নির্দিষ্ট স্থানে গরু নিয়ে কোরবানী করতে হলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
লিখেছেন লিখেছেন খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০২:৫৩:২৮ দুপুর
নির্দিষ্ট স্থানে গরু নিয়ে গিয়ে কোরবানী করতে হবে। সরকার এরকম নিয়ম করতে যাচ্ছে। এতে কী কী সমস্যা হতে পারে?
১। কোরবানীর গোস্ত হাতে পেতে দুই তিন দিন লেগে যেতে পারে।
২/ কেও কেও গরু নেবে ঠিকই কিন্তু গোস্ত হাতে পাবে না।
৩/ মানুষ নির্দিষ্ট স্থানে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় সোনার ছেলেরা একবার চাঁদা নেবে,আবার গোস্ত নিয়ে আসার সময় আরেকবার চাঁদা নেবে।
৪/ কিছু কিছু পুলিশ চাঁদাবাজির একটা সুযোগ পাবে।
৫/ কেও কেও গোস্ত হাতে পেলেও গরুর চামড়া সোনার ছেলেদের জন্য ফ্রীতে দিয়ে আসতে হবে।
৬/ এরকম অবস্থা দেখে মানুষ বলেই দেবে যে, আগামীতে আর কোরবানী করব না।
৭/ ঘরে কোরবানি করতে পরিবারের সবাই যে আনন্দ উপভোগ করে তা মাটি হবে।
৮/ গোস্ত বন্টন করতো আগে কোরবানীদাতা। আর এখন করবে সোনার ছেলেরা।
৯। আত্মীয়স্বজন আর গরীব-মিসকিনদেরকে গোস্ত দেয়ার সুযোগ হবে না। কারণ সেই অংশ সোনার ছেলেরা আগেই নিয়ে নেবে।
১০/ কোথাও কোথাও কোরবানীতে বিঘ্ন সৃষ্টি করার কারণে মানুষ গরুর বদলে সোনার ছেলেদেরকেই কোরবানী করে ফেলতে পারে। এর ফলে মামলা মোকাদ্দমায় জড়াতে হবে।
১১/ পরিবারের বাচ্চাদের খুশি মাটি হবে সবার আগেই।
১২/ কোরবানীর গোস্ত দিয়ে প্রথম রুটি বা ভাত খাওয়া কারো পক্ষেই সম্ভব হবে না।
১৩/ নির্দিষ্ট স্থানে যারা গরু জবেহ করার জন্য সরকারের নিযুক্ত যেসব ব্যাক্তি দা ছুরি নিয়ে প্রস্তুত থাকবে তাদেরকেও চাঁদা দিতে হবে।
১৪/ নির্দিষ্ট স্থানে গরু নেয়া আর জবেহ করে গোস্ত নিয়ে আসার যদি সুযোগ হয়ও তবে গাড়ি ভাড়া গুনতে হবে কয়েকগুণ বেশি।
১৫/ গাড়িতে কেও গোস্ত তুলতে চাইবে না। তখনও সোনার ছেলেদের একটা গ্রুপ চাঁদা নিয়ে তা বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব নেব। তবে বাড়িতে এসে দেখবেন গোস্ত অর্ধেক হাওয়া হয়ে গেছে।
১৬/ অনেকেই কোরবানীতে হয়রানী শিকার হবে বলে কোরবানীই করবে না।
আর????
১৭/
বিষয়: বিবিধ
১৮০১ বার পঠিত, ৮৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আগে কোন দিকে সেটাই পেশ্ন। হয়ত অধঃপতনের দিকে।
অন্তত ৫ টা...........
আমি ব্যক্তিগতভাবে এ উদ্যোগটির নীতিগত সমর্থক!! এটি যথাযথ ব্যবস্থায় বাস্তবায়িত হলে অনেক ভালো হবে নিঃসন্দেহে!!
এজন্য শহরে প্রতি ওয়ার্ডে এবং গ্রামাঞ্চলে প্রতি দু-তিন গ্রামে বা প্রতি ঈদগাহের আওতায় একটা করে জবাইখানা স্থাপন করতে হবে!!
উন্নত বিশ্বে সবার হাতেই মোটরযান, দূরত্ব কোন ব্যাপার নয়! কিন্তু বাংলাদেশের কয়জন মানুষ সেটা পারবে???
বাস্তবে কিন্তু খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ভাই যা যা বলেছেন সেটাই চিত্রায়িত হবে!
নীতিবিবর্জিত সরকারের ব্যবস্থাপনায় ঐসব নীতিকথা ও উচ্চমার্গের কল্যানকর নাগরিক ভাবনা মূল্যহীন হয়েই থাকবে!!
ধর্মের কোরাণ-হাদীস আক্রে ধরে এই অঞ্চলের মুমিনরা এখনো উন্নত হতে পারল না। অসভ্যই রয়ে গেল। আক্ষেপ। বর্বর ইসলাম ধর্মের ভুত মুমিনদের কাঁধ থেকে কবে নামবে?
তো, সহিহ ইসলাম শুধু হাবিবুল্লার মাঝেই আছে যিনি যত্রতত্র পশু জবাই করে দেশটাকে আস্তাকুর বানাতে চায়??
আমি ব্যক্তিগতভাবে এ উদ্যোগটির নীতিগত সমর্থক!! এটি যথাযথ ব্যবস্থায় বাস্তবায়িত হলে অনেক ভালো হবে নিঃসন্দেহে!!
এজন্য শহরে প্রতি ওয়ার্ডে এবং গ্রামাঞ্চলে প্রতি দু-তিন গ্রামে বা প্রতি ঈদগাহের আওতায় একটা করে জবাইখানা স্থাপন করতে হবে!!
উন্নত বিশ্বে সবার হাতেই মোটরযান, দূরত্ব কোন ব্যাপার নয়! কিন্তু বাংলাদেশের কয়জন মানুষ সেটা পারবে???
বাস্তবে কিন্তু খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ভাই যা যা বলেছেন সেটাই চিত্রায়িত হবে!
নীতিবিবর্জিত সরকারের ব্যবস্থাপনায় ঐসব নীতিকথা ও উচ্চমার্গের কল্যানকর নাগরিক ভাবনা মূল্যহীন হয়েই থাকবে!!
তবে আমাদের দেশে যার যার বাড়িতে সবাই এক সাথে থেকেই কুরবানী করাটা অনেক আনন্দের বিষয়, এ আনন্দটা অনেকেই মিছ করবে, এতে করে অনেকেই কুরবানী করতে নিরুতসাহিত হবে।
কোরবানী নিরুৎসাহিত করার কৌশলী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার!
প্রয়োজনে পরিষ্কার পরিছন্নতার জন্য নতুন কোনো পরিকল্পনা নেয়া যেতে পারে তবে কোরবানী যার যার সুবিধাজনক স্থানে হওয়া উচিত!
স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন ।
আসলে দেশে পরিবেশ আর নিরাপত্তা যদি থাকতো তাহলে সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতাম। কিন্তু পরিবেশ নাই বলে পোষ্টে উল্লেখিত সমস্যাগুলোর আশংকা করছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
তা আপনারা গরু দিচ্ছেন তো ঠিকঠাক মতো, নাকি?
ভবিষ্যতে বাচ্চাদের কুরবানী কি তা ঈদ ছাড়া গরু জবাই করে শিখাতে হবে।
তাহলে তো আকাজ, কুকাজ, খুন, ধর্ষন..... সব আল্লাই নিজ ক্ষমতা বলে করেন। মানুষের দোষ কি?
"যারা যারা কুরবানী করতে চান তারা তাদের কাংখিত টাকা আমাদের সোনার ছেলেদের হাতে জমা দিয়ে দিন। তাহলে আমরাই কুরানীর সমস্ত ঝামেলা সেড়ে আপনাদের বাড়ীতে গোশত পৌছে দিয়ে আসবো। অতঃপর .........
ধন্যবাদ।
ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আবু জারীর ভাই।
তাহলে বুঝা গেল আপনার আল্লা নিতান্তই অক্ষম, অথর্ব। একদল বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের কাছে তিনি নাস্তানাবুদ।
অথচ আপনাদের কাল্পনিক আল্লা নাকি নিজেকে পূজো করার জন্য বড় হাউস করে জ্বিন এবং মানব জাতিকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন @ জনাব হাবিবুল্লা।
ধন্যবাদনিন
ধন্যবাদ আপনাকে।
"আবুধাবীর মত পরিবেশ আর নিরাপত্তা" নেই। তাই যে যেখানে পারো পশু জবাই করে দেশটাকে আস্তাকুর বানিয়ে দাও। @ হাবিবুল্লাহ ভাই?
কিন্তু তাই বলে- আল্লার চাকর বাকর, চেলা চামুন্ডা.......রা যেখানে সেখানে পশু জবাই করে জনস্বাস্থ্য বিপন্ন করবে তা হতে পারে না।
আচ্ছা বলুন কেমন আছেন? আপনি কোন ধর্ম মানেন? নাকি একটাও মানেন না? তর্ক পরে হবে। আগে বলেন কেমন আছেন? ভগবানের কৃপায় নিশ্চয় ভাল?
মন্তব্য করতে লগইন করুন