ [٥:٣٩]

অতঃপর যে তওবা করে স্বীয় অত্যাচারের পর এবং সংশোধিত হয়, নিশ্চয় আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।

إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَٰئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا [٢٥:٧٠]

কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তিত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

وَآخَرُونَ اعْتَرَفُوا بِذُنُوبِهِمْ خَلَطُوا عَمَلًا صَالِحًا وَآخَرَ سَيِّئًا عَسَى اللَّهُ أَن يَتُوبَ عَلَيْهِمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ [٩:١٠٢]

আর কোন কোন লোক রয়েছে যারা নিজেদের পাপ স্বীকার করেছে, তারা মিশ্রিত করেছে একটি নেককাজ ও অন্য একটি বদকাজ। শীঘ্রই আল্লাহ হয়ত তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। নিঃঃসন্দেহে আল্লাহ ক্ষমাশীল করুণাময়।

ثُمَّ إِنَّ رَبَّكَ لِلَّذِينَ عَمِلُوا السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ تَابُوا مِن بَعْدِ ذَٰلِكَ وَأَصْلَحُوا إِنَّ رَبَّكَ مِن بَعْدِهَا لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ [١٦:١١٩]

অনন্তর যারা অজ্ঞতাবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর তওবা করে এবং নিজেকে সংশোধন করে নেয়, আপনার পালনকর্তা এসবের পরে তাদের জন্যে অবশ্যই ক্ষমাশীল, দয়ালু।

হিজরী নববর্ষ আমাদের কে দীনের জন্য ত্যাগ শিক্ষা দেয়। রাসুল সঃ দীনের জন্য নিজ বাড়ি-ঘর আত্মীয়স্বজন ছেড়ে মক্কা থেকে মদিনা হিজরত করেছিলেন। সেই থেকে হিজরী বর্ষের গগনা শুরু হয়।

বিগত বছরের ভুল-ত্রুটি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে শুরু হোক নতুন উদ্যমে নতুন বছরে পথ চলা।

বিষয়: বিবিধ

১৬৭২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

345826
১৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:০৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আপনাকেও শুভেচ্ছা।
১৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:৩৮
286991
খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : ধন্যবাদ
345878
১৬ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৮:০১
হতভাগা লিখেছেন : ইংরেজী নববর্ষ , বাংলা নববর্ষকে আমাদের এখানে যেভাবে বরণ করে নেওয়া হয় হিজরী নববর্ষকে কি সেভাবে কি বরণ করা হয় ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File