নাটক সিনেমার গোপন বার্তা – ৬
লিখেছেন লিখেছেন খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ২৭ অক্টোবর, ২০১৪, ০৮:৪১:২১ সকাল
পুর্ব প্রকাশের পর
৭/ নাটক সিনেমায় প্রেমের হিস্টোরি থাকতেই হবে এরকম একটি ধারণা তৈরি করে ফেলা হয়েছে। সামাজিক ছবি হোক আর ব্যবসায়িক ছবি হোক, সবখানেই যেন প্রেমের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে। এই সব ছবি দেখে উঠতি বয়েসি ছেলে মেয়েরা মা বাবার অবাধ্য হয়ে প্রেম করতে উৎসাহিত হচ্ছে। আর এইসব ছবিতে অনুচিৎ দৃশ্যে দেখানো হয় বলে অনেক সময় পরিবারের সবাইকে নিয়ে নাটক সিনেমা দেখা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
৮/ কেও কারও দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য গলা খাঁকারি দিতে দেখা যায় নাটকে। কেও একজন ঘরে ঢুকে যদি দেখে যে যার কাছে এসেছে সে তার দিকে খেয়াল করে নি। তখন যে ব্যাক্তি এসেছে সে গলা খাঁকারি না দিয়ে প্রথমেই যদি সালাম দিয়ে ঢুকতো তাহলে গলা খাঁকারি দেয়ার প্রয়োজন হত না। সালাম দিয়ে ঢুকলে যেমন ছওয়াব পাওয়া যায়, তেমনি উদ্দিষ্ট ব্যাক্তির দৃষ্টি আকর্ষণও হয়ে যায়। এরকম সুন্দর একটি বিষয়কে নাটকে বাদ দেয়া হচ্ছে শুধু ইসলামী নিয়ম হওয়ার কারণে? কেন? ৯০% মুসলমানের দেশে ইসলামী নিয়মকে নাটকে বাদ দেয়া হবে কেন? কার স্বার্থে এখানে বাস্তবতা বিবর্জিত একটি বিষয় উপস্থাপন করা হচ্ছে? আগেই বলেছি ভারতীয় নাটক আর মুভিতে হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান খুব ভক্তি সহকারে দেখানো হয়। কিন্তু মুসলমানদের দেশে ইসলামী রীতি দেখানো হয় না কেন? সমস্যাটা কোথায়? হিন্দুরা কি আসলেই বেশি ধার্মিক? না তা নয়। বরং আমাদের দেশের মুসলমান নামধারী কিছু ব্যাক্তির মধ্যে ইসলাম সম্পর্কে বিদ্যমান এলার্জিই এর কারণ। এ থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে মিডিয়াকে সমাজের দর্পণ বলা নিরর্থক হবে।
৯/ বাংলাদেশের সমাজে অধিকাংশ মানুষ যেকোনো কাজ শুরু করতে বিসমিল্লাহ বলে। কিন্তু বাংলা নাটক আর মুভিতে তা দেখানো হয় না। কিন্তু কেন? মুভি আর নাটকে সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরার দাবী কি তাহলে মিথ্যা? এখানেও সেই কিছু মানুষের মধ্যে ইসলাম সম্পর্কে এলার্জিই মূলতঃ দায়ী। তারা অধিকাংশ মানুষের চালচলন মিডিয়াতে তুলে ধরার পরিবর্তে অপসংস্কৃতি আর বিকৃত মানসিকতার কিছু নমুনা সমাজে রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকিয়ে দেয়ার জন্যই ইসলামের সুন্দর আচার আচরণগুলো সযত্নে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। এই হীনমন্যতা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে মিডিয়াকে প্রকৃতপক্ষে সমাজের আয়না বলা যাবে না।
১০/ ইদানীং কিছু কিছু মুভি আর নাটকে গার্লফ্রেণ্ড আর বয়ফ্রেণ্ডের কালচার আমদানি করা হচ্ছে। এই গার্লফ্রেণ্ড আর বয়ফ্রেণ্ড কালচার আমাদের সমাজে অচল। তবুও এটা জোর করে সমাজে ঢুকানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে যুব সমাজের চরিত্র ধ্বংস করে দেয়ার জন্য। আমাদের দেশের মেয়েরা এখনো লজ্জা শরম নারীর ভূষণ বলেই জানে। গার্লফ্রেণ্ড আর বয়ফ্রেণ্ড কালচারের পরিণতিতে ইউরোপ আর আমেরিকাতে অবৈধ সন্তানের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেটা এদেশের সমাজে ঘৃণিত ও বর্জনীয়।এইসব বিদেশী নোংরা কালচার বাংলা মুভিতে দেখানো একেবারেই উচিত নয়।
চলবে.....
বিষয়: বিবিধ
১০৮৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন